এক বাদশাহের জান্নাত তৈরীর ঘটনা !!!

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ৩১ আগস্ট, ২০১৫, ১১:০৩:১০ রাত



এক বাদশাহের জান্নাত তৈরীর ঘটনা !!!

বাদশার বড় সখ হলো সে জান্নাত তৈরী করবে।

সখ মোতাবেক সে অনেক ব্যয় করে অনেক বৎসরের সাধনায় জান্নাত তৈরী

করলো। তার তৈরী জান্নাতের মধ্যে সুন্দর সুন্দর নারীদেরকে রাখলো।

জান্নাতকে সুসজ্জিত করা হলো।

সাধ্যমত সবরকম সুখের জীনিসও জান্নাতে রাখা হলো। এত সাধের জান্নাত কার দেখতে মন না চায় ?

বাদশাহ সৈন্য সামন্তকে তার ঘোড়া সুসজ্জিত করে সাজাতে হুকুম দিল।

সজ্জিত ঘোড়ায় চড়ে সদলবলে রওয়ানা হলো তার তৈরী জান্নাত দেখার জন্য।

ঘোড়ার পিঠে বাদশাহ তার জান্নাতের দরওয়াজায় পৌছালো। পিছন থেকে এক মুছাফির এসে বললো । বাদশাহ মশাই । আপনার সাথে আমার কিছু কথা আছে। বাদশাহ বাদশাহী মেজাজে গরম হয়ে গেল।

বললো আর বুঝি সময় পাওনি । যাও রাজপ্রাসাদে গিয়ে অপেক্ষা

করো। আমি আমার জান্নাত দেখে তারপর তোমার কথা শুনবো।

মুছাফির বার বার অনুরোধ করায়ও বাদশাহ তার কথায় কর্নপাত করলো না। মুছাফির ঘোড়ার লাগাম ধরে এক হেচকা টান দিতেই বাদশার হুশ হয়ে গেল। নরম ভাষায় বললো বলো তোমার কি অারজি।

মুছাফির বললো , আপনার কানে কানে বলতে হবে বাদশাহ মশাই।

বাদশাহ তার কান মুছাফিরর মুখের নিকট নিল।

মুছাফির কোমল ভাষায় বললো ।

আমি মালাকুল মওত। তোমার জান কবজের জন্য এসেছি।

বাদশার অন্তরাত্তা কেপে উঠলো।

বললো, এত সখ করে আমি জান্নাত তৈরী করেছি। উহা এক নজর দেখার সুযোগ দিন।

মুছাফির বললো, এক মুহুর্তও নয়। ঘোড়ার পিঠেই তার জান কবজ করে নিল। উক্ত জান কবজে আজরাইল আ: এর মনে খুব কষ্ট লেগেছিল। কারন আল্লাহ পাক তাকে এত কষ্ট করে তৈরী জান্নাত দেখার সুযোগও দিলেন না। তাই।

তারপর। আজরাইল আ: আল্লাহ পাকের নিকট প্রশ্ন করলো ।

হে আল্লাহ তোমার কুদরাত ও মহিমা বুঝার শক্তিতো আমার নেই।

তুমি বাদশাকে কেন জান্নাত দেখেতে দাওনি বিস্তারীত জানালে মনে শান্তনা

পেতাম।

আল্লাহ পাক বললেন। হে আজরাইল। তোমার কি স্বরন পড়ে । সমুদ্রের মধ্যে এক মা সন্তান প্রসব করেছিল্। আমি মায়ের জান কবজের হুকুম করেছিলাম এবং তার অসহায় শিশুকে একটুকরা কাঠের উপর করে বাচিয়েছিলাম ।

তখনও তুমি উ্ক্ত প্রশ্ন করেছিলে। তুমি কি জান এই বাদশাহ সেই সমুদ্রে যাকে

আমি হেফাজত করেছি সেই ব্যক্তি। আজ ক্ষমতা পেয়ে আমার নাফরমানী করছে।

খোদায়ী দাবী করছে। তার নাম বাদশাহ সাদ্দাদ।

আমি সীমালংঙ্গনকারী ও কাফের বেঈমানকে এভাবেই শাস্তি দিয়ে থাকি।

যাতে করে সমগ্র মানব জাতী এর থেকে শিক্ষা গ্রহন করে।

বিষয়: বিবিধ

৫০২৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

338926
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:১৮
আবু সাইফ লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ..

