!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১৬) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২১ আগস্ট, ২০১৫, ০৪:৫২:৫২ বিকাল
সদ্দারদের মহিলারা মানুষের ক্ষেতে ধান রোপন করে। সেই দৃশ্যটাই সতি বাঙ্গালী জাতী হিসেবে অসহায়বোধ করবার মতো বিষয় তারা হোক না ভিন্নজাতীর লোক কিন্তু মহিলা বলে কথা যে তারা মায়ের জাতী।
কাপড়কে হাটু সমেত তুলে কোমরে গুজবে তারপর মাথার আচল এনে মাজাকে পেচিয়ে গিরা মেরে যদি একেবারে দুগ্ধপেষ শিশু থাকে তবে তাদেরকে পিঠের সাথে কাপড় দিয়ে পেচিয়ে বেধে রাখে।
বস্যা পাতিয়ে মাছ শিকার করতো এটা হলো বর্ষির সাথে দুই তিন হাত লম্বা সুতা গেথে মোটা জাতের পাটখড়িতে একহাত লম্বা করে কেট যেই কোন ধানের জমি বা নালা বা বিলের পানিতে রাখতো । খাদ্যদেখে খেতে আসতো আর বর্ষির ফলাতে আটকে সদ্দারদের মহিলাদের হাতে আটক হতো।
বাজারে দুই জাতিয় মাছ দেখতাম ছোট বেলায় ।
এক জাতের মাছ জাল ফেলে শিকার করতো ওটার দাম একটু বেশী আর এক শ্রেনীর মাছ বর্ষায় শিকার বলে তার দাম একটু কম হতো। বর্ষার মাছ সবাই খেতে পারবে না কারন ওটা শিকার করতে কেচো ব্যাবহার করতো।
আর প্রকার মাছ শিকার করতো সেটা স্থানিয় ভায়ায় এটাকে রাবানি বলে
সদ্দাররা মহিলা পুরুষ সবাই মাটির চেহারা মাটর রংয়ের মতো।
কাতার থেকে ১০-১২ বছর আছে ছুটিতে গিয়ে লোকমুখে শুনতে পেলাম সদ্দার পাড়ায় এক মেয়ে আছে সেই রকম ঢকের। তার জন্য আমাদের মুসলমান ছেলেরা কয়েকজন নাকি দেওয়ানা হয়েছে।
আমি তো বিশ্বাসই করতে পারিনাই যে সদ্দার পাড়ায়ও ঢকের মেয়ে হতে পারে।
বিকালে আমি আর মেজো ভাই বাজারে যাচ্ছি ঠিক সদ্দার পাড়ায় যাওয়ার সাথে সাথে সেই মেয়েটি মেজোভাইকে ডাকতেছে এই হান্নান ভাই দাাড়াও ! ওর ডাক শুনে মেজো ভাই বলল কিরে ! কি বলবি ,
মেয়েটা একটু দুরে ছিল বলল আসছি দাড়াও , এইডে কি তোমার সেই বিদেশী ভাই ? দাড়াও একটু দেখি তাকে ।
মেয়েটা কাছে আসার পরে আমি একবার নজর করে চোখটা ফিরিয়ে নিলাম , কারন মেজোভাই ছিল, মনে হচ্ছিল যে আবারও দেখি কিন্তু সেটা ঠিক হবে না এবং মেজোভাই কি বলবে । মনে মনে ভাবছি এত ঢকের মেয়ে সদ্দার পাড়ায়?
আমার ছুটি থাকা কালিন এক মুসলমান ছেলের সাথে মাগুরা মুহাম্মদপুর পালিয়ে গিয়াছে।
পরে কি ভাবে যেন ওর স্বামী খোজ পেয়ে সেখান থেকে অনেক টাকা খরচ করে উদ্দার করে সেই যে ইন্ডিয়া গেছে আর ফিরেনাই।
ইদানিং সদ্দাররা তাদের পেশা পরিবর্তন করতে শুরু করেছে তবে শিক্ষার দিক দিয়ে এখন ও অগ্রসর হয়নি।
কালের সাক্ষি যে নাই সেই কলপাড়ার কল ( টিউবওয়েল) ! আমাদের গ্রামে বৃটিশদের আমলে একটা কল বসাইয়াছিল বৃটিশ সরকার ,যেই কলকে ঘিরে পুরা গ্রামের লোকজনের বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা ছিল। গ্রামের সবাই এই পাড়াকে কলপাড়া বলতো।
সবসময় এই কলপাড়ার কলতলা লোকজনে ভিড় থাকতো। এই কল পাড়ার ভিড়ের ভিতর পরকিয়ার উতপাত খুব বেড়ে গিয়েছিল। এই পাড়ায় প্রতি মাসে দুই একটা ঘটনা প্রায় হতো।
এটার কারনে কয়েকটা অপমৃত্যও হয়েছিল।
পরবর্তি পর্বে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১৪৮৩ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এরা সাওতালনা , এরা সবাই কালো মানে মাটির রং
মেয়েরাও মাটির রং কিন্তু আমি যেই চেহারার কথা লেখেছি সেটা কালোর উপরই ঢক ,
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
এরাও মনে হয় সাঁওতাল এর মত প্রান্তিক জাতি।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন