রিকসাওয়ালা যখন উপজেলা সভাপতি ,তারপর ও সেখানে আনুগত্যের কোন সমস্যা নেই.
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ১১:৪৯:৫৭ রাত
রিকসাওয়ালা যখন উপজেলা সভাপতি তারপর ও সেখানে আনুগত্যের কোন
সমস্যা নেই.
উত্তর বঙ্গে অসংখ্য জামায়াতের রুকন আছে যারা রিকসা চালায়,
এবং কুলি দিনমজুরের কাজ করে,
এটা অসাভাবিক কিছু না.
উত্তর বঙ্গে ইসলামী আন্দোলনের কাজ একটু বেশিই হয়.
দিনাজপুর জেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন শুরু.
অধ্যাপক সাহেব রিকসায় করে প্রোগামে আসলেন,
ভাড়া ৫ টাকা কম দিলেন অধ্যাপক সাহেব,
অধ্যাপক সাহেব জানতেন না যে ভাড়া ৫ টাকা বেশি,
রিকসাওয়ালা রুকন ৫ টাকা ভাড়া বেশি চাইলেন,
অধ্যাপক সাহেব দিলেন না ও একটু তর্ক করলেন,
রিকসাওয়ালা জামায়াতের লোক দেখে কিছু বললেন না অধ্যাপক সাহেব কে,
অধ্যাপক সাহেব মন্চে উঠলেন যখন.
একটু পর সেই রিকসাওয়ালা ও মন্চে উঠলেন.
লোকজন সব দাঁড়িয়ে গেল অধ্যাপক সাহেব অবাক,
সেই রিকসাওয়ালা ছিল উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এর সভাপতি.
তারপর তিনি মন্চে বক্তব্য দেওয়া শুরু করলেন,
এবং সেই ভাড়া ৫ টাকা নিয়ে কিছু বক্তব্য দিলেন,
উনি অধ্যাপক সাহেবের কথা বলেন নাই.
অন্য লোক কে দিয়ে উদাহরণ দিয়েছেন,
অধ্যাপক সাহেব তো খুব লজ্জা পেয়েছেন,
পরে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ও বুকে জড়িয়ে ধরেছেন.
দেখুন এখানে আনুগত্যের ব্যাপারটা কত বড়.
হাদিসে আছে যে,
কোন ব্যাক্তি যদি খাট কাল ও হাফসি ও হয় ,সে তোমার দায়িত্বশীল তাকে অবশ্যই মানতে হবে.
সেই রিকসাওয়ালা একজন জামায়াতের রুকন ও উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি.
বিষয়: বিবিধ
১২৩৪ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মুল শিক্ষাটা হলো রিক্সাআলা হওয়ার তো প্রথম চিনার পরেতো পরিস্থিতি উলোটপালট হলো তাই না
তখন আনুগত্য এসেছে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অপাত্রে কন্যা দান করেছিল তাই
ফল নয় এটা
মানুষকে মানবিক দিক থেকেই বিবেচনা করতে হবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন