!!!!!!!!!!!! অতীতের ফেলে আসা স্মৃতিগুলি !!!!!! ( পর্ব ২) ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৭:৩৮:২৫ সন্ধ্যা
বাড়ীর পশ্চিম পাশে শমসের-কওছের মোল্লাহ নামে দুই ভাইর আম বাগান ছিল। সম্ভবত বড় বড় ৫টি কিম্বা ৬টি আম গাছ ছিল যাকে কেন্দ্র করে সেখানে গাদন খেলা হাডুডু খেলা বা অনেকে গল্পগুজব করতেও সেখানে যেত বিশেষ করে আমের ছিজনে এমনটা বেশী হতো।
সেখানে আখ মাড়াইর খোলাও ছিল। শুধু আখ মাড়াইর সময় কয়েক মাসের জন্য এটা বেশ জমজমাট থাকতো। ২৪ ঘন্টাই লোকে গিজগিজ করতো।
গরুর সাহায্যে লোহার তৈরী তিনটা হুইলের মতো জিনিস দিয়ে রস বের করা তারপর সেটাকে গুড় বানানোর স্পেশাল লোক ছিল তাকে বয়াতি বলতো।
সে বয়াতির অন্যরকম চাহিদা ছিল। অনেক বেশী টাকা দিয়ে বয়াতিকে ভাড়া করতো কয়েক মাসের জন্য ।
গেরোস্তরা বয়াতির খানাপিনার দিকে বেশী খেয়াল রাখতো , কারন বয়াতি যদি তার আখ মাড়াইর পালার দিন একটু খেয়াল না করে তবে তার গুড় দানা পড়বে না। আর দানা না পড়লে সে গুড়ে ভাল দাম পাবে না।
বয়াতি বলতো শালারা তোরা গুড়ের দানা যদি চাইস তবে আমার মুখে দানাপানি দিতে হবে , মানে মিনিটে মিনিটে পান কয়েক ঘন্টা পরে নাস্তা মাছ গোস্তের খাবার তবেই সব ঠিক হবে।
খবরদার যেই দিন তোমাদের আখমাড়াইর পালা আসবে সেই দিন তোমরা বাড়ী যেতে পারবা না কোন নাপাকি কর্ম করতে পারবা না তাইলে তোমার গুড়ের দানা পড়বে না। অস্থা দৃষ্টে মনে হতো বয়াতি একটা বড় জ্ঞানীর ঘরের জ্ঞানী।
আখ মাড়াইর ছিজনে দুই বখেটো আমার বিবাহীত চাচাতো বোনের উপর কুদৃষ্টি দিল তার ফল যা হবার তাই হলো তালাক দিল তার স্বামী্
মেজো ছাতাতো ভাইর সরকারী চাকুরীর সুবাদে আবার একটা জামাই আনলো , বোনটি তো কবুল বলবেই না কোন মতে , চাচাত ভাই খেজুর গাছ কাটা ধারালো ছেনি ( স্থানীয় ভাষায় দা বলে) দিয়ে কোপ দিতেছিল হটাত অন্যরা সেই বিপদ থেকে রক্ষা করলো এবং মুখ দিয়ে কবুল বলালো।
কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। রাত্রে নতুন দুলাভাই হাতে কামড় মেরে ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। বেচারা নতুন মানুষ একটা বেকুপ বনে গেল।
পরে সেই সংসারটাও ভেঙ্গে গেছে।
তুতীয় জনের কাছে শেষ অবধি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন সেই বোনটি।
পরে তৃতীয় পর্বে দেখা হবে
বিষয়: বিবিধ
১০৯৭ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন