!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-২২) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ৩১ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:০৭:৩৯ সন্ধ্যা
৮-৯ বছর আগের কথা , কাতার থেকে ছুটিতে বাড়ী এসেছি। ঢাকাতে আমার মামা শ্বশুড় বাড়ী আছে উত্তর খান সেখানে কোন এক কাজে গিয়ে রাত্রে থাকা লাগছে।
মামা শ্বশুড়ের বাসাতে থাকতেই আমার এক কাতারের কলিক যে কিনা বর্তমানে টঙ্গি শাখা তামিরুল মিল্লাতের পাশে নিজেস্ব বাড়ীতে থেকে ব্যাবসা করেন উনি ফোন করে বললেন কালকে দুপারের খাওয়া কিন্তু আমাদের বাসায় খেতে হবে।
ওনার সাথে কাতারে দুই সম্পর্ক বেশী জড়িয়েছিলাম , এক নাম্বার আমার কোম্পানীতে উনি যোগদান করার পরে আমি একমাত্র বাংলাদেশী ব্যাক্তি যার সাথে কথা হয়েছিল আর দুই নাম্বার সম্পর্ক ছিল যদিও উনি শিবিরের সদস্য ছিলেন দেশে কিন্তু কাতার যাওয়ার পরে সংগঠনের ভাইরা কে কোথায় বা অফিস কোথায় কিছুই জানা ছিল না , সপ্তাহিক বৈঠকে ওনাকে বন্ধু হিসেবে নিয়ে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত করাইয়াছিলাম যার কারনে ওনার সাথে আমার আন্তরিকতা একটু বেশী ছিল।
যাই হউক উত্তর খান থেকে টংঙ্গি আসব , মামা শ্বশুড় আর্মির রিটাইয়ার্ড অফিসার বললেন সোজা একটা রাস্তা আছে নদী পার হলে তোমরা টঙ্গি পেয়ে যাবা সেই মোতাবেক আমরা সওয়ারী নৌকায় উঠেছি।
সাথে আছে আমার ছেলে হাছান মেয়ে জান্নাত , আমার বাড়ী আলী আর আমার শ্বাশুড়ী।
আমার চশমার খাপ পকেটের ভিতর হওয়াতে প্যান্টের সাইট পকেট একটু উচু উচু লাগতেিছিল আর নৌকাতে অতিরিক্ত যাত্রি উঠানোর কারনে বেশ কস্টেই দাড়ানো যাচ্ছিল তারপরেও কন্টেটার ভাড়া আদায় করার জন্য যখন আসলো তখনো আরো বেশ অস্তি বোধ হলো।
এই ভিড়ের মধ্যে কে একজন আমার প্যান্টের সাইট পকেট থেকে চশার খাপ নিয়ে ফেলেছে।
ভদ্রলোক হয়তো অভদ্রভাবেই চেয়েছিল পকেট কাটার জন্য কিন্তু দুর্ভাগ্য সে পকেটে কিছুই পায়নি এবং ধরাও পরেনি। লোকটার ডবল স্টান্ড হয়েছে।
আমি উপরে উঠে ব্যাগপত্র নিয়ে কিছু ফলফলাদি কিনে সিধা রিক্সায় চেপেছি বটে আমার কাছে একটু ফ্রিফ্রি লাগছে !
বসতে এখন আর কস্ট হচ্ছে না , যাই হউক পকেটে হাত দিয়ে বাড়ী আলীকে বললাম দেখ ভাগ্যটা বেশ ভাল নৌকাতে উঠার আগে পকেটের টাকাগুলি তোমাকে দিয়েছিলাম নইলে মহা কের্লেকারী হতো ।
তারপরে রিজাউল ভাই জোর করেই আমাদেরকে দুহাজার টাকা দিয়েছিল আমি যতই বলেছি টাকা হারায়নি তবুও উনি ছাড়েনি।
আবার দেখা হবে পরের পর্বে
বিষয়: বিবিধ
১১১৮ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন