!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১৫) =========================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২০ আগস্ট, ২০১৫, ০২:৫৫:১২ দুপুর
সদ্দার পাড়ার কেতু ! দুচোখই অন্ধ ।
ওদের সদ্দার পাড়ার এক ছেলের সহযুগিতায় ভিক্ষা করতো । বাজারে বাস দাড়াইলে সেখানে হাত পেতে বলতো আমাকে ভিক্ষা দিবেন !
আমার দুচোখ অন্ধ ! আমি সাহায্য চাই !!
এই রোডে যত গাড়ি চলতো সবাই কেতুকে চিনতো ।
একবার বাস দাড়ানোর পর কেতুর সহযুগিকে গাড়িতে ধাক্কা দিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিল পর অনেক দিন কেতু আর রাস্তায় আসতে পারতো না।
এখন কেতু একা একা চলাফিরা করতে পারে সহযুগিতার কোন দরকার হয়না।
একটা লাঠি আছে সেটা দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করে এমন কি একলা একলা ঝিনাইদাহ চলে যায় ।
সদ্দাররা গুইসাপ ধরতো তারপর চামড়া খুলে বিক্রি করার জন্য । ওদের গুইসাপ ধরার ভিন্ন কৌশল ছিল , এখানে গুইসাপ আছে কিনা ওরা বুঝতে পারতো।
যদি একবার কনফার্ম হয়েছে যে এখানে গুইসাপ আছে তো আর তার কোন ছাড়াছাড়ি নাই। ধরে ফেলতোই ।
খরগোসের বাচ্চাদেরকে ধরে আনতো। বড় খরগোস অনেক দৌড়াতে পারে সেই গুলা ধরাটা অনেক কঠিন ছিল কিন্তু এই সদ্দাররা লম্বা জাল পাততো জমির এক কিনারে তারপর দুই দিন জন মিলে ছোট ছোট আখের ভিতর অস্থানরত খরগোসদেরকে তাড়া করলে ওরা ভয়ে দৌড় দিলে জালে আটকা পড়তো ।
তালপাকার সময় কলাবাদুর দেখা যেত অনেক বেশী। এই কলাবাদুররা সন্ধার আগে চোখে দেখেনা বিধায় দিনের বেলায় বাদুরদের সকল কর্মকান্ড বন্ধ থাকতো।
সন্ধা ঘনিয়ে আসার আসলেই ওরা আহারের জন্য বেরিয়ে পড়তো।
সদ্দাররা এই সময়টাকে বাদুর শিকারের মোক্ষম সময় বেচে নিত। তালগাছে অদুরে লম্বা ভলিবল খেলার জালের মতো জাল পেতে রাখতো ২০ -২৫ ফুট উপরে।
বাদুর উড়ে যাওয়ার সময় যেই জালে আটকা পড়তো অমনি রশি ঢিল করা মাত্রই নিচে জালসহ পড়ে যেত
এখন এই সদ্দারদের নাম দিয়েছে রাই ( শেখ হাসিনা ক্ষমাতায় আসার পরের কথা)
এই রায়দের যেই গুষ্টি আছে এরা সবাই নৌকা সমর্থক গুষ্টি বিধায় তাদের পদবি সদ্দার থেকে রায় করা হয়েছে।
পরবর্তিতে আবার দেখা হবে:-
বিষয়: বিবিধ
১৯১৮ বার পঠিত, ৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু
মন্তব্য করতে লগইন করুন