!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১১) =========================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৬ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:২৬:২৮ সন্ধ্যা
এখন প্রতিদিন স্কুলে যাই নিলা আমার সাথি । মহিদুল সেই যে স্কুল ছেড়েছে আর কখনো স্কুলের বারান্দা দিয়ে যায়নি।
প্রতিদিনকার মতো আজকেও স্কুলে যাচ্ছি কিন্তু হটাত একটা দুঃসংবাদ আসলো । খয়রা পাড়ার আমাদেরই এক ক্লাশমেট ( নাম ভুলে গিছি ) মেয়েটির। স্কুলে যাবার নাম করে খুব ভোরে বাড়ী থেকে বের হয়েছে তারপর স্কুলের কাছাকাছি বিশাল বড় একটা জামগাছে উঠেছিল । তারপর সেখান থেকে পড়ার সাথে সাথে মারা গেছে।
আমরা কি স্কুলে যাব !
আশপাশ শত শত ছেলে মেয়েরা সেখানে জড়ো হয়েছিল অকাল মৃত্য মেয়েটাকে দেখতে।
করুন মৃত্য , জাম গাছের থেকে পড়ার সাথে সাথে মাথা দিয়ে রক্তক্ষরনেই মেয়েটি মারা গেছে।
এই শোক না সামালতেই আবারও সেই জাম গাছ এর কাছে , তরমুজ বোঝাই ট্রাক উল্টে গেছে।
কতজাহেল লোক ছিল এরা, অন্য কোন গাড়ি না পেয়ে তরমুজ ভর্তি ট্রাকের ছাদে মহিলা উঠাইয়াছিল।
ট্রাকটা এমন ভাবে উল্টেছিল যে মেয়টার মুখমন্ডলসহ মাথাটা বাইরে বাকিটা ট্রাকের রেলিংয়ে চাপা দিয়ে রেখেছে।
এতসুন্দর চেহারা মেয়েটার আজও স্মৃতিচারন করলে সেই চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠে।
অনেক ঘন্টা পর ঝিনাইদাহ থেকে সাংবাদিকরা এসেছিল ক্রান এনেছিল তারপর মেয়েটিকে বের করেছিল।
একটা কথা আজও ভুলি নাই , আমাদের ক্লাশমেট রবিন্দ্র ( সম্ভবত ওর নাম ছিল রবিন্দ্রনাথ) বাবার সাথে ওদের দোকানে হাতুড়ি দিয়ে লোহা পিটাইতো আবার আমাদের সাথে স্কুলে যেতো এবং প্রিতিদিনকার পড়া মুখস্ত করে আসতো।
একবার কোন কারনে সেকেন্ট স্যারের ক্লাশের কবিতা মুখস্ত করতে পারিনাই ।
স্যার এসে জিজ্ঞাসা করলে পর পান্না নামে একটা মেয়ে ছাড়া আর কেউ মুখস্ত করতে পারেনি। আজকে রবিন্দ্ররও মুখাস্ত হয়নি।
আমার রোল নাম্বার দুই ছিল তাই আমার কখনো এমন হতো না।
স্যার সবাইকে দাড় করিয়ে পান্নাকে ডাক দিল ।
তুই সব গাধাগুলির কান মলে দিবি যা এখনই মল।
আশ্চার্য পান্না একটা মেয়ে আজকে আমাদের কান মলবে তা কি করে হয় ! তাছাড়া পান্নাও চাচ্ছিলনা এমন কাজ করবে ।
স্যার মাইরের ডর দিলে পর এক এক করে কান মলতে লাগলো !!
সে কি দৃশ্য মন থেকে কয়েকদিন ভুলি নাই।
সত্য বলতে পান্না আমার কান মলার সময় চোখে পানি টলমল করছিল পরে দঃখিত বলেছিল।
স্কুলের কাছে বাকা খেজুর গাছটার কথা আজও মনে পড়ে । সেখানে আমরা আড্ডা দিতাম । প্রাইমারী স্কুলের স্মৃতি সত্যি মনে রাখার মতো
পরবর্তি পর্বে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১২৫৯ বার পঠিত, ১৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গঠনা কি সত্যি?
ধন্যবাদ
তাই ভাবছিলাম
আপনাকেও ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
স্যারদের কথায় সহপাঠিদের সাথে এরকম জিনিস আমার কখনই ভাল লাগতো না । এটা খুবই ইন্সাল্টিং , এমনও হতে পারে যে সে আপনার খুব ভাল বন্ধু ।
কিন্তু তখনকার স্যাররা এমনই করতো
ধন্যবাদ
আপনার স্মৃতিকথা খুব ভাল লাগছে ধন্যবাদ ভাইয়া ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন