প্রবাসের ঈদ -ঈদের দিনে আমরা প্রবাসিরা যা করে থাকি- তারপর দুই প্রান্তেই আফসুসের নি‍ঃশ্বাস আর নিঃশ্বাসই যেন ঈদের আনান্দ

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৭ জুলাই, ২০১৫, ০২:৩৩:৩১ দুপুর

ঈদ নিয়ে আমরা যতই লিখি না কেন মনে হবে কারোর না কারোর মানের ভাবটা একটু অপুর্ন রয়ে গেছে। তারপরও পুর্নতা আর অপুর্নতার হিসাব কষাটা জরুরী।

দেশের ব্লগার ভাই বোনরা মনে হয় আমাদের তুলনায় একটু কম ব্যাথা বেদনা মুক্ত। ওনাদের লেখনীতে গরিব অনাথ বিধবা ইয়াতিমদের কথা পটপট করে প্রকাশ করতে পারছে। তারপর নিজেদের সামর্থানুযায়ী হয়তো কোন কোন ভাইবোনেরা হাতকে প্রসারিত করতেছেন। বাকীটা সময় পরিবারের সাথে ঈদ করতেছেন সন্তানদের হাসি কান্না মা বাবার সাথে একত্রে সব কিছুকে ভাগাভাগি করতেছেন। আলহামদুল্লাহ খুব ভাল।

কিন্তু আমরা প্রবাসীরা ! ! !

বছরের বাকী মাসগুলিতে বিচ্ছেদের বেদনা তো আসে সেটা এক রকম সৈহ্য হয়ে গেছে । ঈদের দিনের প্রবাসীদের দৃশ্যটা যদি দেশের ভাইবোনরা দেখেন সেটাকে করুন দৃশ্যই বলবেন।

একটা উদাহারন দিই:-

আজ সৌদিআরবে ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে ।

সকালে গোছল করা ,ফযরের নামাজ আদায় করা , সেমাই না পাকানোর অপরাধে খেজুর খেয়ে ঈদগাহের দিকে যাওয়া। নামাজ শেষ করে সাথীদের সাথে কোলাকুলি করে বাসার দিকে ফিরতেছিলাম

পথিমধ্যে একভদ্রলোক তাদের বাসাত আমন্ত্রন জানানোতে সেটা মনের অগচোরেই গ্রহন করে ওদের বাসায় হাজির।

ওখানে গিয়ে শুনতেছি একে অপরের সাথে বলাকওয়া করতেছে বহুত চেষ্টা করতেছি সেই সকাল থেকে ফোন যায় তো কথা বুঝি না আবার বাড়ী আলারা ও বুঝে না কিন্তু আমি বুঝি , কি একটা যে মসিবত । ঈদ আসলেই মোবাইল কোম্পানীগুলির নেটওয়ার্ক ব্যাস্ত হয়ে যায়।

আস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছিল এই মানুষগুলি তাদের ঈদের আনান্দ যেন একটু আলাপচারিতায় খুজতেছিল । পরিবারের সাথে একটু গল্পগুজব করলো বাচ্চাকাচ্চাদের আওয়াজ শুনলো , এটাই ঈদের আনান্দ এটাই ঈদের তৃপ্তি.

হায়রে প্রবাস জীবন হায়রে ঈদ ! !

তারপর সিদা বাসায় এসে একটু সেমাই খেয়ে দে ঘুম ! এটার নাম প্রবাসীদের ঈদে

তারপরেও আলহামদুল্লিাহ খুশি................

আপনি খুশি তো,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

বিষয়: বিবিধ

১১৮১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File