লগি বৈঠা দিয়ে হত্যাকারীর ক্ষেত্রে কেউ সাম্প্রদায়িকতা খুঁজতে যায়নি কিন্তু পতাকার উপর নামাজ পড়া কি সাম্প্রদায়িক সম্পৃতি নষ্ট .......
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৭ জুলাই, ২০১৫, ০৭:৫১:২৯ সন্ধ্যা
বামপন্থী ছাত্রনেতা বাপ্পাদিত্য বসু পতাকার উপর দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার অপরাধে একজনকে ফাঁসি দিতে চাচ্ছেন।
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম উদ্যোক্তা বসু'দা আঠাশে অক্টোবর জামাত শিবিরের ছেলেদের লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে মেরেছিলেন।
ওখানে কোরআনের হাফেজ ছেলেকেও মারা হয়েছিলো।
ঐসব মানব দেহের উপর পশুর মতো লাফিয়ে বসু তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেছিলো সেদিন। মার খেতে খেতে নির্জীব হয়ে পড়ে যাওয়া এক ছেলের শরীরের উপর উঠে, তাঁর মৃত্যুর ঠিক আগ-মুহুর্তে, বসু'দার লাফালাফি করার ছবি এখনো দেখা যায়।
ওখানে এক হিন্দুর হাতে আর পায়ে মুসলিম মারা যাওয়াতে কেউ সাম্প্রদায়িকতা খুঁজতে যায়নি। এটা রাজনৈতিক শত্রুতা, সাম্প্রদায়িক কোন সমস্যা নেই।
সুতরাং বসু'র মতো পশুদের বিচার হয়না।
সেই বসু যখন আবার ঈদের ঠিক আগের এ সময়টাতে, রমজান মাসে ছবি দেয়, ছবিতে দেখা যায় ক্রিকেট খেলা দেখতে যাওয়া এক দর্শক বাংলাদেশের পতাকা বিছিয়ে তাতে নামায পড়ছে।
দেশের পতাকাকে জায়নামায বানানোর সম্মানকে শাহবাগি বসু দেখে অন্যভাবে।
শাহবাগি পশুর দল চিৎকার করতে থাকে, পতাকার উপর পা দিয়ে অসম্মান করা হয়েছে। তাই নামায পড়তে থাকা একজনের ছবি দিয়ে শ্রীমান বাপ্পাদিত্য বসু লিখে "বিসিবি এন্ড পুলিশ, ফাইন্ড দিস কুত্তার বাচ্চা এন্ড হ্যাং হিম' (কমেন্টে ছবি)। বুঝতে পারি, পতাকার উপর দাঁড়িয়ে নামায পড়ার অপরাধে এই লোকটাকে ঝুলিয়ে হত্যা করা দেশপ্রেমের দাবী এখন।
এবং এখানেও কিন্তু কোন সাম্প্রদায়িকতা নেই।
ছেলের আকিকাতে গরু কোরবানি দেয়ার অপরাধে বুরহানউদ্দিনের হাত কেটে দিয়েছিলো রাজা গৌড়গোবিন্দ। সেই বাচ্চা ছেলেকে বলি দেয়া হয়েছিলো। সুতরাং পতাকার উপর নামায পরার অপরাধে এই ক্রিকেট দর্শককে ফাঁসি দেয়াটাও খুবই ন্যায্য একটি শাহবাগি দাবি বটে। কয়েকশ বছর আগের কোর্টের প্রিসিডেন্স আছে।
এই নামাজি লোকটিকে খুঁজে বের করে ফাঁসি দেয়ার মাধ্যমেই তবে এবছরের সার্বজনীন ঈদ উৎসব কল্যাণময় ও মঙ্গলময় হয়ে উঠুক। ঈদ মোবারক!!
ফেচবুক থেকে সংকলিত
বিষয়: বিবিধ
১৪৬৩ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
নামাজ হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ইবাদত এবং লোকটি তার প্রিয় দেশের পতাকায় এই শ্রেষ্ঠ ইবাদতটি করছে ।
এতে পতাকার সন্মান বেড়েছে বৈ কমে নি ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আমি করলে ভারতবিদ্বেষ।
ধুতি চাটতে চাটতে দালাল গুলার জিহবা এখন কাঠাল পাতা।
শীঘ্রই এসব কাঠাল পাতা ছাগলকে দেয়া হবে। দেশের মানুষের কাজে না লাগুক অন্তত এই বাংলার ছাগলদের ত একটু কাজে আসবে।
মন্তব্য করতে লগইন করুন