!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-২০) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৮ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:৩৯:০৬ সন্ধ্যা
আমাদের গ্রামের দক্ষিনের গ্রামগুলিতে সম্ভবত কাঠাল গাছ কম ছিল। সপ্তাহিক শনি ও বুধবারে মধুপুর হাট লাগতো তখন দক্ষিনের লোকজনরা অনেক কাঠাল কিনে নিয়ে যেত।
দুর্ভাগ্য হোক আর সুভাগ্য হোক আমাদের বাড়ীর কাছে দিয়েই ছিল দক্ষিনের লোকজনের চলাচলের রাস্তা। তখন তো সবাই পায়ে হেটেই এখানে ওখানে যেত তাই আমাদের বাড়ীর পাশে দিয়ে লোকজন যেত মানে সেটা ছিল সিধা মাঠের ভিতর দিয়ে যাওয়ার পথ মাত্র।
একবার একভদ্রলোক কাঠাল কিনেছে বিশাল বড় হাতে বাজার সদাই অনেক হাটতে পারছে না খুব কষ্ট হচ্ছিল। মাগরিবের নামাজের সময় হওয়াতে আমাদের বাড়ীতে হাক মেরে বলছে ওগো কেউ কি বাড়ী আছো আমাকে একবদনা পানি দিবা আমি ওজু করে নামাজ পড়বো !
ছোট ভাইটা একবদনা পানি দিয়েছে আর নামাজ পড়ার পাটি দিয়ে চলে এসেছে।
ভদ্রলোক কাঠাল আর বাজার থুয়ে একটু দুরে পেশাপ করতেছিল।
পাকা কাঠালের গন্ধে শিয়াল পন্ডিত নিকটেই ছিল সে আর লোভ সামলাতে পারলো না দৌড়ে গিয়ে কাঠালের বোটাতে কামড় দিয়ে দেছুট !
পাটগাছ মাঝারি বড় হয়েছে আউশ ধানের গলায় থোড় এসেছে , সেই ক্ষেত দিয়ে দেখা যাচ্ছে শিয়াল দৌড়ে যাচ্ছে।
ভদ্রলোকের চিতকারে আমরা বের হয়ে একটু দৌড়ে শিয়ালের থেকে কাঠাল নিতে চেষ্টা করলাম তখন পর্যন্ত কাঠাল ভেঙ্গেচুরে একাকার হয়েগেছে। যেই অবস্থা হয়েছে তাতে কাঠাল বাড়ী অবধি নেওয়া সম্ভব না। মনো কষ্টে ভদ্রলোক বলল আচ্ছা বাপুরা এই কাঠাল আমাদের বরাতে নেই তোমরা নিয়ে যাও যদি চামড়া গরুর দিতি পারো।
নামাজ পড়ে বাজারের ব্যাগ নিয়ে চলে গেছে লোকটি।
বলে রাখি আমাদের মধুপুর বাজারের উত্তরে কয়েকটা গ্রামে এতপরিমান কাঠাল ধরে যে সেই কাঠাল বরিশাল অবধি চালান হতো।
একবার এক কাঠাল ব্যাবসায়ী বরিশাল থেকে এসে একবাড়ী রাত্রি যাপন করলো ঠিক বাড়ীটার পাশেই মধুপুর বাজার কিন্তু লোকটি আর ব্যাবসার কাজে অগ্রসর হতে পারলো না শেষ অবধি ঐ বাড়ীর মেয়ে বিয়ে করে অনেক দিন এখানে থাকতে হয়েছিল।
মেয়ের ভাইরা সবসময় পাহারা দিয়ে রাখোতো যাতে লোকটি পালাইয়া যেতে না পারে । পরে লোকজনের সন্দেহ হয়েছিল নিশ্চয় বিদেশী লোকটাকে কৌশলে আটকিয়ে তাদের মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিল।
বাজারে গেলে লোকটাকে দেখলে খুব মায়া লাগলো কিন্তু কিছু কাল পরে ঘৃনা লাগতে শুরু করেছিল এই ভেবে যে এতবড় বেটা সামান্য একটা ফাদ থেকে বের হতে পারছে না।
সত্যি সত্যি একদিন সে পালিয়ে গেছে
আবার দেখা হবে পরবর্তি পর্বে
বিষয়: বিবিধ
২০৭১ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মানুষ আটকাইয়া জোড় করে বিয়ে দেওনের পদ্ধতির কথা জানতে পেরে আশ্চর্য্য হলাম। অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন