শয়তান তার আওলিয়াদের কাছে ওহী নাযিল করে !!! =====================================
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ আগস্ট, ২০১৫, ১২:১৫:৪৫ রাত
আমাদের দেশে একশ্রেণীর মানুষ অলি-আওলিয়ার ধুয়া তুলে পীর-মুরিদীর বিনা পূজির বংশগত ব্যবসা বা মাযার নামক মরা মানুষের ব্যবসা নিয়ে তুমুল ঝগড়া বিবাদ করে।
কেউ যদি মাযার ব্যবসাকে, কবরে বা পীরকে সিজদা করাকে শিরক বলে, পীরদের কোরান সুন্নাহ বিরোধী কথা বার্তা বা আমলের বিরোধীতা করে,
পীর বা ওরসের মেলায় নাচ গানকে ভন্ডামি বলে তাহলে ইয়াহুদী খ্রীস্টানদের দালাল, লা মাযহাবী, ওয়াহাবী সহ বিভন্ন আজেবাজে নামে ডাকে।
তবে এই ভন্ডদের একটা কথা কিন্তু ঠিক আছে, তারা যে অলি আওলিয়ার দাবী করে সেটা।
কি ভাবে ঠিক আছে ! তারা হচ্ছে আওলিয়া উস-শায়তান বা শয়তানের
আওলিয়া, যেমনটা কোরানে আল্লাহ বলেছেন, “নিশ্চয়ই শয়তান তার আওলিয়াদের (বন্ধুদের) কাছে ওয়াহী করে, তারা যেন তোমাদের সাথে তর্ক
করে।
হে মুসলমানেরা সাবধান ! যদি তোমরা তাদের আনুগত্য করো, তাহলে তোমরাও মুশরেক হয়ে যাবা।
সংগ্রহিত
বিষয়: বিবিধ
১৭০৮ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
(সূরা বনী-ইসরাঈল, আয়াত-৫৬)
"আল্লাহকে বাদ দিয়ে তোমরা যাদেরকে ডাক, তারা সবাই তোমাদের মতই বান্দা। অতএব, তোমরা যাদেরকে ডাক, তখন তাদের পক্ষেও তো তোমাদের সে ডাক কবুল করা উচিত যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক?"
(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৪)
"আর তোমরা তাঁকে(আল্লাহ) বাদ দিয়ে যাদেরকে ডাক তারা না তোমাদের কোন সাহায্য করতে পারবে, না নিজেদের আত্মরক্ষা করতে পারবে।"
(সূরা আল আ'রাফ, আয়াত-১৯৭)
"এবং যারা আল্লাহকে ছেড়ে অন্যদেরকে ডাকে, ওরা তো কোন বস্তুই সৃষ্টি করে না; বরং ওরা নিজেরাই সৃজিত। তারা মৃত-প্রাণহীন এবং কবে পুনরুথ্থিত হবে জানে না।"
(সূরা আন-নাহল, আয়াত-২০-২১)
"আল্লাহ বলেলেনঃ তোমরা দুই উপাস্য গ্রহণ করো না উপাস্যতো মাত্র একজনই। অতএব আমাকেই ভয় কর।"
(সূরা আন-নাহল, আয়াত-৫১)
"তারা আল্লাহ ব্যাতীত অন্যান্য ইলাহ গ্রহণ করেছে, যাতে তারা তাদের জন্যে সাহায্যকারী হয়।"
(সূরা মারইয়াম, আয়াত-৮১)
(সূরা আল আম্বিয়া, আয়াত-৯৮)
"সে আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুকে ডাকে, যে তার অপকার করতে পারে নাা এবং উপকারও করতে পারে না। এটাই চরম পথভ্রষ্টতা।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-১২)
"আল্লাহর দিকে একনিষ্ঠ হয়ে, তাঁর সাথে শরীক না করে; এবং যে কেউ আল্লাহর সাথে শরীক করল; সে যেন আকাশ থেকে ছিটকে পড়ল, অতঃপর মৃতভোজী পাখি তাকে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল অথবা বাতাস তাকে উড়িয়ে নিয়ে কোন দূরবর্তী স্থানে নিক্ষেপ করল।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৩১)
"তারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর পূজা করে, যার কোন সনদ নাজিল করা হয়নি এবং সে সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নাই। বস্তুতঃ জালেমদের কোন সাহায্যকারী নাই।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭১)
"তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের পূজা কর, তারা কখনও একটি মাছি সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা সকলে একত্রিত হয়। আর যদি মাছি তাদের কাছ থেকে কোন কিছু ছিনিয়ে নেয়, তবে তারা তার কাছ থেকে তা উদ্ধার করতে পারবে না, প্রার্থনাকারী ও যার কাছে প্রার্থনা করা হয়, উভয়ে শক্তিহীন।"
(সূরা আল হাজ্জ্ব, আয়াত-৭৩)
"যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্যকে ডাকে, তার কাছে যার সনদ নেই, তার হিসাব তার পালনকর্তার কাছে আছে। নিশ্চয় কাফেররা সফলকাম হবে না।"
(সূরা আল মুমিনূন, আয়াত-১১৭)
(সূরা আল-ফুরকান, আয়াত-০৩)
"তাদেরকে বলা হবেঃ তারা কোথায়, তোমরা যাদের পূজা করতে। আল্লাহর পরিবতে? তারা কি তোমাদের সাহায্য করতে পারে, অথবা তারা প্রতিশোধ নিতে পারে? অতঃপর তাদেরকে এবং পথভ্রষ্টদেরকে অধোমুখি করে নিক্ষেপ করা হবে জাহান্নামে। এবং ইবলিশ বাহিনীর সকলকে।"
(সূরা আশ-শো'আরা, আয়াত- ৯২-৯৫)
"অতএব, আল্লাহর সাথে অন্য কোন উপাস্য আছে কি? তারা যাকে শরীক করে, আল্লাহ তা থেকে অনেক উর্দ্ধে।"
(সূরা আন নমল, আয়াত-৬৩)
"যারা আল্লাহর পরিবর্তে অপরকে সাহায্যকারীরূপে গ্রহণ করে তদের উদাহরণ মাকড়সা। সে ঘর বানায়। আর সব ঘরের মধ্যে মাকড়সার ঘরই তো অধিক দূর্বল, যদি তারা জানত।"
(সূরা আল আনকাবুত, আয়াত-৪১)
"তারা আল্লাহর পরিবর্তে যা কিছুকে ডাকে, আল্লাহ তা জানেন। তিনি শক্তিশালী প্রজ্ঞাময়।"
(সূরা আল আনকাবুত, আয়াত-৪২)
"বলুন, তোমরা তাদেরকে আহ্বান কর, যাদেরকে উপাস্য মনে করতে আল্লাহ ব্যতীত। তারা নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের অনু পরিমাণ কোন কিছুর মালিক নয়, এতে তাদের কোন অংশও নেই এবং তাদের কেউ আল্লাহর সহায়কও নয়।"
(সূরা সাবা, আয়াত-২২)
"বলুন, তোমরা কি তোমাদের সে শরীকদের কথা ভেবে দেখেছ, যাদেরকে আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা ডাক? তারা পৃথিবীতে কিছু সৃষ্টি করে থাকলে আমাকে দেখাও। না আসমান সৃষ্টিতে তাদের কোন অংশ আছে, না আমি তাদেরকে কোন কিতাব দিয়েছি যে, তারা তার দলীলের উপর কায়েম রয়েছে, বরং জালেমরা একে অপরকে কেবল প্রতারণা মূলক ওয়াদা দিয়ে থাকে।"
(সূরা ফাতির, আয়াত-৪০)
মন্তব্য করতে লগইন করুন