র’ এর খাঁচায় আ. লীগের ১০০ কমান্ডো: গুম-খুন-অপহরণে প্রশিক্ষণ লাভ """"""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৮ জুলাই, ২০১৫, ০৯:৩৭:৫০ রাত



ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের ১০০ ক্যাডারকে খুবই গোপনীয়তার সঙ্গে ছয়মাস মেয়াদি কমান্ডো ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। গত জুন থেকে দেরাদুনের ট্রেনিং নেওয়া এসব (ছাত্রলীগ বা যুবলীগ) ক্যাডারদের গুপ্তহত্যা ও অপহরণের কৌশল শেখানো হয়েছে।

‘ক্রুসেডার-১০০’ ছদ্ম নামে পরিচিত এসব ক্যাডার রাজনীতিবিদ, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের হত্যা ও গুম করার জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এসব ক্যাডার ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে থেকে ২০১০ সালের জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত ভারতের সেনাবাহিনীর কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেয়। বিস্তৃত পরিসরে আওয়ামী ক্যাডারদের দেওয়া এ প্রশিক্ষণটিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু তরুণ সদস্যকে’ দেওয়া কমান্ডো ট্রেনিং হিসেবে চালিয়ে দেয়।

ক্রুসেডার-১০০ নামের পুরো প্রকল্পটি ‘র’ এর পরিকল্পনার ফসল এবং বাংলাদেশ সরকারের অতি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও নীতি নির্ধারকদের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে।

ভারতের ‘র’ ও যুক্তরাজ্যের এম আই-৬ এর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষাকারী অবসরপ্রাপ্ত এক উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা পুরো প্রকল্পটি দেখভাল করছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতৃস্থানীয় পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কই এসব যোগাযোগ রক্ষা করতে তাকে সাহায্য করেছে।

ক্রুসেডার-১০০ এর পুরো দলটি ছাত্রলীগ-যুবলীগ থেকে নেওয়া হয়। দলটি ওই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তা ও তার বিশ্বস্ত কিছু সহকর্মীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষিত হয়। প্রশিক্ষণ শেষে ফিরে আসার পর আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ রাজনীতিবিদ, মিডিয়া কর্মী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের একটি তালিকা দেওয়া হয়।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, এ তালিকায় ৮৩ ব্যক্তির নাম রয়েছে, যাদের ক্রুসেডার-১০০ ‘সাফ’ করবে। বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত ১০০ ক্রুসেডারকে ঢাকার গুলশান ও বারিধারা এলাকার কিছু ভবনে রাখা হয়েছে।

বারিধারার ক্রুসেডাররা সেই অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তার নিয়ন্ত্রণাধীন ঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এসব ঘাঁটি স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি ও নজরদারির নানা সাজ সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত। সেখানে সাধারণের প্রবেশাধিকার নেই।

বিএনপির সদ্য নিখোঁজ নেতা এম ইলিয়াস আলীর নামও ক্রুসেডার-১০০ এর তালিকায় ছিল।

শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানের নয়াদিল্লি সূত্র আরও কিছু নাম জানিয়েছে। এর মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুন নবী সোহেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল আলম প্রধান, আসম আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী ও মাওলানা ফজলুল করিম।

আওয়ামী লীগ ও ‘র’ এসব লোককে ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে খতম করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসব ব্যক্তির অস্তিত্ব আওয়ামী লীগের পুনরায় ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ক্রুসেডার-১০০ স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার সাইলেন্সর যুক্ত অত্যাধুনিক অস্ত্র, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট,গ্যাস বোমা ও যানবাহনে সজ্জিত। দেশের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাকে ধোঁকা দেওয়ার জন্য এদের অনেকেই স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করে থাকে। এদের প্রত্যেক সদস্য নানা রকম সুবিধাসহ উচ্চ পারিতোষিক লাভ করে থাকে। সেই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় ফ্যাট দেওয়া হয়। এদের দিনের বেলায় প্রকাশ্যে আসতে অনুমতি দেওয়া হয় না এবং সাধারণত নিজ নিজ ঘাঁটিতেই রাখা হয়।

জরুরি অবস্থা তৈরি হলে বা রাস্তায় নেমে আসা প্রয়োজন হলে তাদের কালো হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। পর্যায়ক্রমে এ বাহিনীর সদস্যেরা ৭ থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ভারত যায় আমোদপ্রমোদের জন্য। এসব ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের কোনও নথি প্রদর্শন করতে হয় না।

বিষয়: বিবিধ

১২৩১ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

332359
২৯ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:৫৭
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : শ্রীলঙ্কা গার্ডিয়ানের নয়াদিল্লি সূত্র আরও কিছু নাম জানিয়েছে। এর মধ্যে আমান উল্লাহ আমান, মির্জা আব্বাস, সাদেক হোসেন খোকা, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, হাবিবুন নবী সোহেল, আব্দুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক, সাইফুল আলম প্রধান, আসম আব্দুর রব, মুফতি ফজলুল হক আমিনী ও মাওলানা ফজলুল করিম।
তালিকাটা নির্ভরযোগ্য নয়, অনুমান নির্ভর।
২৯ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০:০১
274656
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : যাই হউক তাদের অনুমানের ভিক্তিতে হতে পারে
ধন্যবাদ
332401
২৯ জুলাই ২০১৫ সকাল ১১:৩০
নজরুল ইসলাম টিপু লিখেছেন : স্বাধীনতা যুদ্ধ কালে, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে, প্রশিক্ষন শেষ করা চৌকস, যু্বক মুক্তিযোদ্ধাদের 'র' ফুসলিয়ে চুরি করে দেরাদুনে নিয়ে যেত। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা বলে, তাদের সেখানে আরো উন্নত সামরিক প্রশিক্ষন দিত। তোফায়েল আহমেদ, আরদুর রাজ্জাক সহ ছাত্রলীগের উচ্চ পর্যায়ের প্রায় সকল নেতারাই অতি গোপনে এই প্রশিক্ষন পেয়েছিল।

পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হলে উপরোক্ত ব্যক্তিদের দিয়ে মুজিব বাহিনী গঠন করা হয়। ভারতের গোপন নির্দেশে, এই চৌকষ বাহিনী দেশের অতি গুরুত্বপুর্ন নেতাদের প্রমান ছাড়া হত্যা করত। জহির রায়হানকে এরাই হত্যা করেছিল। ৭৩-৭৫ সালে মুজিব বাহিনীর সদস্যরা কেয়ামতের দশা করেছিল।

শেখ মুজিবের দেহ রক্ষার জন্য গঠিত, রক্ষী বাহিনী সৃষ্টি হলে আধা সামরিক বাহিনীটির প্রধান হয়ে যান। তোফায়েল আহমেদ। বাংলাদেশে তোফায়েল আহমদকে কোন দিন কেউ প্রশ্ন করেনি যে, দাদা আপনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, পালিয়ে গেলেন ভারতে, সেখানে আপনাকে আর পাওয়া গেলনা, যুদ্ধেও অংশ নিলেন না! দেশ স্বাধীন হলে পর দেশে আসলেন। কিন্তু কিভাবে আপনি একটি আধা সামরিক বাহীনির প্রধান হলেন? আপনি এই যোগ্যতা কিভাবে অর্জন করলেন!

আওয়ামীলিগের কুট রাজনীতির এই ব্যক্তিগুলো গোপন সামরিক কাজ প্রতিষ্ঠায় ভয়ঙ্কর! গোপন হত্যাকান্ড, গোপন সন্ত্রাস বিস্তারে, তাদের দক্ষতা অনেক। যে বিদ্যার কল্যানে আওয়ামীরীগে শুধু সন্ত্রাসীর সংখ্যাই বেড়েছে, সৎ মানুষের সংখ্যা কমেছে।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File