!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব -৭) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ আগস্ট, ২০১৫, ০৬:২১:৫২ সন্ধ্যা
কালিতলায় নাপিতরা প্রায় সপ্তায় কিত্তন দেয়।
আমাদের পদবী মুন্সিটা হয়েছে ধর্মীয় অনুশাসন মানার কারনে । যদিও মুন্সি ব্যাবহ্নত হতো ইংরেজদের অফিসের কেরানীদের ক্ষেত্রে , মুসলমানরা ইংরেজি জানতো না হারাম বলে ফতোয়ার কারনে তারপরও কিছু কিছু লোক সবার অগচোরে একটু একটু ইংরেজী শিখেছিল ।
ইংরেজরা এই অর্ধ শিক্ষিত লোকগুলোকে অফিসে রাখতো, সাধারন লোকদের সাথে যোগাযোগ করার জন্য।
যাই হউক বলছিলাম মা বাবার একেবারে মানা ছিল হিন্দুদের এই সকল অনুষ্টানে উপস্থিত না হতে।
আমরা বাকীরা মানলেও মেজো ভাই এই সকল নিতি মানতো না।
বৃহসপতিবার রাত্রে যখন কিত্তন হচ্ছিল কালিতলায় আর অন্যদিকে ঠাকুর মশাই পুজায় ব্যাস্ত ছিলেন।
মুর্তির সামনে ভোগ ছিল , তাতে হরেক রকম ফলের টুকরা , দই , মিষ্টি সহ অনেক জিনিস।
সবাই কিত্তনে ব্যাস্ত , এদিকে মেজো ভাই চিন্তা করলো সুযোগ এইটাই কাজে লাগাতে হবে ভোগের থালাটা নিয়ে চম্পট দিবে বলে মাত্র মনস্থির করছিল ।
কিন্তু !
কুত্তা মেজোভাইর আশা পুরা করতে দিল না। কুত্তা সরাসরি ভোগের থালাতে মুখ দিয়ে খেতে শুরু করলো।
মেজোভাই দিল চিতকার ! এই বিধান !! শালা তোরা কিত্তন খেল আর এই দিকে তোদের ভোগতো দেবি খেলো না ! কুত্তা খেয়ে গেল।
এই কথা শুনে ওদের কিত্তন খেলা থেকে দৌড়ে কয়েকজন এসে কুকুরকে তাড়া দিল।
মেজোভাইর সহপাটির নাম ছিল বিধান চন্দ্র শিল ।
ঐ নাপিত বাড়ীর লোকজন বাশঝাড়ে পায়খানা করতো।
পায়খানার আগে একটা ছোট গামছা পরে বাগানে যেত , তারপর সেখানে গামছাটাও খুলে একটু দুরে হাগু করতো।
মেজোভাই বলছে শালা নাপিতরা তোমরা লেংটা হয়ে হাগু করো !! দাড়াও মজা দেখাচ্ছি।
বিধানের দাদা এসেছে হাগু করতে ।
যথারিতি গামছা খুলে যেই হাগু করতেছিল ওমনি মেজোভাই গামছাটা নিয়ে সিধা বাড়ী চলে এসেছে।
দাদুর হাগু শেষ এখন গামছা পায় না , এদিক ওদিক খোজ করতেছে।
বেশ কিছুক্ষন খোজাখুজি করে বলতেছে হায় ভগবান আমার গামছাটা মনে হয় কুকুরে নিয়ে গেছে এখন আমি বাড়ী যাবো কি পরে ?
মেজো ভাই দুর থেকে এই অবস্থা দেখে কাছে আসছে , তারপর বলল দাদা আর এমন কাম করেই না কুকুর আবারও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে পারে।
আজ আমাদের এখানে আপনার গামছা পাওয়া গেছে নেন
পরবর্তিতে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
২০৩৪ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
অনেক ধন্যবাদনিন
মন্তব্য করতে লগইন করুন