!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-২৮) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০১:০৬:৪২ রাত
১৯৯৫ সালে বর্ষার ভরা মৌশম চলছে দেশে।
কোথাও কোথাও পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ,লোকজনের আসা যাওয়ার অনেক সমস্যা হচ্ছে।
সেই সময় গ্রামান্চলে পাকা রাস্তা খুবই কম ছিল ।
আমার শ্বশুড় বাড়ী রামগন্জ হওয়াতে স্বাভাবিক ভাবেই আমাকে দুরত্বের ব্যাবধানেও ছুটিতে থাকা কালিন কয়েকবার আসা যাওয়া করা লাগে।
যাই হউক বেগমকে নিয়ে আমরা ঝিনাইদাহ থেকে সোহাগ পরিবহনের ফেরিপারাপার গাড়ির টিকিট নিলাম।
যথারিতি বাসটি দৌলদিয়া ফেরিঘাটে গিয়ে সকল যাত্রিদেরকে বাস থেকে নামিয়ে দিয়ে লন্চের দিকে নিয়ে যাচ্ছে । চারিদিকে শুধু পানি আর পানি থৈথৈ করছে ঢেউ এসে নদীর কিনারে বাড়ী লাগতেছে।
অন্যান্ন সময় যেখানে ঘাট থাকে এখন তার থেকে অনেক দুরে নিরাপদ স্থান দেখে লন্চগুলি নোঙ্গর করেছে।
অনেক কস্টে ঘাটে গিয়ে লন্চে চড়লাম। কিন্তু নদীতে পানির ঢেউ দেখে মনটাকে বুঝাতে পারছিনা যাত্রা কি ক্যান্চল করব না কি ?
বাড়ীআলী বলছে নদীর অবস্থা বেশী ভাল না মনটা খুব খারাপ লাগছে্
আল্লাহর উপর ভরসা করে লন্চ যাত্রা করেছে।
নদীর কিনারে কিনারে যাচ্ছে বেশ অনেক দুর গিয়ে এখন নদীর ওপাড়ে যাওয়ার জন্য যেই সিধা যেতে হবে।
কিন্তু সিধা যে মোটেও নিরাপদ না !
তবে !
তারপরও সিধা যেই কিছুদুর গেছে ওমনি বড় একটা ঢেউ এসে লন্চটাকে ধাক্কা মারলো ।
আর যায় কোথায় ! লন্চতো হেলাদুলা শুরু করেছে, একবার ডানে বাড়ী খাচ্ছে আবার বামে বাড়ী খাচ্ছে।
এমন অবস্থা যে শুধু আমরা তা নয় আরো অনেক লন্চ এমন হেলাদুলা করছে আর লোকজনের ডাক চিতকার শুনা যাচ্ছে।
আমি যতটুকু ধৈয্য করেছি আমার বাড়ী আলা একবারে ভেঙ্গে পড়েছে।
আল্লাহ করতে করতে অনেক পরে আমরা কিনারায় ভিড়তে পেরেছিলাম।
সেটা ছিল আমার জীবনের একটা স্মরনীয় ঘটনা
তারপর থেকে আর কখনো লন্চপারাপার গাড়ীতে চড়িনা
আরো শেয়ার করব পরে....
বিষয়: বিবিধ
১২৩০ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শব্দটা হতো লঞ্চ পারাপার
তা ঠিক আছে নিজের জান এবং বাড়ী আলী দুটোতো তাই ওমন সিদ্ধান্ত নিতে পারিনাই
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন