রাশিরাশি হাসি (হাসি কম- কাঁদি বেশি):১০৫ জ্বিনের আসর !
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১০:০০:০৬ রাত
খোনার সাহেব তার আখড়ায় বসে আছেন।
বাইরে জ্বিনে ধরা রুগীর বেশ ভীড়।
একে একে এসে চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছে।
এক স্বামী তার জ্বিনে ধরা স্ত্রীকে নিয়ে এল:
-খোনার সাহেব !
আমার স্ত্রীকে আজ কয়েক দিন হলো জ্বিনে ধরেছে।
-নতুন বিয়ে করেছেন বোধ হয়?
-জ্বি।
আমার বউটা খুবই ভাল ছিল, পাক্কা নামাযী, কড়া পর্দানশীন।
সকাল-বিকাল তাসবীহ-তেলাওয়াত ে মশগুল থাকে। তার ওপর কেন জ্বিনের
নযর পড়লো বুঝতে পারছি না !
খোনার দোয়া-দুরূদ পড়ে জ্বিনচালা দিলেন।
বউকে একটা কুন্ডুলির মধ্যে বসিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করলেন:
-তোর নাম কী?
-কওকব!
-তুই এ-মহিলাকে ছেড়ে যাবি কি না, আমি ব্যবস্থা নিব?
-কোনও ব্যবস্থা নিতে হবে না হুযুর !
আপনি বললে এমনিই এমনিই ছেড়ে যাবো। তবে একটা শর্ত আছে !
-না কোনও শর্ত মানা যাবে না।
-শর্তটা শুনেই দেখুন না!
-আচ্ছা বল!
-আমি, মহিলাকে ছেড়ে যাব, তবে তার স্বামীর ওপর সওয়ার হবো।
স্বামী ভয়ে লাফিয়ে উঠলো:
-না না, হুযুর আমাকে বাঁচান ! আমাকে বাঁচান !
খোনার: শোন জি¦ন, তুমি স্বামীর ওপরও আসর করতে পারবি না।
-না হুযুর ! এটা আমার পক্ষে মানা সম্ভব নয়?
-আচ্ছা, তুই স্ত্রীকে ছেড়ে স্বামীকে কেন ধরবি ?
-সে নামায পড়ে না!
স্বামী: হুযুর আমি আল্লার কিরা কেটে বলছি, এখন থেকে নামায পড়বো। এক
ওয়াক্ত নামাযও কাযা করবো না।
খোনার: কী ! শুনলি তো, এবার চলে যা !
-তা যাচ্ছি, তবে হুযুর আমি একেবারে চলে যাব না।
-তো কী করবি?
-ওদের উঠোনের আমগাছটাতে বাসা বেঁধে থাকবো। যেই সে নামায ছেড়ে
দিবে, ওমনি তার ওপর সওয়ার হয়ে যাবো !
একমাস পর, স্ত্রী মোবাইলে হেসে হেসে বলছে:
-শোন রূবা ! তোর বুদ্ধিটা যা কাজে দিয়েছে না !
মসজিদের মুয়াজ্জিন মসজিদের একটা চাবি তোর দুলাভাইকে দিয়ে দিয়েছে।
-কেন?
-কারণ আযানের আগেই মসজিদে গিয়ে বসে থাকে যে!
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৫ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আতিকউল্লাহ ভাইয়ার পোষ্ট
বিনোদিত হলুম!!!
জাযাকুমুল্লাহ...
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
ধন্যবাদ
গল্প হিসেবে রম্যের, তবে বাস্তব হিসেবে মারাত্মক। প্রবাসে স্বস্ত্রীক এক দম্পতির কথা জানি। মহিলা কাজ করতে একদম পছন্দ করেনা। দেশে থাকতে পুরো দিন হিন্দী সিনেমা দেখত, দুটো বুয়া কাজ করে দিন। প্রবাসে এসে দেখতে পেল এখানে কাজের বুয়া নাই, তাই সকল কাজ নিজেকে করতে হয়। প্রকৌশলী স্বামীর ভাল অবস্থা কিন্তু স্ত্রীর আলস্যতা নিয়ে সমস্যায় পড়ে। সর্বদা হোটেল থেকে খায়।
বৌয়ের অভিমান ভাঙ্গতে ভদ্রলোক দামী চাকুরী ছেড়ে দেয়। ভদ্রমহিলার খুশী আর আনন্দ দেখে সবাই হতবাক! মহিলা খুশী হয়ে বলছেন, যাক দেশে গেলে কাজ করতে হবেনা বুয়া দিয়ে আগের মত কাজ করাবে আর টিভি দেখবে..... আসল কথা হল যে জীবন কে যেভাবে উপভোগ করতে চায় আল্লাহ তার জন্য তাই করে দেন।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন