স্লো পয়জনিং যেন ক্যান্সারে রূপ না নেয় , তাহা হলে কিন্তু পুরা জাতি ঢংশ হয়ে যাবে , জয় বাংলা ঠেলা সামলা
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:৫৩:৩২ সন্ধ্যা
শাষক দল প্রতিপক্ষকে কারাগারে পাঠিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন করে, এটি কোনো নতুন কথা নয়।
প্রধানমন্ত্রী (যিনি তার স্বীকৃত মতে স্লো পয়জনিংয়ের শিকার) কি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে জেলে পাঠিয়ে স্লো পয়জনিংয়ের মাধ্যমে নির্যাতন করছেন?
যদি তা না হয়, তবে জেলখানায় বিএনপির জাতীয় নেতারা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন কেন?
নাসির উদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর কারাগারে মৃত্যু হওয়ার পর (পরিবারের দাবি তাকে হত্যা করা হয়েছে) এখনো পর্যন্ত মৃত্যুরহস্য জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। তবে কি পিন্টুও স্লো পয়জনিংয়ের শিকার?
মানুষের শেষ আশ্রয় ‘আদালত’ বা বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগ কি স্লো পয়জনিং থেকে মুক্ত?
কাগজকলমে বিচার বিভাগ স্বাধীন হলেও বাস্তবে কি এর মিল রয়েছে? দুদকের দায়ের করা সব মামলা থেকে প্রধানমন্ত্রী খালাস পেয়েছেন। অন্য দিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মামলাগুলো সাজার দিকে এগোচ্ছে। আওয়ামী লীগের সব মামলা প্রত্যাহার; অথচ বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীর মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
আদালত সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করছে- এ প্রশ্ন আজ গ্রামগঞ্জে সবখানে। রাজনৈতিক মামলায় আদালতের আসনে বসে কেউ যদি বলেন- উই আর আন্ডার প্রেসার, এ প্রেসারটি কোথা থেকে আসে এটাও কি কারো বোঝার বাকি থাকে?
মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জেল থেকে মুক্তিলাভের পরই হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
অসুস্থ ড. খোন্দকার মোশারফ হোসেন কারাগারের ভেতরেই পড়ে গিয়েছিলেন। পত্রিকায় মাঝে মধ্যে শামছুজ্জামান দুদু ও রুহুল কুদ্দুস রিজভীর প্রকাশিত ছবি দেখলেই প্রতীয়মান হয়, তার স্বাস্থ্যের কী পরিমাণ অবনতি ঘটেছে? পরে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে চিকিৎসার জন্য জামিন দেয়া হয়েছে। তারেক রহমানকে পায়ে হাঁটিয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ২৭ নম্বর সেল থেকে রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, অথচ রিমান্ড শেষে ফেরত আনা হয়েছে স্ট্রেচারে। এটাই তো ‘রাখিবো নিরাপদ, দেখাবো আলোর পথের’ নমুনা !
বিষয়: বিবিধ
৯৭৩ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন