!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব-১০) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৫ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:১৫:৩০ সন্ধ্যা
ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হয়েছিলাম সম্ভবত ১৯৭৮ সালে। তখন আমার বয়স ছিল ১২ বছর কি ১৩ বছর। স্কুল অনেক দুরে হওয়াতে সম্ভবত এমন হয়েছিল।
মেজোভাই আমাকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলিয়ে ৫টাকা দিয়ে ভর্তি করাইয়াছিলেন।
জীবনের প্রথম দিন স্কুলে গেলাম অনেক খুশি লাগছে।
বেশ কিছু সময় মেজোভাইর সাথে থেকে প্রথম দিনকার মতো চলে এসেছিলাম।
পরদিন পাড়ার মহিদুল সহ সিধা বাইলে মাঠ দিয়ে যেতে যেতে দেখলাম তামাক আর আখের জমি।
তারপর স্কুলের আঙ্গিনায় গিয়ে দেখি বাচ্চারা নিমগাছের নিচে পড়তেছে। আমি এবং মহিদুল নিমগাছের নিচে বসে পড়লাম।
আমাদের পাশে আর একটা ক্লাশও বসেছিল সেটা নাকি ক্লাশ টু।
যাই হউক নিম গাছের তলায় পড়াটার মজাই আলাদা যদিও আজ কালকার বাচ্ছারা সেই সুযোগ পাবে না কারন এখনতো সব জাগায়ই দালান ।
আমাদের থার্ড সার ( দুঃখিত নাম ভুলে গেছি) উনি আমাদের ক্লাসে পড়াইতে এসে চেয়ারে বসে কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়েছেন।
পরে শুনেছিলাম ওনার নাকি এমন অভ্যাস আগের থেকেও ছিল ক্লাশে গেলে ঘুমিয়ে পড়তেন।
থার্ড সার ঘুমিয়েছেন হা করে , আর নাক ডাকছেন , কি আশ্চার্য ঘটনা এমন সময় নিমের একটা পাকা ফল টপ করে সারে মুখের ভিতর পড়লো।
মুখ খোলা থাকাতে নিমের ফলটা কন্ঠনালির অর্ধেকে চলে গেছে।
স্যার লাফ মেরে উঠে এদিক ওদিক তাকাচ্ছেন আর গলার ভিতর থেকে নিমের ফল বের করার চেষ্টা করছেন।
আমরা ছাত্রদের মধ্যে যারা দেখেছি ওরাতো সারের কান্ড দেখে খিল খিলিয়ে হেসে উঠেছিলাম।
স্যার মনে করেছিল অন্য স্যার মশকারী করে এমন করেছে বুঝি। আমরা বললাম সার এমনি বাতাসে নিম ফল পড়েছে সিধা আপনার মুখে।
স্কুল ছুটির পর মহিদুল সহ উপরের শ্রেনীতে ছিল পচা দুলাল , জলিল এবং আরো অনেকের নাম আজ মনে নেই। এই ঘটনা নিয়ে মজা করতে করতে বাড়ী এসেছিলাম
ভর্তির বেশ কয়েকমাস পরে আমাদের পাড়ার হিন্দু পরিবার নিলার মা আমাকে বলল, বাবা আমাদের নিলাকে তুমি সাথে করে স্কুলে নিয়ে যাবা। আমি বললাম চাচি ওর পায়ে ও হেটে যাবে তাতে আমার দরকার কি ?
যদি সঙ্গির দরকার হয় সে আমার পিছে পিছে যাবে তাতে কোন সমস্যা নাই।
আমার ক্লাশ ফ্রেন্ড মহিদুল সহ আরো কয়েকজন বলল , তুই নিলাকে তোর সাথে নিতে পারবি না , ও একলা যাবে আমরা হিন্দুর গুষ্টি...........।
একপর্যায় মহিদুল একদিন আমাকে ধরে মেরেছিল নিলাকে আমার সাথে নেওয়ার কারনে।
তারপর বাড়ী থেকে হানিফ বলে একজনের দিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম হেড সারের কাছে।
হেড স্যার মহিদুলকে এমন মারা মারলো যে মাইরের চোটে স্কুল থেকে দৌড়ে বের হয়ে সারদেরকে গালি গালাজ করছে আর আমাকে বলছে শালা তুই স্কুল থেকে বাড়ী যাবি না তোকে মজা দেখাব।
ঐদিন স্যার পাকা রাস্তা দিয়ে অনেক দুর এগিয়ে দিয়ে বলছিলেন প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে আসবি আর একলা আসবি না।
সেই যে মহিদুল স্কুলের বারান্দা থেকে বের হলো আর কখনো ফিরে নি।
পরের পবে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১০৩০ বার পঠিত, ১১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমরা যখন ক্লাশ ফোরে উঠি তখন আমাদের গ্রামে একটা স্কুল প্রতিষ্টিত হয়েছিল । এর আগে ৫-৬ গ্রাম মিলে একটা স্কুল ছিল
আপা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমরা যখন ক্লাশ ফোরে উঠি তখন আমাদের গ্রামে একটা স্কুল প্রতিষ্টিত হয়েছিল । এর আগে ৫-৬ গ্রাম মিলে একটা স্কুল ছিল
মন্তব্য করতে লগইন করুন