======== পৃথিবীর সবচাইতে রহস্যময় ও ব্যাখ্যাহীন ঘটনা======= ======================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৭ আগস্ট, ২০১৫, ০৩:৩৪:০৩ দুপুর
১. সবুজ রঙ এর মানুষগুলো!
১২ শতাব্দীর দিকে লন্ডনের এক গ্রামে খুঁজে পাওয়া যায় দুই ভাই-বোনকে। দেখতে আর দশটা স্বাভাবিক মানুষের মতনই ছিল তারা। দুটো হাত, দুটো পা, একটা মুখ। তবে সমস্যাটা ছিল অন্য একটি জায়গায়। আর সেটি হচ্ছে ওদের গায়ের রঙ ছিল পুরোপুরি সবুজ। প্রথমে কথা বলতে চাওয়া হয় তাদের সাথে। কিন্তু অদ্ভুত কোন ভাষায় কথা বলছিল তারা। পরে অবশ্য ইংরেজি শিখে নেয় এই ভাই-বোন। ধীরে ধীরে হারায় তাদের গায়ের রঙও। বিশেষজ্ঞদের মতে পৌরাণিক গল্পকাহিনী, সমান্তরাল মাত্রা কিংবা বহির্পৃথিবীর কোনখান থেকে এসেছিল তারা।
২. ভিনগ্রহবাসীদের বই!
ভয়নিক ম্যানুস্ক্রিপ্ট! অদ্ভূত এই বইটিকে খুঁজে পায় পৃথিবীর মানুষেরা অনেকদিন আগেই। ১৪০০ শতকের প্রথমভাগে লেখা এই বইটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর ভাষা আর অঙ্কন। খুঁজে পাওয়ার অনেকদিন হওয়া সত্ত্বেও এর ভাষার কোনরকম মানে বুঝতে পারেনি কেউ। বোঝা যায়নি ঠিক কোন ভাষায় লেখা হয়েছে এর কথাগুলো। শুধু তাই নয়, বইটিতে রয়েছে ঝলমলে রঙ এর অনেকরকম অদ্ভূত গাছ ও প্রাণীর ছবি। যাকে বিশেষজ্ঞরা ভিনগ্রহবাসী বলে মনে করেন। অনেকের ধারনা এটি অন্য কোন স্থানের বই, যেটা কিনা পৃথিবীর বাইরে। অনেকে অবশ্য অদ্ভুত প্রজাতির বানর বলে আখ্যা দিয়েছেন এই প্রাণীগুলোকে।
৩. ডিয়েট্লোভ পাস
রাশিয়ার ঐ পাহাড়টিকে একনামে মৃত পাহাড় নামেই চেনে মানুষ। একবার ওতে দশজন মানুষ নতুন পথ দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে তারা ফিরে না আসায় পাঠানো হয় অনুসন্ধানী দল। আর সেই দল গিয়ে অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে দেখতে পায় যে, দশজনের দলের জন্যে নেওয়া তাবুগুলোতে খাবার ভর্তি রয়েছে এবং সেগুলো ভেতর থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। ভাবটা এমন যেন সেটা কেটেছে ওরাই! মানুষগুলোকে অবশ্য পাওয়া যায় খানিক দূরে। সবাইই মৃত ছিল তখন। একজনের জিভ ছিলনা। কয়েকজন পরিধান করেছিল মৃতদের পোশাক। আর বাকিদের ভেতরে একজন গাছে উঠতে থাকা অবস্থায় মারা গিয়েছিল। অন্যরা কেবল অন্তর্বাস আর মোজা পরেই জীবন হারিয়েছিল। ঠিক কি হয়েছিল সেখানে ঐ দশজনার সাথে? জানা যায়নি এখনো।
৪. অমর মানুষ!
১৭০০ শতকে জন্ম নেওয়া এই মানুষটিকে দেখা যায় একে একে ক্যাসানোভা, ভল্টেয়ার, কিং লুইস ১৫ এবং এমনকি জর্জ ওয়াশিংটনেরও সঙ্গী হতে। মোট ১২ টি ভাষায় পারদর্শী এই লোককে মানুষ ভায়োলিনবাদক, ধনী ইত্যাদি নানান পরিচয়ে জানত। অনেকে মনে করত বার্ধক্যজনিত সমস্যা থেকে বাঁচানোর উপায় জানতেন এই লোকটি। ২১ শতাব্দী অব্দি তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় লোকসম্মুখে। কে জানে! তিনিই হয়তো সেই মানুষ যিনি আবিষ্কার করতে পেরেছিলেন অমর হবার অষুধ।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
সুপারম্যান এর পরিজনেরা ক্রিপ্টন গ্রহ থেকে এসে সরাসরি ইংরেজী ভাষাতেই কথা চালিয়েছিল।
সত্য ঘটনা প্রকাশ না করে যখন ঢাক ঢাক গুড় গুড় করা হয় তখন বোঝা যায় যে এ থেকে ধান্ধা করতে চায় সংশ্লিষ্ট লোকেরা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন