!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১৩) =========================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৮ আগস্ট, ২০১৫, ১২:০৮:৪১ দুপুর
(সামান্য কয়েকটা স্মৃতি পিছে রয়ে গেছে দুঃখিত )
আমি যখন ক্লাশ টুতে উঠি রোল নাম্বার এক হয়েছিল তখন আমাদের পাড়ার আজিজুল একদিন আমাদের বাড়ীতে আসলো।
আমাকে বলল এই মতিন তোর সাথে কিছু কথা আছে । আমি বললাম বল কি বলবি !
আজিজুল আমাকে ডেকে নিয়ে গেল পাশে একটা বিশাল বড় আম গাছ আছে সেখানে , তখন আমের ছিজন কিন্তু পাকা শুরু হয়নি। আমাকে বলল চল এই গাছের থেকে আম খাব আর কথা বলব।
দুই জন গাছে চড়ার কিছুক্ষন পরে লিটন আসলো । এরা আমাকে বলছে তুই আমাদেরকে পড়াবি , আমরা শুনেছি তুই খুব ভাল ছাত্র।
আমি বললাম ঠিক আছে পড়াব , বলে গাছের উপরই তাদেরকে শতকিয়ার কয়েকটা শব্দ পড়াইয়াছিলাম ( ঘটনা ১০০ ভাগ সত্য )
আমাদের পাড়ায় যুবক শ্রেনীর ভিতর তখন আমার মেজোভাই ছাড়া আর কেউ লেখাপড়া করতো না , তখনকার দিনে অনেকে তাদের কোন দরকারী লেখা বা চিঠি লিখতে পড়াতে আমাদের বাড়ী আসতো।
যাইহউক পরের দিন থেকে যেই স্কুল শেষে বাড়ী আসতাম ওরা দুই জনের সাথে লেয়াকত নামে আর একজনও ছাত্র জুটে গেছে আমার কাছে পড়তে আসতো , যদিও লেয়াকত কয়েকমাস মাত্র পড়েছিল।
আমাদের ছনের ঘরের পশ্চিমের পাশে মাটির উপর পাটি পেড়ে ওদেরকে পড়াইতাম।
দেড় দুই মাস পরে আজিজুল বলতেছে এই মতিন কয় টাকা দিতি হবে তোর ! কোন কিছু তো বললিনা !!
আমি বললাম তোদের ইচ্ছা , না দিলেও না দিবি আমি কি মাস্টার নাকি ! যা পারি চেস্টা করছি তোরাও পড়ছিস।
পরের দিন আজিজুল ৫ টাকা দিয়ে বলল মা এই টাকা দিয়েছে নে ।
সেই ৫ টাকা পেয়ে আমি যে কি খুশি তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।
কয়েক মাস পরে আমার ছাত্র ছাত্রি ৮-৯ জন ।
আমার মা বলতো আল্লাহ আমার বাবারে বাচায়ে রাখুক , এই টুকু বয়সে প্রাইভেট পড়াচ্ছে ! তাকে তো আমরা পড়ানোর দরকার ছিল কিন্তু উল্টা সে !!
আমার ছাত্রদের ভিতর আইউব আলী ছিল বোকা ওকে পড়াইলে সামান্য পরে ভুলে যেত , তবে খুশির কথা হলো একজন ছাত্র বর্তমানে মাস্টারী করে ঝিনাইদাহ ।
আমার ইমিডিয়েট ছোট বোন আয়েশা , আল্লাহ ওকে জান্নাত বাসী করুক দোয়া করি । পরকিয়ায় বাধা দেওয়ায় ওর স্বামী- জানোয়ারটা আমার বোনকে হত্যা করেছিল সেই ১৯৯২ সালে।
আয়েশার সাথে একদম আমার বনিবনা হতো না তারপরে আবার মিনিটের ভিতর আমার কাছে চলে আসতো।
আমাকে বলতো সাইজে ভাই একদিন আপনি অনেক বড় হবেন ( আমাদের ভাই বোনরা একে অপরকে আপনি বলে সম্মধন করি)
আয়েশার দোয়া হিসেবে অনেক বড় হইনি তবে স্বাভাবিক জীবন ধারনের চেয়ে একটু উপরে আছি।
পরবর্তি পর্বে আবার দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১১৫২ বার পঠিত, ১৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
অফিসেইতো তাই সবসময় অনলাইনেই থাকি , তবে অফিস বলে নয় ৫টা বাজে বাসায় গিয়েও অনলাইনে থাকি ঘুম আসার আগ অবধি। এ্যারাউন্ড ১০.৩০ পর্যন্ত জেগে থাকি
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মনটাই খারাপ হয়ে গেল, তাঁর জন্য দোয়া রইল।
আগেকার দিনে একটি উচ্চ ক্লাশের ছাত্ররা ঠিক নিচের ক্লাশের ছাত্রদের পড়াত। আমিও স্কুলে এভাবে পড়াতাম এই ফাঁকে আলসে ধরনের শিক্ষকটি নিজের টেবিলে মাথা রেখে একটি লম্বা ঘুম চালিয়ে দিত। অনেক ধন্যবাদ
আমার ছোট বোনের জন্য দোয়া করেছেন ! আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
স্কুলে আগে এমন অস্যাস প্রায় শিক্ষকের ছিল
লিখে চলেন,,, ভালো লাগে পড়তে
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন