পৃথিবীর কিছু ভৌতিক স্থান যার রহস্য এখনো বিজ্ঞান দিতে পারে নি - ০১
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:১৭:৪৩ রাত
চাঙ্গি বীচ, সিঙ্গাপুর- ============================
চাঙ্গি বীচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত একটি জায়গা। ‘সোক চিং’ যুদ্ধ সংঘটিত হবার সময় জাপানিরা নিজেদের বিরোধী ভেবে অনেক অনেক নিরীহ চীনা নাগরিককে হত্যা করে তারপর তাদেরকে এখানে কবর দেয় আর সেই থেকে এই জায়গাটি হয়ে ওঠে ভুতুড়ে। এখানে রাত হলে শুরু হয় ভুতুড়ে সব কাজ কারবার। মনে হয় দূর থেকে কিছু মানুষ কান্না করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে আসছে। অনেক পর্যটক কিছু না জেনে এখানে রাত্রে বেলা ঘুরতে আসে আর ফেরার সময় নিয়ে যায় অদ্ভুত এক অভিজ্ঞতা। এখন পর্যন্ত প্রায় হাজার খানেক মানুষ এমন কান্নাকাটি শোনার কথা শিকার করেছে। আর স্থানীয়ও কেউ এখানে রাতের বেলা ভুল করেও আসে না।
ইউনিভার্সিটিটি ইউএসএর সবচেয়ে ভুতুড়েদের মধ্যে অন্যতম। এখানে বহু পুরনো পাঁচটি সমাধি আছে যা কিনা একটি পঞ্চভুজ তৈরি করে। আর এখানে অনেক পুরনো একটি মানসিক রোগীদের চিকিৎসা দেবার জন্য ল্যাব যেখানে তাদের ইলেক্ট্রিক শক দেয়া হতো পরবর্তীতে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। লোকমুখে শোনা যায় যে সন্ধ্যা হবার পর এখানে নাকি অদ্ভুত চেঁচামেচির আওয়াজ শোনা যায়। আর ভয়ে সেখানে যেতে কেউই সাহস করেনা।
কুখ্যাত জায়গার মধ্যে অন্যতম একটি জায়গা এটি। এখানকার মানুষেরা বলে আপনি যদি এই টানেলের ভেতরে একটি ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন জ্বালান তবে সেটি আগুনের গোলা টানেলের বাইরে চলে যাবে আর আপনি একটি ছোট্ট মেয়ের চীৎকার দেবার আওয়াজ শুনতে পাবেন যা খুবই ভয়ানক। এখানকার বাসিন্দারা সব সময় সেখানে যেতে মানা করে।
ভাঙ্গার দুর্গ, ইন্ডিয়া-
এটি ইন্ডিয়ার রাজস্থানের পাশে অবস্থিত। এখানকার মানুষের মুখে শোনা যায় এই জায়গাটির ওপর নাকি অনেক অভিশাপ আছে। কোন এক পুরনো ঋষি এই জায়গারটির ওপর অভিশাপ দিয়েছিল যে যারা এখানে মারা যাবে তাদের আত্মা সারা জীবন এইখানে বন্দি থাকবে। সব চেয়ে আশ্চর্যও জনক ব্যাপার হচ্ছে এখানকার কোন বাড়ির ছাদ নেই আর সব গুলা বাড়ির ছাদ তৈরি করার সময় নাকি সেগুলা ভেঙ্গে পড়ে। সন্ধ্যার পড়ে এখানে যে পর্যটকরা গেছে তারা আজ পর্যন্ত ফিরে আসেনি আর এখনকার সরকার সন্ধ্যার পর সেখানে যেতে পুরোপুরি মানা করে দিয়েছে।
হাইগেট সমাধিক্ষেত্র, ইউকে
টি ইংল্যান্ডের অন্যতম ভুতুড়ে সমাধিস্থল এখানে রাত হলেই শুরু হয় আজব আজব সব কাজ কারবার। মস্তকবিহিন একটি লাশ একবার কবরের ভেতরে ধুকে আবার বাইরে আসে। তার সর্বাঙ্গে লতাপাতা জরানো থাকে আর গঠন এক্কেবারে অন্যরকম। সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে এখানকার তাপমাত্রা বাইরের থেকে অস্বাভাবিক ভাবে কম।
বিষয়: বিবিধ
১২২৬ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
"আল জীন " তবে খারাপ ও দুষ্ট জীন যারা ভয় দেখায় সেগুলোকেই মূলত আমরা ভুত প্রেত বলি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এটাও মনে হয় এক ধরনের ব্যবসা....।
মন্তব্য করতে লগইন করুন