বাংলার বিখ্যাত !!! কুখ্যাত প্রথম সারীর কয়েকজন ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিক যারা মানবজাতির দুষ্মন ইসলামের দুষ্মন (পর্-৩)
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০২ জুলাই, ২০১৫, ০৫:০৫:০৬ বিকাল
১০। সুলতানা কামাল:
জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে।কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।
১১। কবির চৌধুরী:
চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল-
তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও ঐ কালেমা শুনাবে না, বরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফ,মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে।সংবিধানে ’বিসমিল্লাহ’ রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো।
১২। মুনতাসির মামুন:
এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী । বঙ্গ
ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী
মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য- এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে ।
১৩। ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা):
এই নাস্তিক নবীজী উনাকে হযরত মহাউন্মাদ কিংবা মোহাম্মক (মহা +আহাম্মক) নামে ডাকতো (নাউজুবিল্লাহ)
হাদীসকে চটি গ্রন্থ এবং কুরআনকে সে কৌতুকের বই বলে আখ্যায়িত করতো। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহ, রাসূল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার সাহাবীদেরকে নিয়ে চটি গল্প লিখে “ধর্মকারী” নামক ব্লগে প্রকাশ করতো।
কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে সেগুলোর নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ঠাট্টা ও হাসি-তামাশা করতো। তার এসব কার্যকলাপ তাকে এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের মর্যাদা দিয়েছে। তার বেশিরভাগ লেখাই প্রকাশযোগ্য নয়।
তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে ৫ জন ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই
মুরতাদকে হত্যা করে জাহান্নামের টিকিট
ধরিয়ে দেয়। তার মৃত্যুর পর সরকার এবং শাহবাগের অন্যান্য নাস্তিকরা তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে!!
১৪। আসিফ মহিউদ্দিন:
বর্তমান সময়ের আরেক কুখ্যাত নাস্তিক।অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও চরিত্রহীন ও লম্পট। ওর নাম লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই মদের বোতল হাতে মাতলামি করা অবস্থায় একটা ছবি খুজে পাবেন। ইসলাম
অবমাননার দিক দিয়ে থাবা বাবার পরেই তার অবস্থান। তার ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপে খুশী হয়ে জার্মান সরকার তাকে ঐদেশের ভিসা উপহার দিয়েছে।
বর্তমানে সে জার্মানী থেকে ফেসবুক ও ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখি করে থাকে। আসিফের দাবি আল্লাহ নিজেই নাস্তিক, অতএব নাস্তিক হওয়াটা দোষের কিছু না। আসিফ মহিউদ্দিন পবিত্র কুরআনকে“ আহাম্মোকোপিডিয়া” বলে থাকে। সে কুরআনের আয়াতকে বিকৃত করে “আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির
নাস্তিকানির নাজিম” বলে এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনার কল্পিত ছবি তার ব্লগে প্রকাশ করে।
১৫। শফিক রেহমান:
বাংলাদেশে “ভ্যালেন্টাইন ডে” নামকবিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিক “মৌচাকে ঢিল” নামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।
আল্লাহ আমাদেরকে এই নাস্তিকদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার তাওফিক দান করুন এবং এদের কূটচাল থেকে এ দেশের মুসলিম
বিষয়: বিবিধ
৪১৭৭ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
আল্লাহ আমাদেরকে এই নাস্তিকদের ষড়যন্ত্রকে রুখে দেয়ার তাওফিক দান করুন এবং এদের কূটচাল থেকে এ দেশের মুসলিম হেফাজত করুক আমীন।
লেখার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইরান।
জাযাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন