!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব ৪) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১০ আগস্ট, ২০১৫, ১২:৩৩:২৭ রাত
শীতের আনাগোনা মাত্র শুরু হয়েছে কিন্তু ব্যাস্ত হয়ে পড়েছে গাছি ।
খেজুরের রস সংগ্রকারীরা পাটের সুতালি থেকে পাকিয়ে পাকিয়ে মোটা রশি তৈরী করে , গাছ কাটা দা ধার দেয় ,নলি বানায় , মাটির পাত্র ( স্থানীয় ভাষায় কাইড়ে বলে )
তাপালি কিনে সেই মাপে চুলা তৈরী করা সহ অনেক প্রস্তুতি নিতে থাকে।
এমন মৌসুমে আশপাশের ঝোপঝাড় থেকে বনবিড়ালের উতপাত কিন্তু তখন বৃদ্ধি পায়।
রহিমের মা সকালে মুরগির ঘরের দরজা খুলতে গেছে কিন্তু মুরগি নাই।
আরে রাত্রে মুরগি ভর্তি দরজা বন্ধ করলাম এখন মুরগি নাই কেন্ ?
মুরগি আছে কিনা চেক করার জন্য যেই ভিতরে হাত ঢুকায়েছে রহিমের মা , অমনি ঘটে গেল অবাক কান্ড !!
মুরগিতো পেলই না উল্টা তার হাতে বনবিড়ালে কামড় বসিয়ে দিল।
রহিমের মা চিতকার দিতেই সুচতুর বনবিড়াল দে ছুট। তাকে আর কে পায়।
ওখানে প্রচুর শিয়ালের উপদ্রপ ছিল।
একবার আমাদের স্বর্না নামের ছাগল ( এমনি নাম রেখেছিল) ভাগাড়ে ঘাস খেতে ঘুটো পুতেছি মাত্র। এই মাত্র দুই তিন মিনিট দুরের রাস্তায় দৌড়ে গিছি শিয়াল দাবড়াতে , ঐ বদমাইস শিয়ালটা আমার চাচীদের বড় হাস মুখে নিয়ে পালিয়ে গেছে। অনেক খোজাখুজি করেও আর তাকে পাওয়া যায়নি।
ওখান থেকে ফিরে এসে দেখি দুইটা শিয়াল শ্বর্না ছাগলটাকে কোরবানীর জন্য ছোট আখের জমিনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
একশিয়ালে রশি ধরে টানছে আর এক শিয়াল পিছনের থেকে তাড়া দিচ্ছে।
আর মিনিট খানেক দেরী করে আসলে হয়তো জীবিত শ্বর্না পেতাম না ।
শিয়াল আমাদের প্রতিবেশীর বড় মুরগি নিয়ে ছুট দিল।
মেজোভাই হৈ বলে চিতকার দিয়ে ঐ শিয়ালের পিছনে দৌড়াতে লাগলো ততক্ষনে আরো কয়েকটা বাচ্ছারা আমি সহ শিয়ালের পিছনে দৌড়াচ্ছি।
পাটগাছ ছোট ছোট বিধায় শিয়াল পন্ডিত যাচ্ছে যে সেই অনুমানের ভিক্তিতে আমরাও চৌড়াচ্ছি।
হটাত আমাদের দৌড়ানো বন্ধ হয়ে গেছে।
মেজোভাই পিছে এসে বলতেছে এই শিঘ্ঘিরি বাড়ী চল এখানে বিপদ আছে।
কি বিপদ !!
হাসানুল হক ইনুদের জাসদ গনবাহীনি লোক একজনকে মেরে এখানে পাটখেতে ফেলে রেখেছে ।
আমরা দৌড়ে স্থান ত্যাগ করলাম ( তখন আমাদের এলাকাতে জাসদ গনবাহীনিরা প্রায় লোক হত্যা করতো )
পরের পর্বে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১৪৭০ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
শেষে এসে কঠিন চমক দিলেন। ভালো লাগলো। শুকরিয়া।
ভালো লাগলো।
আপনাকে ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন