আওয়ামী বাকশালীদের রচিত ইতিহাসে রয়েছে নিছক মুজিবের বন্দনা। প্রকৃত ইতিহাস জানতে হলে পড়তে হবে সেই সময়ের বিদেশী পত্রিকা( পর্ব-০১)

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০২:৫৭:৪১ দুপুর



বিদেশি পত্র-পত্রিকায় শেখ মুজিব-আমল বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাসে মুজিবের আসল পরিচয় পাওয়া মুশকিল।

আওয়ামী বাকশালীদের রচিত ইতিহাসে রয়েছে নিছক মুজিবের বন্দনা। তাই তার এবং তার শাসনামলের প্রকৃত পরিচয় জানতে হলে পড়তে হবে সে আমলের বিদেশি পত্র-পত্রিকা।

বাংলাদেশ সে সময় কোন ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান বা খেলাধুলায় চমক সৃষ্টি করতে না পারলেও বিশ্বব্যাপীখবরে র শিরোনাম হয়েছিল দুর্ভিক্ষ, দূর্নীতি, হত্যা,সন্ত্রাস, ব্যর্থ প্রশাসন ও স্বৈরাচারের দেশ হিসাবে।

১৯৭৪ সালের ৩০ শে মার্চ গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছিল, “আলীমুদ্দিন ক্ষুধার্ত।

সে ছেঁড়া ছাতা মেরামত করে।বলল, যেদিন বেশী কাজ মেলে, সেদিন এক বেলা ভাত খাই। যেদিন তেমন কাজ পাই না সেদিন ভাতের বদলে চাপাতি খাই। আর এমন অনেক দিন যায় যেদিন কিছুই খেতে পাই না।” তার দিকে এক নজর তাকালে বুঝা যায় সে সত্য কথাই বলছে। সবুজ লুঙ্গির নীচে তার পা দু'টিতে মাংস আছে বলে মনে হয় না।

ঢাকার ৪০ মাইল উত্তরে মহকুমা শহর মানিকগঞ্জ। ১৫ হাজার লোকের বসতি। তাদের মধ্যে আলীমুদ্দিনের মত আরো অনেকে আছে।

কোথাও একজন মোটা মানুষ চোখে পড়ে না।

কালু বিশ্বাস বলল, “আমাদের মেয়েরা লজ্জায় বের হয় না-তারা নগ্ন।” আলীমুদ্দিনের কাহিনী গোটা মানিকগঞ্জের কাহিনী। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাহিনী,শত শত শহর বন্দরের কাহিনী।

এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৫০ লাখ টনেরও বেশী খাদ্যশস্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য পাঠানোহয়েছে তারা পায়নি।” ১৯৭৪ সালের ২৭ সেপ্টম্বর তারিখে লন্ডনের নিউ স্টেট্সম্যান লিখেছিল, “বাংলাদেশ আজ বিপদজনক ভাবে অরাজকতার মুখোমুখি।

লাখ লাখ লোক ক্ষুধার্ত।

অনেকে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। .. ক্ষুধার্ত মানুষের ভীড়ে ঢাকায় দম বন্ধ হয়ে আসে।..

বাংলাদেশ আজ দেউলিয়া।

গত আঠার মাসে চালের দাম চারগুণ বেড়েছে। সরকারি কর্মচারিদের মাইনের সবটুকু চলে যায় খাদ্য-সামগ্রী কিনতে। আর গরীবরা থাকে অনাহারে।

কিন্তু বিপদ যতই ঘনিয়ে আসছে শেখ মুজিব ততই মনগড়া জগতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ভাবছেন, দেশের লোক এখনও তাঁকে ভালবাসে;সমস্ত মুসিবতের জন্য পাকিস্তানই দায়ী।

আরো ভাবছেন, বাইরের দুনিয়ী তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসবে এবং বাংলাদেশ উদ্ধার পাবে। নিছক দিবাস্বপ্ন.. দেশ যখন বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে,তখনও তিনি দিনের অর্ধেক ভাগ আওয়ামী লীগের চাঁইদের সাথে ঘরোয়া আলাপে কাটাচ্ছেন। ..

তিনি আজ আত্মম্ভরিতার মধ্যে কয়েদী হয়ে চাটুকার ও পরগাছা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন।.. সদ্য ফুলে-ফেঁপে ওঠা তরুণ বাঙালীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্ টালের শরাবখানায় ভীড় জমায়। তারা বেশ ভালই আছে। এরাই ছিল মুক্তিযোদ্ধা- বাংলাদেশের বীর বাহিনী। ..

এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বাছাই করা পোষ্য।

আওয়ামী লীগের ওপর তলায় যারা আছেন তারা আরো জঘন্য। .. শুনতে রূঢ় হলেও কিসিঞ্জার ঠিকই বলেছেনঃ

“বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক ভিক্ষার ঝুলি।”

১৯৭৪ সালে ২রা অক্টোবর,লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায়জেকুইস লেসলী লিখেছিলেন, “একজন মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে,আর অসহায় দুষ্টিতেতার মরণ-যন্ত্রণাকাত র চর্মসার শিশুটির দিকে তাকিয়েআছে।

বিশ্বাস হতে চায় না, তাই কথাটি বোঝাবার জন্য জোর দিয়ে মাথা নেড়ে একজন ইউরোপীয়ান বললেন, সকালে তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন,এমন সময় এক ভিখারি এসে হাজির। কোলে তার মৃত শিশু।

সেই সময়ের ইতিহাস থেকে সঙগ্রহ কৃত পরে জানাব ইনশাআল্লাহবিদেশি পত্র-পত্রিকায় শেখ মুজিব-আমল বাংলাদেশের নিজস্ব ইতিহাসে মুজিবের আসল পরিচয় পাওয়া মুশকিল।

আওয়ামী বাকশালীদের রচিত ইতিহাসে রয়েছে নিছক মুজিবের বন্দনা। তাই তার এবং তার শাসনামলের প্রকৃত পরিচয় জানতে হলে পড়তে হবে সে আমলের বিদেশি পত্র-পত্রিকা।

বাংলাদেশ সে সময় কোন ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-সাহিত্য, জ্ঞান-বিজ্ঞান বা খেলাধুলায় চমক সৃষ্টি করতে না পারলেও বিশ্বব্যাপীখবরে র শিরোনাম হয়েছিল দুর্ভিক্ষ, দূর্নীতি, হত্যা,সন্ত্রাস, ব্যর্থ প্রশাসন ও স্বৈরাচারের দেশ হিসাবে।

১৯৭৪ সালের ৩০ শে মার্চ গার্ডিয়ান পত্রিকা লিখেছিল, “আলীমুদ্দিন ক্ষুধার্ত।

সে ছেঁড়া ছাতা মেরামত করে।বলল, যেদিন বেশী কাজ মেলে, সেদিন এক বেলা ভাত খাই। যেদিন তেমন কাজ পাই না সেদিন ভাতের বদলে চাপাতি খাই। আর এমন অনেক দিন যায় যেদিন কিছুই খেতে পাই না।” তার দিকে এক নজর তাকালে বুঝা যায় সে সত্য কথাই বলছে। সবুজ লুঙ্গির নীচে তার পা দু'টিতে মাংস আছে বলে মনে হয় না।

ঢাকার ৪০ মাইল উত্তরে মহকুমা শহর মানিকগঞ্জ। ১৫ হাজার লোকের বসতি। তাদের মধ্যে আলীমুদ্দিনের মত আরো অনেকে আছে।

কোথাও একজন মোটা মানুষ চোখে পড়ে না।

কালু বিশ্বাস বলল, “আমাদের মেয়েরা লজ্জায় বের হয় না-তারা নগ্ন।” আলীমুদ্দিনের কাহিনী গোটা মানিকগঞ্জের কাহিনী। বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের কাহিনী,শত শত শহর বন্দরের কাহিনী।

এ পর্যন্ত বিদেশ থেকে ৫০ লাখ টনেরও বেশী খাদ্যশস্য বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু যাদের জন্য পাঠানোহয়েছে তারা পায়নি।” ১৯৭৪ সালের ২৭ সেপ্টম্বর তারিখে লন্ডনের নিউ স্টেট্সম্যান লিখেছিল, “বাংলাদেশ আজ বিপদজনক ভাবে অরাজকতার মুখোমুখি।

লাখ লাখ লোক ক্ষুধার্ত।

অনেকে না খেতে পেয়ে মারা যাচ্ছে। .. ক্ষুধার্ত মানুষের ভীড়ে ঢাকায় দম বন্ধ হয়ে আসে।..

বাংলাদেশ আজ দেউলিয়া।

গত আঠার মাসে চালের দাম চারগুণ বেড়েছে। সরকারি কর্মচারিদের মাইনের সবটুকু চলে যায় খাদ্য-সামগ্রী কিনতে। আর গরীবরা থাকে অনাহারে।

কিন্তু বিপদ যতই ঘনিয়ে আসছে শেখ মুজিব ততই মনগড়া জগতে আশ্রয় নিচ্ছেন।

ভাবছেন, দেশের লোক এখনও তাঁকে ভালবাসে;সমস্ত মুসিবতের জন্য পাকিস্তানই দায়ী।

আরো ভাবছেন, বাইরের দুনিয়ী তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসবে এবং বাংলাদেশ উদ্ধার পাবে। নিছক দিবাস্বপ্ন.. দেশ যখন বিপর্যয়ের দিকে যাচ্ছে,তখনও তিনি দিনের অর্ধেক ভাগ আওয়ামী লীগের চাঁইদের সাথে ঘরোয়া আলাপে কাটাচ্ছেন। ..

তিনি আজ আত্মম্ভরিতার মধ্যে কয়েদী হয়ে চাটুকার ও পরগাছা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন।.. সদ্য ফুলে-ফেঁপে ওঠা তরুণ বাঙালীরা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্ টালের শরাবখানায় ভীড় জমায়। তারা বেশ ভালই আছে। এরাই ছিল মুক্তিযোদ্ধা- বাংলাদেশের বীর বাহিনী। ..

এরাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বাছাই করা পোষ্য।

আওয়ামী লীগের ওপর তলায় যারা আছেন তারা আরো জঘন্য। .. শুনতে রূঢ় হলেও কিসিঞ্জার ঠিকই বলেছেনঃ

“বাংলাদেশ একটা আন্তর্জাতিক ভিক্ষার ঝুলি।”

১৯৭৪ সালে ২রা অক্টোবর,লন্ডনের গার্ডিয়ান পত্রিকায়জেকুইস লেসলী লিখেছিলেন, “একজন মা ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে,আর অসহায় দুষ্টিতেতার মরণ-যন্ত্রণাকাত র চর্মসার শিশুটির দিকে তাকিয়েআছে।

বিশ্বাস হতে চায় না, তাই কথাটি বোঝাবার জন্য জোর দিয়ে মাথা নেড়ে একজন ইউরোপীয়ান বললেন, সকালে তিনি অফিসে যাচ্ছিলেন,এমন সময় এক ভিখারি এসে হাজির। কোলে তার মৃত শিশু।

সেই সময়ের ইতিহাস থেকে সঙগ্রহ কৃত পরে জানাব ইনশাআল্লাহ

বিষয়: বিবিধ

১২০৪ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

340896
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৩৮
শেখের পোলা লিখেছেন : সাক্ষীর প্রয়োজন হলে আছি৷
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪৫
282353
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
340907
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৮:০৭
হতভাগা লিখেছেন : ডবল পোস্ট

বাংলাদেশের অভ্যুথ্থানের সময় আমেরিকান লবীরা ছিল পাকিস্তানের পক্ষে , বাংলাদেশের বিপক্ষে । তারা বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে দেখানোর চেষ্টা এখনও করে যাচ্ছে ।

কিন্তু , দেশের ১ নং দেশপ্রেমিক জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে পড়েছে এই বাংলাদেশ । তার আমলে এখন বাংলাদেশ শনৈ শনৈ এগিয়ে যাচ্ছে।

এটা দেখে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেড়ে গেছে বাংলাদেশবিরোধীদের ।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
282466
রক্তলাল লিখেছেন : কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে? দিল্লী না বঙ্গোপসাগরের দিকে?
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:০৩
282469
হতভাগা লিখেছেন : স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের পথ হয়ে উচ্চ আয়ের পথে । ২১ লাখ লোকের বেতন বেড়েছে । সর্বনিন্ম ৮২৫০ এবং সর্বোচ্চ ৭৮০০০ ।

আপনাদের মত ড্রোনভোজের দিকে নয় ।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৭
282512
মেঘবালক লিখেছেন : ২১ লাখ লোকের বেতন বাড়লো এরপর স্বল্প আয়ের দেশ থেকে মধ্য আয়ের পথ হয়ে উচ্চ আয়ের পথের দিকে চলছে তাহলে মাথাপিছু ঋণের বোঝা ১৩১৬৫ টাকা কেন? সরকার এই ঋণ পরিশোধ করার পর ২১ লাখ লোকের বেতন বৃদ্ধি করতো।
Praying


এই বাংলাদেশের ইতিহাস নিজেদের হাতে গড়া ইতিহাস। যার যেমন গল্প পছন্দ সে তেমন করেই বাবার ইতিহাস লিখে গেছে। কারণ প্রেসগুলো নিজেদের আমলার ছিল যে।Tongue Tongue
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৪
282521
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : মেঘবালক ভাই চমতকার
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৯:২৬
282620
হতভাগা লিখেছেন : ঋণের বোঝা কার না নেই ! আমেরিকারও আছে , চীনের কাছে ।
340933
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৪৬
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : শুধু বিদেশি না দেশিয় পত্রপত্রিকাগুলিতেও যথেষ্ট তথ্য আছে।
১০ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৫৪
282380
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সহমত
ধন্যবাদ
341127
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:২৮
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : প্রত্যক্ষ সাক্ষীদের আমিও অবশ্য একজন।
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৯:৩৬
282567
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : স্বাগতম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File