ভিক্ষা করে তোরে লেখাপড়া শিখাইছি মানুষ হবি- কিন্তু হলি নাস্তিক.......তোর সাথে থাকার চেয়ে আবার ভিক্ষা করব
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৬ জুলাই, ২০১৫, ০৮:২৩:০৫ রাত
জীবিকার তাগিদে মানুষ অনেক কষ্টের কাজ নিকৃষ্ট কাজ করতে বাদ্ধ হয়
। এক শ্রেনীর লোক আছে যারা নিজেকে অতিবুদ্ধি জাহির করার জন্য জ্ঞানের গন্ডির বাইরে গিয়ে নাস্তিকতার খাতায় নাম লেখায় । যারা নাস্তিক এদের জ্ঞানের গন্ডি অন্যদের জ্ঞানের বাইরে।
এমন এক মা তার ছেলেকে বহু কষ্টকরে পড়াইতে ভিক্ষার মতো কঠিন কাজও করেছিলেন । ছেলের মেধা দেখে মায়ের মনে খুশির জোয়ার বহে, বাবা আমার মানুষ হবি সমাজের লোকেরা তোকে ভাল বলবে তোর বাপের নাম নিবে অমুকের ছেলে কত ভাল ইত্যাদি ইত্যাদি বলবে ।
প্রতি শ্রেনীতে ছেলের উত্তরত্বর ভাল ফলাফলের জন্য মার মন ভরে যায়।
ছেলের সম্মানের কথা ভেবে মা এলাকায় আর ভিক্ষা করেনা কষ্ট করে হলেও অনেক দুরে চলে যায়।
একদিন ছেলে বলছে মা আমার লেখাপড়া শেষের দিকে কিন্তু শেষ না হতেও আমি কিছু কাজ করার সুযোগ পেয়েছি তাতে আমাদের সংসার চলতে কোন সমস্যা হবে না।
মা ছেলের কথাতে সহমত পোষন করে ভিক্ষা করা বন্ধ করেছে। সংসার ভালভাবেই চলছে ছেলের কাছে টাকার কোন কমতি নেই । মা ভাবে ছেলে কি চাকুরী করেগো এত টাকা পায় ?
কিছু দিনের ভিতর মায়ের ভাবনার সাথে এলাকার লোকজনের মতামতের একরকম মিল হতে লাগলো !!
কেউ কেউ এসে বৃদ্ধাকে বলছে কি ছেলে পেটে নিলারে বুড়ি এযে নাস্তিক পোলা !
অশিক্ষিত বৃদ্ধা নাস্তিকের অর্থ জানে না একজনকে জিজ্ঞাসা করতে সে বুঝিয়ে দিল । চাচি তোমার ছেলে আল্লাহকে নিয়ে নবীকে নিয়ে অহেতুম বাজে মন্তব্য করে। আজে বাজে কথা লেখে। তুমি তাকে সাবধান করে দাও নইলে কিন্তু তোমাকে সহ বাড়ীঘর জালিয়ে দিব।
বৃদ্ধা হাউ মাউ করে বলে বাবারে আমার আল্লাহ- নবীকে যদি আপমান করে পোলা তবে আমি তাকে বাড়ী থেকে বের করে দিব। এমন পোলা আমার পেটকে কলংকি করেছে। দরকার পড়লে আবার ভিক্ষা করব।
বৃদ্ধা পরিস্কার ভাবে বলে দিয়েছে তোর পিছনে আমি বাজেভাবে সময় নষ্ট না করে যদি নিজেকে নিয়ে ভাবতাম তবে আমি সুখি থাকতে পারতোম কিন্তু তুই আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হতিস।
এখন তোকে বড় করে দিয়েছি এখন তোর মানুষের অভাব নাই আমি তোর মত ছেলের সাথে থেকে নিজের ইমান নষ্ট না করে পুনরায় ভিক্ষা করব। দুর হয়ে যা আমার সামনে থেকে ..........বলে মা কাদতে লাগলো
বিষয়: বিবিধ
১২৭৩ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মানুষ তার কর্মের জন্যই দায়ী থাকবে , জন্মের জন্য নয়।
শোনা যায় , তসলিমা ও জাফরের মা কিন্তু তাদের সন্তানদের মত মানসিকতার ছিলেন না ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন