জাসদ হরতালের জন্য বোমা বানানোর দায়িত্ব দেয় বোমা নিখিল কে, গুলি ছুঁড়ে ইনু-আনোয়ার
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৬ আগস্ট, ২০১৫, ০৮:৫৪:৫৯ রাত
১৯৭৪ সাল, আমি তখন জাসদ করি। আমাদের একটা সিদ্ধান্ত হল, আমরা গ্রেপ্তার-অত্যাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাড়ি ঘেরাও করব , কিন্তু ঘেরাও কর্মসূচিতে সশস্ত্র আক্রমণ, এটা আমাদের জানা ছিল না।'
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কে ছিলেন এই হাসানুল হক ইন !
আর কে ছিলেন, কর্নেল তাহেরের ছোট ভাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকদিন আগের ভিসি আনোয়ার হোসেন !
আমরা জানি, মন্ত্রীর বাড়ির গেইটের সামনে যাব, সরকারের পক্ষ থেকে কেউ আসবে, স্মারকলিপি নেবে অথবা আমন্ত্রণ জানাবে বাড়ির ভেতরে স্মারকলিপি গ্রহণের জন্য।”
কিন্তু গুলিটা প্রথম এই আনোয়ার হোসেন ও হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বেই শুরু হল। যখন পাল্টা গুলি আত্মরক্ষার্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবন থেকে এল, তখন আমরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি , কারও হাত নেই, কারও পা নেই, কত জন মারা গেছে- তখন জানার সুযোগ ছিল না।”
তিনি আরো বলেন, ওই সময়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নিখিল চন্দ্র সাহার বোমায় নিহত হওয়ার ঘটনার বিবরণ দিয়ে তখনকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের জাসদ ছাত্রলীগের নেতা গয়েশ্বর বলেন, “৭৪ সালে সরকারের বিরুদ্ধে হরতালের ডাক দেয় জাসদ।
সেই হরতালে বোমা ব্যবহারের জন্য বোমা বানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয় ইঞ্জিনিয়ার নিখিল চন্দ্র সাহাকে।
যাত্রাবাড়ীর একটি পরিত্যক্ত বাড়ির মধ্যে কয়েকজনকে নিয়ে নিখিল বোমা বানাতে যায়, বোমাতে মিশানো জিনিস কোনটা আগে দিতে হয়, পরে দিতে হয়- এরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে হঠাত করে তার নিজের হাতের মধ্যে একটা বোমা ফাটে।”
নিখিলের সন্মানার্থে পেট্রোল বোমা বা হাতবোমার নাম রাখা হল ‘নিখিল’। আপনারা তথ্যমন্ত্রীকে (ইনু) জিজ্ঞাসা করবেন, বোমার অপর নাম নিখিল ছিল কি না?”
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, “হাসানুল হক ইনু বাংলাদেশে প্রথম গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সশস্ত্র রাজনীতি শুরু করেছে। এটা ঐতিহাসিক সত্য।”
খালেদা জিয়াকে নিয়ে ইনুর কড়া সমালোচনার জবাবে বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে ১৯৭২-৭৫ সময়ে জাসদের বঙ্গবন্ধু সরকারবিরোধী ভূমিকার কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন।
খালেদাকে ‘আগুন-সন্ত্রাসের নেত্রী’ আখ্যায়িত করে ইনুর বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, হত্যা, সন্ত্রাসের রাজনীতি বাংলাদেশে শুরু করেছিল জাসদ। “
আজ তিনি (ইনু) কি না খালেদা জিয়াকে ‘বোমানেত্রী’, ‘আগুন’ কী কী আবোল-তাবোল কথা বলেন।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের উদ্দেশে গয়েশ্বর বলেন, “আজকে শেখ সেলিম আপনি যদি বিশ্বাস করেন, ততকালীন ১৫ অগাস্টের ঘটনায় ইনু জড়িত, তারপরও এখনও কেন সে ঘেউ ঘেউ করে !
আসলে তো ঘেউ ঘেউ করা ছাড়া তার কোনো গতি নেই।”
সংগ্রহীত
বিষয়: রাজনীতি
১৬৪৮ বার পঠিত, ১৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জনগন কি গত ৩-৪ বছরে বিএনপির কোন ডাকে পজিটিভ সাঁড়া দিয়েছিল ?
আবারও জনগন আসবে এমনকি এখনই আসবে এবং কয়েক ঘন্টার ভিতর তাহরির স্কয়ার বানাবে যদি আওয়ামীলিগ তাদের গুন্ডাদেরকে একদিনের জন্য আটকায়ে রাখে।
না আটকালেও জনগন অবশ্ব্যই সেই দিন ক্ষনের অপেক্ষায় আছে যেমনটি ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের আগের রাত্রেও কি কল্পনা করেছিল যে কাল সকালে বাংলার আকাশ বাতাস খুশিতে ফেটে পড়বে !!!
০ আপনার পোস্টে কমেন্ট করার মজা এটাই । সিরিয়াস কথার মাঝে এমন সব কথা বলে বসেন যে হাসি থামানো কঠিন । একটু হেসে নিই
বাইরে বসে রাজা উজির ভালই মারা হচ্ছে । আপনাদের আরেক নেতা তারেক সাহেবও কিছু দিন এরকম কাব যাব করে নিজের পরিবারের ও দলের বিপদ ডেকে এনেছেন ।
এখন উনি Speak টি not
এমন বিপদ আওয়ামিলীগের জীবনে ও এসেছিল -২০০৮ সালে মইনুদ্দিন ফখরুদ্দিনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা তাতে রং দেওয়া স্বাভাবিক
২০১৪ সালের কথা নাই বললাম কারন সেখানে ব্যাখ্যা বিশ্লেশনের জন্য কোন পন্ডিত দরকার হবে না একজন কুলিমজুরকে বললেও সে পটপট করে বলতে পারবে
বন্দুকের জোরে কিছু কাল ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারলেও ইতিহাসকে কিন্তু পারেনা
যেমনটি মুজিব কাবু বাকশাল কায়েম করে তার জীবনে সমস্ত অর্জন মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিলেন
তারপরেও ইতিহাসের শিক্ষা কেউ নিক আর না নিক ইতিহাস শিক্ষা দিয়ে ছাড়ে
কারন অন্ধর মহলের কথা তো সবাই জানে না
চাপা কান্না নিয়ে সবাই মুখ বুজে আছে
চাই সেটা জনগন হোক আর সরকারী চাকুরিজিবি হউক আর সেনাবাহীনি হউক
সেকেন্টর ব্যাপার
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
জাসদের এই সব বৃদ্ধকে দেখে কি তাই মনে হয়....
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন