!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১৮) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৭ আগস্ট, ২০১৫, ১২:৫৪:৫৪ রাত
আমি আর আব্বা মধুপুর হাটে যাচ্ছিলাম বুধবার।
বাড়ী থেকে বের হয়ে অনেক দুর যাওয়ার পরে আমাদের গ্রামের আলী আহাম্মেদ বলছে চাচা আজ বাজারে না যাওয়া ভাল হবে গো ।
আব্বা বলল কেন গো কি হয়েছে বাজারে !
আলী আহম্মেদ ভাই বলছে মধুপুরের ম্যানেজার বাবুকে স্নান অবস্থায় কে যে গুলি করে পালিয়ে গেছে যাওয়ার সময় ম্যানেজার বাবুর লাইসেন্স করা বন্দুকটিও নিয়ে গেছে।
কি ভয়ংকর ঘটনা চাচা জান ! পুলিশ আর পুলিশ সেখানে আশ পাশে যাকে পাচ্ছে তাকেই গ্রেফতার করতেছে।
আব্বা বলল আচ্চা আমরা ওখানে যাব না প্রয়োজনে মাঠ দিয়ে হাটে যাব।
আমাদের ঘরে বাজার নাই যেতেই হবে তারপরেও আমরা নিরিহ মানুষ আমরা তো কারোর কোন ক্ষতি করি নাই ভবিষ্যতের কথা জানি না ।
আমরা বাপপুত যেতে যেতে প্রায় বাজারের কাছে চলে গিছি তারপর ম্যানেজার বাবুর বাড়ী সেখান থেকে পরিস্কার দেখা যাচ্ছে।
তাকিয়ে দেখি হাজার লোক সেখানে জড়ো হয়েছে আর ম্যানেজার বাবুর লাশ সাদা কাপড় দিয়ে পুকুরের ঘাটলায় ঢেকে রেখে পুলিশ কারোর অপেক্ষা করছে।
আমরা বাপপুত সেখানে চলে গেলাম পর জানতে পারলাম ঘটনার মুল নায়করা হলো জাসদ গনবাহীনির লোকজন
।
ওনারা অপারেশন করে সিধা দক্ষিনে চলে গেছে আর সামনে যাদেরকে পেয়েছে তাদেরকে বলেছে কেউ যদি এই হত্যাকান্ড নিয়ে বাড়াবাড়ী করে তবে তার আন্ডাবাচ্ছা থাকবে না।
জাসদ গনবাহীনি ঘটনা করুক আর যেই করুক সত্যি দুঃখজনক ঘটনা বলতে হবে ।
কিন্তু ম্যানেজার বাবুর মৃত্যুতে অনেক নির্যাতিত কৃষকরা অট্রহাসী না দিলেও মনের ভিতর খুশিতো ছিলোই বলতে হবে।
এই ম্যানেজার বাবুর বাবা মুসলমান কৃষককে নির্যাতন করতে ওস্তাদ না শুধু প্রেফেসর ছিলেন তার করনে ইংরেজরা তাকে আমাদের এলাকার পরগনার দায়িত্ব দিয়েছে।
মুসলমানদের রক্তে তৈরী আলিশান বাড়ী আর বাগান বাড়ী দেখে মুসলমানদের চোখের পানিই শুধু বের হতো বলার কোন উপায় ছিল না।
জীবনে একবারই গিয়ে যাহা দেখলাম মোটামুটি চোখ ছানাবড়া না হয়ে পারলো না।
কাড়ীর চারিদিকে হাজার হাজার নারিকেল গাছের হাত ছানি , শত রকমের ফলফলাদির গাছে ভরপুর ।
চুনসুড়কির তৈরী বিল্ডিং যাহা রাজা বাদশাদের বাড়ীর আদলে বানানো।
দক্ষিনে বিশাল পুকুর যেটাতে সে নিহত হয়েছিল , উত্তরেও ছিল পুকুর।
জমিদার ম্যানেজার বাবুর মৃত্যতে তার দুই ছেলের কেউ দেশে আসেনি।
জাসদ গনবাহীনি বলেছিল তার ছেলেরা যদি এলাকায় কখনো আসে তবে তাদেরকে দেখা মাত্রই পরপারের টিকিট দিবে ।
পরে জেনেছি তাদের অনেক আত্মিয়দেরকে কিছু ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়েছে আর ওরা সিধা দাদার দেশে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে
ইনুদের অত্যাচারের সামান্য স্মৃতি
আবার দেখা হবে পরে
বিষয়: বিবিধ
১০১৪ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ইনুরা তো স্বাধীনতার স্থপতিকে হত্যা করেছিল অপরাধটা ...
চট্টগ্রামের পটিয়ার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়েরা ৭ ভাই এম এ পাশ করেছিল, তাদের মা রত্মগর্ভা হিসেবে ব্রিটিশ থেকে সনদ পেয়েছিল! এই সমস্ত মানুষ চোখ বন্ধ করে নিজেদের কলিকাতার মানুষ বলে পরিচয় দিত। চট্টগ্রামের ছেলে শ্যামাপ্রাসাদ মুখার্জী ৩৩ বছর বয়সে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি হন। তিনি পূর্ব বাংলার মুসলমানদের প্রতি এত ঘৃণা পোষন করতেন যে, পুরো জীবনে মুখ ফসকে একবারের জন্যও তিনি কোনদিন বলেন নি যে, তিনি চট্টগ্রামের ছেলে!
জাসদ গনবাহিনীর মানুষ গুলো আওয়ামীলীগের মানুষই ছিল। দেশে সরকার পরিবর্তনের সকল বৈধ পথ তদানিন্তন সরকার বন্ধ করে দেয়। (আজো তাই হয়েছে) ফলে তাদের মাঝ থেকেই, তাদের মানুষই জাসদ তৈরী করে...... যাক সেটা অন্য ইতিহাস। অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অনেক ধন্যবাদ
লাগ ভেল্কি লাগ চোখে মুখে লাগ। সেলিম বলেছে, শফিউল্লা মুজিবের খুনি। শফিউল্লা বলছে সেলিম জড়িত। নিজের পক্ষে সাফাই না গাইতে পেরে এখন বলছে ইনু'মিনু গং খুনি। কিছুদিন পর হয়ত ইনু বলবে সে না আসল চক্রান্তকারী মতিয়া চৌধুরী। আসলে তারা সবাই মুজিব হত্যার বেনিফিসিয়ারী।
লাগ ভেল্কি লাগ চোখে মুখে লাগ।
খুব ভাল কথা লিখেছেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন