!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১৪) =========================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৯ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৪৯:০৬ দুপুর
আমাদের চৌরাস্তা বাজারে ১টা চায়ের দোকান ছিল।
কথিত আছে সেখানে প্রতিদিন চার কাপ চা তৈরী হতো । মুনুসুর বিশ্বাস নামে এক মুরুব্বি সকালে এক কাপ চা খেতো এবং বিকালে এক কাপ চা খেতেন বাকী দুই কাপ চা খেতেন দোকনদার নিজে।
(দুঃখিত দোকানদারের নাম মনে হচ্ছেনা)
দোকানদারের বউর সাথে বনিবনা হতো না বিধায় বেচারা সবসময় দোকানেই থাকতেন সেখানেই রান্নাবাড়া করতেন টঙয়ের মতো দোকান ঘরটি ছিল।
চা বিক্রি হয় সকালে তা দেখার জন্য একদিন গিয়ে ওনার চরাটে বসে আছি অনেকক্ষন। কখন চা বানাবে তা দেখব , হটাত দেখলাম সেই মুনসুর বিশ্বাস এসে হাজির। মুনসুরকে দেখেই দোকানদার বললেন কি ব্যাপার আজ যে দেরী হলো !
মুনসুর বিশ্বাস বলল আরে আর বইলেন না সেই সকালে বেগুনের ভুইতে ওসুদ দিতে গিছিলাম , সেখানে গিয়েতো আমার চোখ কপালে উঠে গেছে।
ছাগলে বেগুন গাছ খেয়ে সাবাড় করে ফেলেছে । ছাগল ধরে খোয়াড়ে নিয়ে এসেছি কিন্তু তাতে আমার লাভটা কি হবে ? আমার বেগুন গাছকি ঠিক হয়ে যাবে ?
যাক সে যাইগ্গে , তুমি তো সব সময় বাজারেই থাকে আমি শুনতি পারলাম এই বাজারে নাকি কাল রাত্রি জাসদ গনবাহীনিরা মিটিং করেছিল ?
দোকানদার বলছে বাইরে অনেক কথার আওয়াজ শুনছিলাম কিন্তু আমি দোকান থেকে বের হইনি।
মুনসুর বিশ্বাস বলছে আর কি বলবরে ভাই এরা যেই অবস্থা করতেছে তাতে মনে হচ্ছে তখন রাজাকারদের সাথে থাকলে ভাল হতো । শুধু শুধু মুক্তযুদ্ধ করে কি হলো ! পাকিস্তানিদের অত্যাচার থেকে বাংগালিদের অত্যাচার পেলাম।
কথা বলতে বলতে দোকানদার তেলের স্টপে পানি গরম শেষ করেছে এখন চা বান্নাচ্ছে।
কিছুক্ষনের মধ্যে এক জেলে এসে বলছে মাছ নিবা নাকি ! দোকানদার বলছে চেংমাছ আছে ? ( টাকি মাছ)
কি পিচোট টাইপের লোকটি টাকি মাছ কিনে কালকের তরকারী ছিল তার ভিতর কোটাকাটি ছাড়া পাতিলের ভিতর ঢুকিয়ে দিল।
সদ্দার পাড়ার লোকেরা কাজ করেনা বললেই চলে শুধু মাত্র কোন কুড়ালের কাজ বা কোদালের কাজ হলে ওরা করবে ।
কিন্তু তাদের বউরা কাজ করে আয় রোজগারের মাধ্যমে সংসার চালায়।
ওদের একটা বিয়ে দেখতে গিয়েছিলাম , প্রথা অনেকটা হিন্দুদের মতো হলো ভিন্ন।
দুলা বিয়ের জন্য এসেছে শ্বশুরালয় , তারপর মই বেয়ে ঘরের চালে উঠে গেছে। আমরা সবাই তাকিয়ে আছি ওদের বিয়ের অনুষ্টান দেখার জন্য।
দুলা বলতেছে আমি এখান থেকে ঝাপিয়ে পড়ে মারা যাব তোমরা কেউ আমাকে আটকাবানা ।
কয়েক সেকেন্টের মধ্যে দুলহানী ঘরের থেকে দৌড়ে বের হয়ে বলতেছে তুমি মইরো না মইরো না , আমি তোমাকে কাজ করে খাওয়াবো তুমি চাল থেকে নেমে আস।
কিছুক্ষন পরেই দুলা নেমে আসলো পর বাকী অনুষ্টান হিন্দুদের মতোই শেষ হয়েছে্
পরবর্তি পর্বে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১৫১৬ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনকে ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন