আওয়ামী বাকশালীদের রচিত ইতিহাসে রয়েছে নিছক মুজিবের বন্দনা। প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে পড়তে হবে সেই সময়ের বিদেশী পত্রিকা( পর্ব-০৩)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৩০:০১ দুপুর



শেখ মুজিবকে আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বোঝাবলে আখ্যায়ীত হচ্ছে। ছোট-খাটো স্বজনপ্রাতির ব্যাপারেতিনি ভারী আসক্তি দেখান। ফলে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া বাকী পড়ে থাকে।..

অধিকাংশ পর্যবেক্ষকদের বিশ্বাস, আর্থিক ও রাজনৈতিক সংকট রোধ করার কোন সুনির্দিষ্ট কার্যক্রমএ সরকারের নেই। রাজনৈতিক মহল মনে করেন, মুজিব খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক বুনিয়াদ আরো নষ্ট করে দেবেন। তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছেন।

ডেইলী টেলিগ্রাফের আশংকা সত্য প্রমাণিত হয়েছিল। শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।



জরুরী অবস্থা জারি করেছেন, আরো বেশী ক্ষমতা কুক্ষিগত করেছেন। অবশেষে তাতেও খুশি হননি, সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে নিষিদ্ধ করে তিনি একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। আওয়ামী লীগ যাকে নিয়ে গর্ব করে, এ হল তার অবদান।

১৯৭৫ সালের ২১শে মার্চ বিলেতের ব্রাডফোর্ডশায়র লিখেছিল, “বাংলাদেশ যেন বিরাট ভূল। একে যদি ভেঙ্গে-চুরে আবারঠিক করা যেত। জাতিসংঘের তালিকায় বাংলাদেশ অতি গরীব দেশ।

১৯৭০ সালের শেষ দিকে যখন বন্যা ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল ডুবে যায় তখন দুনিয়ার দৃষ্টি এ দেশের দিকে - অর্থাৎ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের দিকে নিবদ্ধ হয়।



রিলিফের বিরাট কাজ সবে শুরু হয়েছিল। এমনি সময়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুণ জ্বলে উঠল। --কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের বিদ্রোহ যখন শুরু হল, তখন জয়ের কোন সম্ভাবনাই ছিল না। একমাত্র ভারতের সাগ্রহ সামরিক হস্তক্ষেপের ফলেই স্বল্পস্থায়ী-কি ন্তু ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী- যুদ্ধের পর পাকিস্তানের পরাজয় ঘটে এবং বাংলাদেশেরসৃষ্ট ি হয়।”

পত্রিকাটি লিখেছে, “উড়োজাহাজ থেকে মনেহয়, যে কোন প্রধান শহরের ন্যায় রাজধানী ঢাকাতেও বহু আধুনিক অট্রালিকা আছে। কিন্তু বিমান বন্দরে অবতরণ করা মাত্রই সে ধারণা চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে যায়।টার্মিনাল বিল্ডিং-এর রেলিং ঘেঁষে শত শত লোক সেখানে দাঁড়িয়ে আছে,কেননা তাদের অন্য কিছু করার নাই।

আর যেহেতু বিমান বন্দর ভিক্ষা করবার জন্য বরাবরই উত্তম জায়গা।” পত্রিকাটি আরো লিখেছে,“আমাকে বলা হয়েছে,অমুক গ্রামেকেউ গান গায়না। কেননা তারা কি গাইবে?

আমি দেখেছি, একটি শিশু তার চোখে আগ্রহ নেই,গায়ে মাংস নেই। মাথায় চুল নাই। পায়ে জোর নাই। অতীতে তার আনন্দ ছিল না, বর্তমান সম্পর্কে তার সচেতনতা নাই এবং ভবিষ্যতে মৃত্যু ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারে না সে।”

দেশে তখন প্রচন্ড দুর্ভিক্ষ চলছিল। হাজার হাজার মানুষ তখন খাদ্যের অভাবে মারা যাচ্ছিল।

মেক্সিকোর“একসেল সিয়র” পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে শেখ মুজিবকে যখন প্রশ্ন করা হল, খাদ্যশস্যের অভাবের ফলে দেশে মৃত্যুর হার ভয়াবহ হতে পারে কিনা,শেখ মুজিব জবাব দিলেন, “এমন কোন আশংকা নেই।”

প্রশ্ন করা হল, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পার্লামেন্টে বিরোধীদল বলেন যে, ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার মানুষ মারা গেছে।”তিনি জবাব দিলেন, “তারা মিথ্যা বলেন।”

তাঁকে বলা হল,“ঢাকার বিদেশি মহল মৃত্যু সংখ্যা আরও বেশী বলে উল্লেখ করেন।” শেখ মুজিব জবাব দিলেন,“তারা মিথ্যা বলেন।”

প্রশ্ন করা হল, দূর্নীতির কথা কি সত্য নয়? ভূখাদের জন্য প্রেরিত খাদ্য কি কালোবাজারে বিক্রীহয় না..?শেখ বললেন, “না। এর কোনটাই সত্য নয়।”

(এন্টারপ্রা ইজ,রিভার সাইড,ক্যালিফোর্ নিয়া, ২৯/০১/৭৫) বাংলাদেশ যে কতবড় মিথ্যাবাদী ও নিষ্ঠুর ব্যক্তির কবলে পড়েছিল এ হল তার নমুনা। দেশে দুর্ভিক্ষ চলছে,সেদুর্ভিক্ষে হাজার মানুষ মরছে সেটি তিনি মানতে রাজী নন।

দেশে কালোবাজারী চলছে, বিদেশ থেকে পাওয়া রিলিফের মাল সীমান্ত পথে ভারতে পাড়ী জমাচ্ছে এবং সীমাহীন দূর্নীতি চলছে সেটি বিশ্ববাসী মানলেও তিনিমানতে চাননি।

অবশেষে পত্রিকাটি লিখেছে, "যে সব সমস্যা তার দেশকে বিপর্যস্ত করত সে সবের কোনজবাব না থাকায় শেখের একমাত্র জবাব হচ্ছে তাঁর নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা বৃদ্ধি।

জনসাধারণের জন্য খাদ্য না হোক,তার অহমিকার খোরাক চাই।" (এন্টার প্রাইজ,রিভার সাইড, ক্যালিফোর্নিয়া, ২৯/০১/৭৫)http://www.somewhereinblog.net/blog/ebongami1234/29378927

বিষয়: বিবিধ

১০৩৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

341229
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
হতভাগা লিখেছেন :
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৩৮
282675
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : কালো চশমা পরেছিল তাছাড়া সেও তো একই নৌকার যাত্রি
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪২
282678
হতভাগা লিখেছেন : ক্যাস্ট্রো চে এর সহযোদ্ধা ছিলেন এবং ছবিতে উনি কালো চশমা পরিহিতও নন।
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৪
282679
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অন্তর চোখে চমশা যার কারনে সেই সময়ের দুর্ভিক্ষের কোন কিছুই সে দেখেনি

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File