স্মরণ করিয়ে দিলেন, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, জাযাকালাহ . . "
৩১ আগস্ট ২০১৫ রাত ১১:২৬
280287
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ওয়ালাইকুমসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহে ওয়াবারাকাতুহু
আপনাকে আল্লাহ প্রতিদান দিক
অনেক ধন্যবাদ
338958
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ রাত ০৪:২৪
প্যারিস থেকে আমি লিখেছেন : চমৎকার শিক্ষনিয় ও ভালো লাগা পোস্ট।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১০:১০
280342
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
338967
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৫:৪০
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : এই ঘটনা সঠিক নয়।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ০৮:১৭
280335
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : আমিও তাই জানি! তবে পক্ষে বা বিপক্ষে বিস্তারিত তাহক্বীক দেখতে পারলে ভালো হতো!
সম্ভবত এটা ইসরাইলি রেওয়াত?!
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৩১
280747
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : বানোয়াটি ঘটনা আবার পক্ষে বিপক্ষের কি আছে? এগুলো গাল গল্প মাত্র। নিচে গ্যাঞ্জাম খান এর উত্তর দেখুন।
339002
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সকাল ১১:৪০
হতভাগা লিখেছেন : সাদ্দাদের বেহেশত - এটা কোথায় অবস্থিত ?
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৫
280375
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : সনদে ইস্রাইলীতে কত ধরনের আজগুবি গালগল্প আছে তার একটি বাস্তব নমুনা হচ্ছে এই গল্পটি। মানুষকে হেদায়তের পথে আনার জন্য কিচ্ছা কাহিনী তৈরী করে উদাহরণ দেয়া তেমন কোন দোষের নয়। কিন্তু কাহিনী বানাতে গিয়ে আহলে কিতাবীরা কত বড় বড় আজগুবি গল্প গুজব তৈরী করেছে তার সামান্য নমুনা হচ্ছে এই গল্পটি। আমাদের দেশেও মিলাদ মাহফিল এবং ওয়াজ নসীহত ব্যবসায়ীরা এজাতীয় ইস্রাইলী সনদের কিচ্ছা কাহিনীগুলো বিতরণ করে টু পাইস কামাই করে থাকে। আহলে কিতাবীরা আল্লাহর দেয়া বিধানাবলীতে পরিবর্তন ও নিজের মনগড়া আয়াত ডুকিয়ে দেয়ার কারণেই শেষ বনী মুহাম্মদ (সা) এর উপর কোরআন নাজিল করে দায়িত্ব শেষ করেননি বরং সেখানে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনের হেফাজতের দায়িত্ব সয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের নিয়েছেন।
339023
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০২:৪৩
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : সনদে ইস্রাইলীতে কত ধরনের আজগুবি গালগল্প আছে তার একটি বাস্তব নমুনা হচ্ছে এই গল্পটি। মানুষকে হেদায়তের পথে আনার জন্য কিচ্ছা কাহিনী তৈরী করে উদাহরণ দেয়া তেমন কোন দোষের নয়। কিন্তু কাহিনী বানাতে গিয়ে আহলে কিতাবীরা কত বড় বড় আজগুবি গল্প গুজব তৈরী করেছে তার সামান্য নমুনা হচ্ছে এই গল্পটি। আমাদের দেশেও মিলাদ মাহফিল এবং ওয়াজ নসীহত ব্যবসায়ীরা এজাতীয় ইস্রাইলী সনদের কিচ্ছা কাহিনীগুলো বিতরণ করে টু পাইস কামাই করে থাকে। আহলে কিতাবীরা আল্লাহর দেয়া বিধানাবলীতে পরিবর্তন ও নিজের মনগড়া আয়াত ডুকিয়ে দেয়ার কারণেই শেষ বনী মুহাম্মদ (সা) এর উপর কোরআন নাজিল করে দায়িত্ব শেষ করেননি বরং সেখানে স্পষ্ট ঘোষণা দেয়া হয়েছে পবিত্র কোরআনের হেফাজতের দায়িত্ব সয়ং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নিজের নিয়েছেন।
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৯
280396
আওণ রাহ'বার লিখেছেন : ইসরাইলি সনদ যদি কুরআন হাদীসের সাথে সংঘর্ষপূর্ণ না হলে তাতে সমস্যা হবে কেন?!!
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৭
280397
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আলোচ্য কিচ্ছাটাতে কোরআনের কোন আয়াতে সমর্থন আছে? অথবা হাদিসের কোন রেওয়াতে আছে আলোচ্য কিচ্ছাটি? আপনার জানা থাকলে সূত্র উল্লেখ করে বলে দিন যাতে আমরাও জানতে পারি সঠিক তথ্যটি।
339029
০১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ দুপুর ০৩:২৬
আবু জান্নাত লিখেছেন : কোন সূত্র জানা থাকলে উল্লেখ করতে পারেন।
আর মনগড়া বা সূত্রহীন হলে ডিলিট করে দেওয়াটাই কাম্য।
339439
০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৩
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File