‘খবিশ’ সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলী অষ্টম শ্রেণী পাস একজন সত মানুষ। তার মুখে কিছু আটকায় না, মনে যা আসে তাই বলেন।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ জুলাই, ২০১৫, ১১:২৫:১৭ রাত
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী একজন সত মানুষ। তার মুখে কিছু আটকায় না, মনে যা আসে তাই বলেন। যাকে তাকে ‘খবিশ’ ও ‘চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করতে তার সমস্যা হয় না
১. গত ২২ জুলাই সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক চোট নিয়েছিলেন এই মন্ত্রী। সেদিন তিনি ক্ষেপে গিয়ে বলেছিলেন, 'এমন আইন হচ্ছে, আপনাদের স্বাধীনতাই থাকবে না।'
২. সমাজকল্যাণমন্ত্রী ৯ আগস্ট বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে তার আগের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, 'আমি আগেই কইছিলাম। ঠিকই ঠেলা দিছে। সতর্ক অই যাও। ধরলে ছাড়া অইতো নায়।'
৩. সৈয়দ মহসীন আলী সৎ, সরল, সহজ ভালো মানুষ হতে পারেন। কিন্তু তিনি সভ্য মানুষ নন। কারণ সভ্য সমাজের মানুষ মনে যা ভাবেন, তার পুরোটা বলেন না। বলার আগে ভাবেন, তার কথা কাউকে আহত করছে কিনা, তার কথা সামাজিক সভ্যতা-ভব্যতা-শালীনতা সীমা মানছে কিনা। মহসীন আলীর বক্তব্য সব সীমা অতিক্রম করেছে। ৯ আগস্ট সৈয়দ মহসীন আলী সিলেটে যা বলেছেন তা কোনো ভদ্র, সভ্য মানুষ বলতে পারেন না।
৪. মহসীন আলী যা বলেছেন, তা কোনোদিন কোনো পত্রিকায় ছাপা হবে না, সম্ভব না। বাংলাদেশের কোনও পত্রিকার রুচি এত খারাপ নয়। আমি মহসীন আলীর এক মিনিট ২৬ সেকেন্ডের বক্তব্য শুনেছি। এরপরই সাংবাদিকরা তার অনুষ্ঠান বর্জন করে। পত্রিকায় পড়েছি তিনি ৪০ মিনিট ধরে বক্তব্য রেখেছেন। যার প্রায় পুরোটাই ছিল গণমাধ্যমের প্রতি বিদ্বেষমূলক।
৫. মাননীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী সাংবাদিকদের ওপর এত ক্ষ্যাপা কেনো? আমি ঠিক জানি না, তবে ধারণা করতে পারি। জীবনে প্রথমবারের মত মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েকদিন পরই শিশুদের স্কুলের এক অনুষ্ঠানের মঞ্চে বসে ধূমপানরত অবস্থায় ক্যামেরাবন্দী হয়েছিলেন মহসীন আলী। একজন মন্ত্রী শিশুদের স্কুলের মঞ্চে বসে সিগারেট খাচ্ছেন, এমন একটি ছবি পেলে যে কোনো পত্রিকাই তা ছাপবে, ছেপেছেও। সেই ছবি নিয়ে দারুণ হইচই। হওয়ারই কথা।পরে অবশ্য মহসিন আলী ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যান।
৬. মাননীয় মন্ত্রী সাংবাদিকদের ‘খবিশ’ ও ‘চরিত্রহীন’ বলেছেন। এটা তার সবচেয়ে শালীন বক্তব্য। তিনি সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, অভিযোগ করেছেন সাংবাদিকরা টাকা নিয়ে লেখেন।
৭. পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, মহসিন আলী অষ্টম শ্রেণী পাস। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। একজন স্বশিক্ষিত মানুষ, একজন সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত মানুষের চেয়েও বেশি যোগ্য ও দক্ষ হতে পারেন। কিন্তু নিজে অষ্টম শ্রেনী পাশ হয়ে মন্ত্রী হতে পারলে, কেউ কলেজের বারান্দায় ঘোরাফেরা করে সাংবাদিক হতে পারবেন না কেন?
বিষয়: রাজনীতি
১২১৩ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
উনি ১২ বছর বয়সে বাপ হয়ে ১৯৭১ সালে ২২ বছর বয়সে সন্তান কে হারিয়েছেন!!!
কাতারে এক পাঠান কে জিজ্ঞাসা করলাম তোমার ছেলে-মেয়ে কয়জন? সে বলল এক ছেলে মাত্র। বললাম তার বয়স কত ? বলল ২৫ বছর ,তোমার বয়স বলল ৩০ বছর
হাসিনা ধরে ধরে গরু ছাগল পাগলকে মন্ত্রী বানায়।
তা না করে একটু বোধসম্পন্ন মন্ত্রী বানালে হাসিনার কথার উপরে কথা বলার সম্ভাবনা থেকে যায়। আর সে জণ্যই পাল্লায় মেপে মেপে বলদ, খাসী, টোকাই সর্দার ইনু, এদের মত অথর্বদের পায়ের কাছে রেখে হাসিনা ফুটবল খেলে।
ধন্যবাদ
কারণ সাংবাদিকেরা এখন সাংঘাতিক হয়ে গেছে । পুলিশের চেয়েও এরা সাধারণ মানুষকে বেশী পেরেশানী দেয় । মিথ্যা ও বানোয়াট খবর ছাপায় এবং সত্যকে লুকায় বা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে ।
এদের জন্য মহসিন , শামীমের পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটা শক্ত মুগুরের দরকার ।
তথ্য মন্ত্রনালয়ে ইনুর পরিবর্তে মহসিন বা শামীমকে আনলে সাংবাদিকেরা লাইনে আসতে বাধ্য হবে ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন