হ্যালো, হেডকোয়ার্টার -আমি ক্যাপ্টেন গুলজার-বিডিআর জোয়ানরা বিদ্রোহ করেছে! আল্লার দোহাই আমাদেরকে বাচান ! কিন্তু..............
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৮ জুলাই, ২০১৫, ০৯:০০:২৭ রাত
ক্যাপ্টেন গোলজারের আকুতিতে সেই দিন হেডকোয়াটারের কোন অফিসারের টনক নড়েনি কেন ?
তিনি চিতকার দিয়ে বলতেছিলেন , বিডিআর জোয়ানরা অফিসারদের হত্যা করছে, ডিজি স্যারকে গ্রেফতার করেছে।আমাদেরকে বাঁচান। আল্লাহর দোহাই লাগে এক্ষনই ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
হেডকোয়ার্টার জবার দিল আপনি শান্ত হোন।আমরা এখনই ফোর্স পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রয়ারী বিডিআর বিদ্রোহের দিনে ক্যাপ্টেন গুলজার ঠিক এভাবেই বাঁচার আকুতি করেছিলেন।কিন্তু হেডকোয়ার্টার থেকে সাহায্য আসছে বলে যে আশ্বাস দিয়েছিল, সেই সাহায্য এসেছে ঘটনার পরের দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রয়ারী। কিন্তু এই ২৪ ঘন্টায় শাহাদাত বরন করেছেন বিডিআর বাহিনীতে দায়িত্ব পালনরত সেনাবাহিনীর ৫৭জন চৌকস অফিসার।
*ক্যাপ্টেন গুলজারের সেই দুঃসাহসী অভিযানের কথা জাতি আজও গর্বের সাথে স্মরন করে।
জিএমবি সারাদেশে বোমা মেরে মানুষ হত্যার যে ভয়ংকর খেলায় মেতে উঠেছিল তার পরিসমাপ্তি ঘটান এই ক্যাপ্টেন গুলজার। তিনি জিএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমানকে গ্রেফতার করে ফাঁসির মুখোমুখি করেন।
অথচ,ক্যাপ্টেন গুলজারের এই অভিযানের কারনেই তাঁকে শাহাদাত বরন করতে হয়েছে। আর তাঁর হত্যার পিছনে ভূমিকা ছিল আওয়ামিলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুবলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মির্জা আজম। শায়খ আব্দুর রহমান ছিলেন মির্জা আজমের আপন দুলাভাই। বিদ্রোহের দিন মির্জা আজমকে বিডিআর এর একাধিক জোয়ানের সাথে মোবাইলে কথা বলতে দেখা গেছে। মির্জা আজম বলেছিল, গুলজারের চোখ দুটো তুলে ফেল।ওকে পুড়িয়ে হত্যা কর।
*সাধারন মানুষের মনে আজও একটি প্রশ্ন সদা ঘুরপাক খাচ্ছে! ঠিক কি কারনে এই বিডিআর বিদ্রোহ হয়েছিল??
প্রকৃত কারন ছিল, ২০০১ সালের এপ্রিল মাসে কুড়িগ্রামের রৌমারিত সীমান্ত যুদ্ধে বিডিআর বিএসএফ এর ১৫০ জন জোয়ানকে হত্যা করে।এর আগে পাদুয়ার যুদ্ধে ১৫জন বিএসএফকে হত্যা করে বিডিআর।
এই ঘটনার পর ভারতের ডিফেন্স মিনিষ্টার জসবন্ত সিং উত্তপ্ত লোকসভায় জানান দেন এ ঘটনার বদলা নেয়া হবে।
*ইন্ডিয়ান গোয়েন্দা সংস্থা "র" এর প্রত্যক্ষ মদদে এবং তৎকালীন সেনাবাহিনী প্রধান মঈন ইউ আহমেদের পরোক্ষ সহায়তায় এই হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়।মঈন উদ্দিন এবং ফকরুদ্দিন তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মঈন উদ্দিন ভারত সফরে গেলে সে সেনাসরকারের স্থায়ীত্বের প্রস্তাব করে।কিন্তু ভারতে সরকার তাতে রাজি ছিল না।তারা মঈনকে প্রস্তাব করে, তোমার নিরাপদ পূর্নবাসনের ব্যবস্থা করা হবে তুমি আওয়ামিলীগ কে ক্ষমতায় বসাও। আওয়ামিলীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে বিডিআর বিদ্রোহের পর্দার আড়ালের কুশীলবের ভূমিকা পালন করেন মঈন ইউ আহমেদ। যার কারনে,নিহত সেনা অফিসারদের জানাযা পড়তে গেলে কয়েকজন অফিসার তাকে চেয়ার নিয়ে মারতে আসে।
২০০৯ সালের সেই বিডিআর বিদ্রোহের ইফেকটিভ ফলাফল পাচ্ছে আওয়ামিলীগ।কারন ঐ বিদ্রোহে ৫৭জন অফিসারকে হত্যা করে পুরো সেনাবাহিনীকে হিজড়া বাহিনীতে রূপান্তরিত করেছে হাসিনা।যার ফলে জাতির এই ক্রান্তি লগ্নেও সেনাবাহিনী তাদের বন্দুকের নল পরিষ্কার করতে ব্যস্ত।কিন্তু ট্রিগার টানার সাহস নেই
বিষয়: বিবিধ
১৮৩৮ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন