আওয়ামী বাকশালীদের রচিত ইতিহাসে রয়েছে নিছক মুজিবের বন্দনা। প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে পড়তে হবে সেই সময়ের বিদেশী পত্রিকা( পর্ব- ০৮)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৫:৫১:৫৪ বিকাল



এমন চেতনার ধারকেরা দেশের আইন-আদালতকে বুড়া আঙ্গুল দেখিয়ে গণ-আদালত বসিয়েছিল।

বাংলাদেশে দুর্বৃত্তরা বিপুলভোটে নির্বাচিত হয়, নেতা হয়, মন্ত্রী হয় এমনকি প্রেসিডেন্টও হয়-মূলতঃ এমন চেতনার মানুষদের কারেণেই।

এদের কারণেই দেশ দূর্নীতিতে বিশ্বে বার বার প্রথম হওয়ার কলংক অর্জন করে। জাতীয় জীবনে এ এক চরম ব্যর্থতা।

বিদেশ থেকে শত শত কোটি লোন নিয়ে কলকারখানা ও রাস্তাঘাট নির্মান করে কি জাতি এ ব্যর্থতার কলংক থেকে মূক্তি পায়? আসে কি অর্থনৈতিক উন্নয়ন? বরং যা বাড়ে তা হল লোনের দায়ভার। এবং বাড়ে ব্যর্থতার কলংক। বাংলাদেশে এ দুটিই সমানে বেড়েছে।

এ ব্যর্থ শিক্ষাব্যবস্থা ভারি হয় দুর্বৃত্তদের রাজনৈতিক দল। কলেজ-বিশ্ববিদ্য ালয়গুলো তখন পরিণত হয়তাদের রিক্রটমেন্ট ক্ষেত্রে। এখান থেকেই তারা পায় দলীয় ক্যডার।

যে মহল্লায় দুর্বৃত্ত মানুষের সংখ্যা বেশী সে গ্রামে সহজেই ডাকাত দল গড়ে উঠে। বাংলাদেশে একই কারণে প্রবলভাবে শক্তিশালী হয়েছে দুর্বৃত্ত নেতাদের রাজনৈতিক দল।

জমিতে ফসলের আবাদ না হলে সে জমিতে যা বেড়ে উঠে তা হল আগাছা। তেমনি সত্যের প্রচারনা হলে প্রতিষ্ঠা পায় মিথ্যা ও দুর্বৃত্তি।

অথচ মুজিবামলে বাংলাদেশে সত্যের প্রচার গায়ের জোর বন্ধকরা হয়েছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছিল সকল বিরোধী মতের পত্রিকা। ফলে বাজার পেয়েছিল মিথ্যা-প্রচার।

এরা এ প্রচারও বাজারে ছেড়েছে যে,শেখ মুজিবই হাজার বছরের ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ বাঙালী। কথা হল,সেই শ্রেষ্ঠ বাঙালীটি যদি এরূপ মিথ্যাচারি ও স্বৈরাচারি হয় তবে সাধারণ বাঙালীদের জন্য মর্যাদাকর কোন গুণ অবশিষ্ঠ থাকে কি?

আবর্জনার স্তুপ মাথায় চাপিয়ে রাস্তায় নামাবুদ্ধিমানের কাজ নয়।

এমন নির্বুদ্ধিতায় ইজ্জত বাড়েনা। বুদ্ধিমানেরা সেগুলিকে আবর্জনার স্তুপে ফেলে পথ চলে। অথচ বাংলাদেশে সেগুলোকে অনেকে মাথায় তুলেছে। বিষয়টি ঘটেছে জাতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে।

স্বৈরাচারি, বিদেশি চর ও মিথ্যবাদী রাজনীতিবিদদেরকো ন জাতিই মাথায় তুলে না। কারণ এতে বিশ্ব মাঝে শুধু অসম্মান বাড়ে। অথচ বাংলাদেশ তাদেরকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিয়েছে।

বাংলাদেশের ১৫ কোটি মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক ব্যর্থতা নিছক এ নয় যে তারা আবিস্কারক বা নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক তৈরীতে ব্যর্থ হয়েছে,বরং সবচেয়ে ব্যর্থতা হল বীর ও দুর্বৃত্তের মাঝে পার্থক্য নির্ণয়েই ব্যর্থ হয়েছে। দুর্বৃত্তরা এজন্যই জনগণের ভোটে বার বার এমপি হয়,মন্ত্রী হয় এবং নেতা হয়।

একই ব্যর্থতার কারণে মাথায় উঠেছে শেখ মুজিব ও তার অনুসারিরা। তাকে জাতির পিতা বানানোর আব্দার উঠেছে।

কথা হল, যে ব্যক্তিটি গণতন্ত্র-হত্যা করলেন, হরণ করলেন ব্যক্তি-স্বাধীন তা, ভারতের বেদীমূলে বিসর্জন দিলেনবাংলাদেশের বেরুবারী, দুর্ভিক্ষ ডেকে এনে মৃত্যু ঘটালেন বহুলক্ষ মানুষের,আন্তুর্ জাতিক মহলে দেশকে পরিচিত করলেন।

বিষয়: বিবিধ

১১৫৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File