একটি গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট,সরকারের নিজদল এখন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের চারণভূমি। এদের ছেটে ফেলার প্ররক্রিয়া হচ্ছে। তারপরও কি শেষ রক্ষা হবে? ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ১২:৩২:১৭ রাত
বাংলাদেশ এখন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। ৩৭ টি জেলার গোয়েন্দা তথ্যে বেরিয়ে এসেছে সেই লোমহর্ষক রিপোর্ট। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার দলে ৩৭ টি জেলায় রয়েছে ৪শতাধিক সন্ত্রাসী।যাদের ৩১৭ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ। এসব সন্ত্রাসীদের নিয়ে কোন প্রকার বিতর্ক করার সুযোগ নেই,নেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ।প্রাপ্ত তথ্য মতে,দেশের অর্ধেক জেলায় চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ,দখলবাজের সংখ্যা ৩৯৯।আর
খুণ,গুম,ধর্ষণ,ছিনতাই সহ মারাত্বক সব অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছে ৩১৭ জন ভয়ঙ্কর অপরাধী। যারা সরকার দলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে এসব অপরাধ কর্ম পরিচালনা করে থাকে। এদের মধ্যে মাদক ব্যবসা,অপহরণ, ছিনতাই, ডাকাতি,খুণ,ধর্ষণ,অস্ত্র কেনাবেচা সহ সমাজের নানা প্রকার ভয়ঙ্কর অপকর্মের সাথে সংশ্লিষ্ট এসব সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা।
এছাড়া পুরো ৬৪ জেলার চিত্র এর দ্বিগুণ ছাড়িয়ে যাবে মনে করছেন সংশ্লিষ্টজনেরা। আর ৬৪জেলার সকল সন্ত্রাসীদের তালিকা প্রস্তুত কার্যক্রম এরি মধ্যে এগিয়ে চলেছে।আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ তালিকা পুরো সম্পন্ন হবে বলে জানান।৬৪ জেলার এসব সন্ত্রাসী তালিকা করা শেষ হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ে জমা দেয়া হবে। এরি মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন এসব দাগী সন্ত্রাসীদের ছাড় না দেয়ার জন্য। সন্ত্রাসীদের কোন দল নেই।এরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে মাত্র।কথা সর্বৈব সত্য।কথিত আছে শুধু খোদ ঢাকা সিটিতেই রাজনৈতিক দলের বিবেচনায় ২০ হাজার অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। আপনি সর্প হয়ে ধবংশন আবার ওঝা হয়ে ঝাড়ার নীতি গ্রহন করলে সাধারণের বলার কিছু নেই।
আলোচনার সারাংশে যে বিষয়টি উল্লেখ করব সেটি রাজনৈতিক দলের জন্য অপ্রিয় হলেও সত্য। বর্তমান অনির্বাচিত সরকার নিজেদের দলীয় স্বার্থ সহ ক্ষমতার চেয়ার মজবুত করার জন্য এক এক সময় এসব ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করেছেন। নির্বাচন, বিরুধীদল ও মতকে শায়েস্তা করার জন্য এসব সন্ত্রাসীরা এক সময় ছিল সরকার দলের মোষ্ট পপুলার।এখন সরকার মনে করছে তাদের আর প্রয়োজন নেই।এদের ছেটে ফেলে একটা ক্লিন ইমেজ তৈরি করতে হবে।আসলে আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের এই যে দ্বিমুখী নীতি, হোক সেটি সাধারণ নাগরিক কিংবা কোন ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসীর বেলায়,কোনটাই সমাজের মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।
বর্তমান সরকার বিরুধীদল, প্রতিবাদী কন্ঠ,ভিন্ন মতাবলম্বীদের গুম, খুণ, ক্রস ফায়ার সহ নানাবিধ প্রক্রিয়ায় নিঃশেষ করেছেন।কারাগারে আটক করেছেন ২০ লক্ষাধিক নেতাকর্মী। যে প্রক্রিয়া এখনো চলমান আছে। আর বর্তমানে জনসম্মুখে নিজেদের দেশদরদী,উন্নয়নের সরকার, সন্ত্রাস বিরুধী ইমেজ তৈরি করার লক্ষ্যে এ অভিনব অভিযান। কিন্তু এই দ্বৈত নীতি কখনো সফল হয়নি,বর্তমানে হবে তারও কোন গ্যারান্টি নেই।
একটি রাষ্ট্রের উন্নয়নের পূর্ব শর্ত হল গণতন্ত্র। গণতন্ত্র অনুপস্থিত রেখে আপনি যে উন্নয়নই করেন না কেন,যা হবে তলা ছিদ্র বালতিতে পানিপূর্ণ করার ব্যর্থ চেষ্টার নামান্তর। তাই দেশকে দেশের জনগণকে সত্যিকার অর্থে ভালবাসলে আগে গণতন্ত্র চর্চার পথকে প্রসারিত করুন। তানাহলে সরকারের সকল চেষ্টা একদিন জনরোষের সামনে বুমেরাং হতে বাধ্য
বিষয়: বিবিধ
১৩৬৪ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কথাটা মনে হয় সত্যি না
রাত যত অন্ধকার হোক পরের দিন সুর্য উদয় হবেই আর রাতের সেই অন্ধকার কেটে যাবে
হতাশা হওয়ার যতেষ্ট কারন আছে তারপরেও হতাশা হওয়া যাবে না
মন্তব্য করতে লগইন করুন