সমঝোতা করতে নইলে টিএনওর চাকুরী থাকবে না। এখন আমার মা কি করবে সত্য না আপোষ !!
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:২১:৫৪ রাত
সকাল থেকে মায়ের মনটা খুবই খারাপ যাচ্ছে ,অনেক বার ভেবেছিলাম জিজ্ঞাসা করব কিন্তু সাহস হয়নি।
বাবা মারা যাওয়ার পরে মাকে কখনো এমন বিষন্ন মনে দেখা যায়নি ।
আমরা দুই ভাই আমার মায়ের একমাত্র অবলম্বন ।
বাবা মারা যাওয়ার সময় সম্পদ বলতে একমাত্র বড় ভাইকে এমএ পাশ করিয়েছিলেন আর আমি তখন মাত্র মেট্রিক পাশ করেছিলাম এটাই ছিল সম্পদ।
বাবা একটা মাদ্রাসার জুনিয়ার শিক্ষক ছিলেন , মৃত্যর সময় ওনার চাকুরী শেষ না হওয়াতে এককালিন কিছু টাকার বিনিময় আমার মা দস্তখত করেছিল বলে শুনেছিলাম কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস আমার মা সেই টাকাটাও পায়নি ।
অনেক দিন সরকারী অফিসে ঘুরে ঘুরে অনেক টাকা পয়সা নস্ট করেছে কিন্তু কোন লাভ না দেখে এখন একরকম এস্তেফা দিয়েছে ।
টিএনও সাহেবকে আমার মা বলেছে আমার থেকে যেটা নেওয়ার দরকার ছিল জানি না সেটা শেষ হয়েছে কি না যদি আর কোন জায়গায় আমার সাইন দরকার হয় তবে তাহাও নিতে পারেন ।
আমার স্বামীর টাকাটা দিবেন বলেই তো আমার থেকে সাইন নিয়েছেন আর আমি সরল মনে আপনার সামনে সাইন দিলাম এখন আর কি করার আছে বলেন ? এমন অনুরাগের স্বরে একটু উচ্চবাচ্য করেছিলেন ।
মায়ের এমন বক্তৃতার আদলে কথা শুনে টিএনও অফিসের আশপাশে মিডিয়ার কারা যেন হাটছিল ওরা দৌড়ে এসে ক্যামরা ওন করেই আমার মায়ের সাক্ষাতকার নিতে শুরু করলো।
টিএনও নিজেকে সমুদয় বিপদ থেকে বাচার জন্য কাকে যেন ফোন দিলেন পরে অনেক লোক এসে সেখানে মিডিয়া কর্মিদের সাথে উল্টাপাল্টা কথা বলতে শুরু করলো এমন কি ওদের ক্যামরা কেড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলল।
কিন্তু গো ব্যাচারার জন্য আফসুস লাগে এখন সে মনে করেছিল গায়ের জোরে কিছু লোককে দিয়ে মাস্তানির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করেছিল কিন্তু ততক্ষনে তাদের এই সকল কর্মকান্ড এক সাংসাদিক মোবাইলের মাধ্যমে লাইভ কাস্টিং করতেছিলো।
টিএনও সহ ঐ গুন্ডারা অকথ্যভাষায় আমার মাকে গালিগালাজ সহ সাংবাদিকদেরকে তেড়ে তেড়ে মারতে আসতেছিল যাহা কিনা তখনও লাইভ কাস্টিং হচ্ছিল।
আমরা মা সহ নিরুপায় হয়ে বাসার দিকে ফিরে এসেছিলাম । সেই দিন আমার মা অঝোরে কেদেছিল আর আল্লাহর কাছে সপেছিল ।
এই দিন বাসাতে কোন খানা পাকেনি মায়ের মনটা খুবই খারাপ মনে হচি্ছল বাড়ীর সব কিছু যেন কাদছে !
তারপর অনেক রাত্রে মা খানা পাকায়ে আমাদেরকে খাওয়াইয়াছিল।
পরে আমাদের বাসায় ফোন আসতে লাগলো আজকে টিএনও অফিসে কি হয়েছিল আমরা এখনও কাউকে বলি নাই অথচ আত্বিয়স্বজনরা জেনে গেছে কি ভাবে এমন ভাবছিলাম ।
এমন সময় ওরা বলছে টিভি খুলতে তাহা হলে সব জানা যাবে , আমরা তো আশ্চায্য হয়েছিলাম এটা কিভাবে হলো ? মিডিয়া কর্মিদের ক্যামেরাতো ভেঙ্গেই দিল ।
সকাল থেকেই স্থানীয় আওয়ামিলীগের লোকজন টিএনও সহ অনেক লোক আমাদের বাসায় এসেছিল আমার আম্মাকে বুঝাতে এবং সমঝোতা করতে নইলে টিএনওর চাকরুরী থাকবে না।
এখন আমার মা কি করবে ?
সত্য না আপোষ !!
বিষয়: বিবিধ
৯৫১ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে যেহেতু আপনার বাবা বা শক্ত অভিভাবক নেই, সেহেতু সন্ধির বিনিময়ে টাকাগুলো পাওয়া গেলে তা করা যেতে পারে। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন