!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১৭) ======================================

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২২ আগস্ট, ২০১৫, ০৫:৪৮:১৫ বিকাল





আমাদের বাড়ী থেকে দুই বাড়ী পরের বাড়ীটা হিন্দুদের থেকে মুসলমানরা কিনেছিল সেই পাকিস্তান আমলে।

বিশাল বড় বাড়ীতে এমন কোন ফলের গাছ নাই বলে কোন কথা নাই । বাশবাগানের সারি এত লম্বা যে অনেক দুরঅবধি জুড়ে আছে।

সন্ধার পর বাশ বাগানের পাশে পাখিদের মেলা বসে।

কিচিরমিচির শব্দে কান ঝালফালা হয়ে যায় , দুর থেকে দেখলে মনে হতো যেন অনেক লোক ঝগড়ায় ব্যাস্ত আছে , পাশাপাশি দুইজন কথা বললেও পাশের ব্যাক্তিটি তার কথা শুনতে পরবে না এমন ছিল।

এতবড় বাশ ঝাড় যে সন্ধার পর একাএকা বাজার থেকে বাড়ী আসতে পারতাম না।



হুতুম পেচার ভিন্ন আওয়াজ, বনবাদুরের আরএক রকম আওয়াজ তারপর অন্ধকার !

হাত এনে সামনে ধরলেও হাত দেখা যায় না এমন অন্ধকার সেখানে।

আপনাকে বাশ ঝাড়ের মাঝখান দিয়ে যেতে হলে একদম সিধা যেতে হবে যদি কোন রকম একটু ব্যাকা হয়েছেন তো আপনার জন্য গর্ত অপেক্ষা করছে যেখান থেকে মাটি কেটে রাস্তার ভরাট করা হয়েছে।

একবার এক ভ্যান চালক তো ভ্যান গাড়ি নিয়ে সিধা গর্তের তলায় পড়ে গেছে ভাগ্যভাল যে পানি ছিল না নইলে কোন বিপত্তি ঘটতে পারতো।

সকাল ৭-৮টার মতো হবে , পাড়ার জুনাব মন্ডল যথারিতি অন্যান্ন দিনের মতো রাজমিস্ত্রির কাজে যাওয়ার জন্য গোছল করতে যাবে।

কিন্তু তার সেই গোছলটা আর হলো না মাটির দেওয়ালের চাপায় শরিরের হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে গেছে । অনেক কস্টের পর লোকজন তাকে ওখান থেকে বের করে বাশ তলাদিয়ে কিছুদুর যাওয়ার পর তার প্রানটা বের হয়ে গেছে।

আমরা খবর শুনে দৌড়ে আসলাম দেখার জন্য ।

পুলিশি পিরোর্ট সহ ইত্যাদি অনুষ্টানের পর জানতে পেরেছি লোকটির ফরজ গোছল হয়নি এমতাবস্তায় যে মারা গেছে এখন কি হবে ?

এটা নিয়ে অনেক কানাঘুষা হয়েছিল তখন পরে ইমাম সাহেব সেটার সমাধা ন দিয়েছিলেন।

আগে আমাদের গ্রামের অনেক মাটির তৈরী ঘর ছিল , সেই ঘর গুলি দেখলে মনে হতো যেন দালান বাড়ী ।



কালের বিবর্তনে সেই সব শেষ হয়ে এখন প্রায় সব বাড়ীতেই ইটের তৈরী ঘর ।

তখন মানুষ যেমন বেশী খানা থেকে পারতো তেমনি কাজরে বেলাতেও ওস্তাদ ।

আমাদের বাড়ীর পাশের বাড়ীতে পুকুর কাটবে , ওরা কোরা এনেছে মেহেরপুর থেকে।

মাটি কাটার স্পেশাল গ্রুপকে নাকি কোরা বলতো।

কন্চি দিয়ে তৈরী ঝুড়িতে মাটি বোঝাই করতো দেখলে ভয় লাগার অবস্তা হতো ।

চারজন মিলে ধরে একজনের মাথায় উঠিয়ে দিত আর সেই লোকটি দিব্বি মাথায় করে উপরে উঠে যাচ্ছে।

পরবর্তিতে আবার আসব

বিষয়: বিবিধ

৯৫৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

337553
২২ আগস্ট ২০১৫ বিকাল ০৫:৫৭
আফরা লিখেছেন : কাঠালের নীচেরটা কি ফল ভাইয়া ?
২২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০১
279204
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : অনেক রকম ফলের সমাহার , জোড়া দেখা যাচ্ছে দেখছেন
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপা
২২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১১
279205
আফরা লিখেছেন : না মানে আমি ঐ ফলের নামটা যানতে চেয়েছিলাম ভাইয়া । আমাদের এখানে ঐ রকম একটা ফল আছে সেটার না প্লুমন তাই ।
২২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
279208
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপু নামটা তো বলতে পারবো না সরি
ধন্যবাদ
337556
২২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:০৭
নাবিক লিখেছেন : ভালো লাগলো
২২ আগস্ট ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৭
279209
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
Good Luck Good Luck Good Luck
337581
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:০৬
শেখের পোলা লিখেছেন : বাঁশ বাগানের কথায় মনে পড়ল একবার ছোটবেলায় বাঁশ বাগানে ভয় পেয়েছিলাম৷ আমাদের গ্রামে বাঁশ বাগানে সন্ধ্যা বেলা কাকের আড্ডা হত৷ আমাদেরও মাটির ঘর আর মাটির প্রচীর ঘেরা বাড়ি ছিল৷ এ সব এখন প্রায় বিলুপ্ত হতে চলেছে৷ সাথে আছি৷
337588
২২ আগস্ট ২০১৫ রাত ০৮:৩৩
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : সে সব অনেক ইন্টারেস্টিং ছিল
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
337635
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৪
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : আপনার কাঠাল গাছ ও বাশ বাগানের ছবিটা আমাকে বড় আপ্লুত করল। আমার ছোট কালের স্মৃতির সাথে কিছুটা সাজুস্য পেয়েছিলাম। এই ধরনের এক বাঁশ বাগানের ভিতর দিয়ে অমবস্যার গভীর রাতে শ্মশানে গিয়েছিলাম, অমাবস্যার গভীর রাতে শ্মশানে গমন: চরম বিপদের মুখোমুখি! শিরোনামে ব্লগে একটা লিখাও দিয়েছিলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। ভাল থাকুন।
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ১২:০৭
279293
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : নজরুল ভাই
আপনার সাথে সহমত পোষন করলাম
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
337679
২৩ আগস্ট ২০১৫ রাত ০১:৪৭
নুর আয়শা আব্দুর রহিম লিখেছেন : পেঁচার ছবিটি দেখে মায়া লাগলো!! কি রকম শুকিয়ে গেছে.....! স্মৃতিচারণ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
২৩ আগস্ট ২০১৫ সকাল ১০:৩৬
279362
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ডিজিটাল যুগ তো তাই ওদের হয়তো এই যুগ ভাল লাগে না
স্মৃতিচারনের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File