সত্য জানুন, চলচ্চিত্রকার কাজী জহির রায়হানকে কেন গুম করে খুন করেছিল পলাতক আওয়ামীলিগের নেতারা ?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২১ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:২৪:৫৯ সন্ধ্যা
জহির রায়হানের স্ত্রী একসময়ের জনপ্রিয় চিত্র নায়িকা সুচন্দা বলেন,
“”‘’জহির বেঁচে থাকা অবস্থায় সর্বশেষ প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়ে এক বক্তব্যে বলেছিলেন¬, যারা এখন বড় বড় কথা বলেন, নিজেদের বড় বড় নেতা মনে করেন, তাদের কীর্তি কাহিনী, কলকাতায় কে কী করেছিলেন, তার ডকুমেন্ট আমার কাছে রয়েছে।
তাদের মুখোশ আমি খুলে দেবো’ এই কথা তিনি মুখ দিয়ে প্রকাশ্যে বলে ফেলার পরই তার উপর বিপদ নেমে আসে। এই বলাটাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ালো।”””
“স্টপ জেনোসাইড” খ্যাত চলচ্চিত্রকার কাজী জহির রায়হান যুদ্ধকালে পশ্চিম বাংলার বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে গিয়ে উদ্বাস্তু শিবিরে আওয়ামীলীগ নেতাদের অপকর্মের অনেক ফুটেজ ও ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন, যা দিয়ে তিনি ডকুমেন্টারী বানাতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু যুদ্ধপরবর্তী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্ট পাপিষ্ঠরা এসব কারনে জহির রায়হানকে গায়েব করে দেয়, তার লাশটিও খুঁজে পাওয়া যায় নি।
জহির রায়হান সংবাদ সম্মেলন করে এসব চিত্র প্রকাশের হুমকি দিয়েছিলেন। আর এ হুমকির পরই তাঁর অন্তর্ধানের ঘটনা ঘটে।
জহির রায়হানের ভাই শহীদুল্লাহ কায়সার যুদ্ধকালে ১৪ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর দ্বারা অপহৃত হন।
১৯৭২ সালের ৩০ জানুয়ারী ভাইকে খোঁজার নাম করে জহির রায়হানকে ডেকে নেয় স্বাধীন বাংলার প্রশাসন পরিচিতরা। এরপর থেকে জহির নিখোঁজ। তার লাশও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মুজিব সকারের পুলিশ ও মিরপুর এলাকা নিয়ন্ত্রকারী বাহিনী জহির রায়হানের পরিবারকে সাহায্য করার পরিবর্তে এড়িয়ে যেতেন।
জহির রায়হানের নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম.এ. জলিল লিখেছেন, “মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের আওয়ামীলীগ নেতাদের কুকীর্তি ফাঁস করে দিতে চাওয়ায় নিখোঁজ হন সাংবাদিক জহির রায়হান।
ভারত অবস্থানকালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের অনেক কিছুই জানতে চেয়েছিলেন স্বনামধন্য সাহিত্যিক এবং চিত্র নির্মাতা কাজী জহির রায়হান। তিনি জেনেছিলেন অনেক কিছু, চিত্রায়িতও করেছিলেন অনেক দুর্লভ দৃশ্যের। কিন্তু অতসব জানতে বুঝতে গিয়ে তিনি বেজায় অপরাধ করে ফেলেছিলেন।।।
ইতিহাসের শিক্ষা ইতিহাস তার নিজের জন্য হলেও সত্য প্রকাশ করে,
আজ যখন আওয়ামীলীগের নেতারা মুক্তিযুদ্ব নিয়ে বড় বড় কথা বলে,তখন আসলেই কলকাতার সেই হোটেল গুলা, মদের খালি বোতল গুলা উপহাস করে,আর অবশ্যই উপহাস করে সেই সব নেতাদের পরিবার আর সন্তানেরা,
কারন তারা তো জানে,তাদের বাবা আসলেই ভণ্ড মুক্তিযোদ্বা, আসল মুক্তিযোদ্ধারা এখনো সঠিক মূল্যায়ন পায়নি।
বিষয়: বিবিধ
১৮৬৪ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কীর্তন আর বন্দনার কিতাব
মুক্তি যোদ্ধার সম্মান আজ
দিবসের কারাগারে বন্দী।
মুক্তি যোদ্ধার রক্ত আজ শীতল
পঙ্গু মুক্তি যোদ্ধার পায়ে-
রিক্সার পেডেল!?
ছাউনি হীন ঘরে বসবাস
যেন যুদ্ধ জয়ের সাজা!
সনদের কাগজে মোড়া-
মুক্তি যোদ্ধার চেহারা
ভাতার জন্য হাত পাতে
সনদের জন্য দৌড়ায়!
এরাই কি সেই বীর যোদ্ধা?
যাদের রক্তে এসেছে স্বাধীনতা?
এসবই কি স্বাধীনতার অর্জন...?
ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ পিলাচ পিলাচ পিলাচ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন