~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ভণ্ড পীরের মুরিদ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ২৩ জুলাই, ২০১৫, ১২:৩৫:২৪ রাত
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পাক দরবার শরীফ সুরেশ্বরী।(সুরেশ্বরী ক্বিবলা কা'বার কারামত)
বিশ্ব নবীর আশেকীন গণ এই দরবারে আসে মওলার প্রেমে মত্ত হয়। গান গায়, কাঁদে, হাসে নাচে, কত কিছুই না করে পরপারে মুক্তির জন্যে। খাঁজা বাবা নাকি পার করে দিবেন পুলছিরাত।
খাঁজা বাবার দরবারে কেউ ফিরে না খালি হাতে।
এরা মুসলমানের দল, নামে,বংশে,জাতে ঈমানে নয়। বড় বড় দাড়ি,চুল,গোফ। সারাক্ষণ গোল্ডেন ভিলেজের গোল্ডেন (গাঁজা) খেয়ে আল্লাহ আল্লাহ জপে, ডোল তবলা বাজায়, অথচ আল্লাহ কুরআনে বলছেন নেশা করা হারাম, রাসুল (স) বলছেন গান বাঁজনা নিষিদ্ধ।
কুরআনে বলা আছে ইসলাম শুধু ধর্মই না পুর্ণাঙ্গ জিবন বিধান।
পীর কেবলা সাহেব ইসলামকে আজ ইঞ্জিল এর মত কেটে কেটে বাইবেলে পরিনত
করতেছে।
আর মুর্খের দল সেই পীর বাবার পায়ে পরে থাকে, গোলার ধান মানত করে, পীর বাবা ফুঁ দেয়।
পীর সাহেবের ভক্ত বরগুনার জলীল গাজী, পীরের ঐতয্য হিসাবে তার
আছে বড় বড় দাড়ি, চুল,গোফ। আছে লাল গেঞ্জি, লাল লুঙ্গী। জলীল এসেছে বাবার দরবারে ফিরবে না সে খালি হাতে।
মাঘ মাসের উরস, দরবারের খেদমতে হাজির জলীল, ফুল এনেছে ফল এনেছে বাবার দরবারে, সাজাচ্ছে সুরেশ্বর, আশেকীন আসবে ভরপুর। হঠাৎ বৈদুতিক তারে শক খেল জলীল, ঠিকানা হল তার শরীয়তপুর সরকারী হাসপাতাল, বাবার দরবার থেকে আসছে দুটা শুরেশ্বরের ছিল আঠা প্লেট, জলীলের স্ত্রী জলীলের খেদমত করছে, বাবার কাজ বাবা করছে দরবারে বসে আসেকীন
দের ফুঁ দিচ্ছে, জলীল হাসপাতালে কোকাচ্ছে।
জলীলের কী দোষ? সে মুর্খ, হুজুর বাবা যা বলে তাই ঠিক মনে করে।
সে বিভেগ বোধহীন সে বুঝে না যে বাবা দুনিয়াবি বিপদআপদে তার কাজে আসল না আখেরাতে কিভাবে আসবে?
যারা কুরআনকে বাইবেলে পরিনত করতে চায় তাদের তুমি ধ্বংস কর প্রভু
একথা জলীল কবে বুঝবে?
বিষয়: বিবিধ
২২০৩ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
একই ব্যক্তি,
গেরুয়া কাপড় পড়লে হয় সাধু, মানে হিন্দু!
সাদা কাপড় পড়লে হয় দরবেশ, মানে মুসলিম!
আবার
গেরুয়া কাপড় পড়ে ভোজবাজি দেখালে হয় যাদু
সাদা কাপড় পড়ে ভোজবাজি দেখালে হয় কারামত
এই যদি হয় ধর্মীয় জ্ঞানের দৌড় তাহলে বুঝুন সে রাস্তার কোন প্রান্তে আছে। এই কাজ গুলোর সুযোগে আমাদর দেশে ইসলামে ধর্মীয় ভন্ডের উৎপাত বেশী।
অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
মানষিক বৈকল্য যাদের তারাই এই সব পীরের কাছে যায়!
অন্যায় আর পাপকর্মে নিমজ্জিত ব্যক্তিরা সুলভে বেহেস্তে যাওয়ার উপায় খুজতে মাজারে মাজারে ধর্ণা দেয়!!
সেদিন মনেহয়েছিলো বাসটি মনেহয় একসিডেন্ট হবে এখনি আল্লাহ আমাকে সুস্থভাবেই নামিয়েছেন সেজন্য আলহামদুলিল্লাহ!
আবার পানশালার মদ বিক্রেতাকেও পীরে মুগাঁ বলা হয়। কারণ সুফীবাদীরা আধ্যাতিক প্রেমকে রূপকভাবে মদরূপে অভিহিত করে, উক্ত প্রেমরস-পরিবেশককে পীর বা 'শুড়ী মশাই' নামে অভিহিত করে থাকেন। খৃষ্টানদের পাদরী, হিন্দুদের পুরোহিত এবং বৌদ্ধদের ভিক্ষু বলতে যা বুঝায় পীর বলতে ঠিক তাই বুঝায়।
কবি বলেছেন...
বমায়ে শাজ্জাদাহ রঙ্গীন কুন
গিরাত পীরে মুগাঁ গোয়াদ
সে সালেক বেখবর নাবুদ
যে রাহে রাসমো মানযালহা।
অর্থাৎ পীরে মুগাঁ অর্থাৎ শুড়ি মশায় যদি বলেন, তাহলে তুমি জায়নামাজকে মদের দ্বারা রাঙিয়ে তুলো। কেননা পথের সন্ধান গুরুজী ভালভাবে অবগত আছেন। এই কবিতায় শুঁড়ি মশায়কে পীরে মুগাঁ বলা হয়েছে।
পীর, পুরোহীত বা পাদরী এর কোন প্রতিশব্দ কুরআন-হাদীসে নেই। আবু বকর, উমর, উসমান, আলী (রাঃ) প্রমুখ সাহাবীগণও কেউ কোনদিন পীর বলে দাবী করেননি। তাবেয়ীনদের যুগে পীরের অস্তিত্ব ছিলনা। ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম আবু দাউদ, ইমাম নাসায়ী, ইমাম তিরমিযী, ইমাম ইবনু মাজাহ (রহ.) প্রভৃতি মহামতি ইমামগণও পীরগিরি করেননি। কোন কুক্ষণে পারস্যের অগ্নি পুঁজারীদের সেই পীর তাওহীদবাদী মুসলিম সমাজের ঘাড়ে-গর্দানে জগদ্দল পাথরের মত চেপে বসল- তা ভেবে কুল পাওয়া যায়না। আরবী ভাষায় উসতায ও নেতাকে শাইখ বলা হয়।
সব ব্যবসায় লোকশানের সম্ভাবনা আছে, কিন্তু এই পীর ব্যবসায় কোন লস ও ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। তাই তারা তাদের ব্যবসা চালিয়েই যাচ্ছে।
সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সুন্দর পোষ্টটির জন্য শুকরিয়া।
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন