আদর্শের সামনে অসহায়ত্বের গ্লানী এবং আত্মিয়তার বন্ধনও মুল্যহীন হয়ে আদর্শবাদীদের সামনে উদাহরন হয়ে গেল

লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৫ জুন, ২০১৫, ০২:৫৫:৪৭ দুপুর

আব্দুল লতিফের ৩ বছর বয়সে বাবার অকাল মৃত্যুতে মাকে জোর করেই অন্যত্র বিবাহ দিয়েছেন লতিফের নানা।

তখন থেকেই অসহায় লতিফের ঠাই হলো চাচা জব্বার মিয়ার কাছে। জব্বার মিয়া সমাজের নামিদামি লোক , হরহামেশা লোকজনের দেনদরবার নিয়ে ব্যাস্ত থাকেন।

ভাতিজা আব্দুল লতিফ প্রাইমারী পাশ করে হাইস্কুল পেরিয়ে কলেজে পড়ার শুরু করেছে এই কথা ভাবতেই জব্বার খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। আর খুশিবা হবে না কেন ! এতিম ভাতিজা মা বাবার শুন্যতাতে কোনই প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়নি

প্রতিক্লাসে কৃতিত্বের সাথে পাশ করেছে।

আফসুস করে জব্বার মিয়া ! যদি ভাইটি জিবীত থাকতো তবে কতনা খুশি হতো ।

এতশুন্যতার পরেও আব্দুল লতিফের মাঝে ভদ্রতা নন্মতা আদব কায়দার কোন কম নেই। ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়া সকালে কোরান তেলাওয়াত করা ইত্যাদি ইত্যাদি দেখে চাচার দুচোখ বেয়ে পানি বেরোয় আর আফসুস করে বলে আল্লাহ যদি এমন একটা সন্তান আমাকে দিত তবে আমার জীবন ধন্য হতো।

জব্বার মিয়া সবসময় ভাতিজার খোজখবর নেয় যাতে ভাতিজা কোন প্রকার কষ্ট না হয়।

চাচা আওয়ামিলীগ করে এবং স্থানীয় নেতা।

আব্দুল লতিফ চাচার কথাটা মাথায় নিতেই অনেকটা আফসেট হয়ে যায় কারন তার সংগঠনের কথা যদি চাচা জানে তবে সেই পরিস্থিতি কেমন হবে?

সেতো শিবিরের সাথী এবং একটা ইউনিট চালায়।

একদিন শিবিরের মিটিং চলছে বলে পুলিশকে কে যেন খবর দিয়েছে ওমনি পুলিশের গাড়ি ভরে পুলিশ এসে হাজির।

পুলিশ আসতে জব্বার মিয়াকে ফোন করেছে আপনি অমুক জাগায় আসেন শিবির গ্রেফতার করতে হবে।

এর আগেই পুলিশ শিবিরের ছেলেদেরকে গ্রেফতার করে গাড়ীতে ভরে জব্বার মিয়ার অপেক্ষা করছে।

জব্বার মিয়া আসামীর কাছে এসেই দেখে তার ভাতিজা লতিফকে

মুখে কোন ভাষা নাই কি বলবে পুলিশকে।

জব্বার মিয়া সিধা বাড়ী চলে গেল ।

পুলিশ শিবিরের ছেলেদেরকে কিছুদুর নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে । থানায় রিপোর্ট করেছে শিবিরের ছেলেরা আসামিদেরকে ছিনতাই করে নিয়ে গেছে।

আব্দুল লতিফ পুলিশ থেকে ছাড়া পেডে সোজাসুজি চাচার বাসায় হাজির।

নিজের জামা কাপড় ভাজ করে বের হবে মাত্র কিন্তু এরই মাঝে চাচা জব্বার মিয়া হাজির হয়ে বলছে ভাতিজারে তোরে জানের চেয়ে ভাল বাসতাম কিন্তু তুই কিনা .................

ভাতিজা বলল চাচা জান আপনার উপকারের কথা কোন দিন ভুলব না যদি বেচে থাকি । কিন্তু আমার ব্যাক্তিগত মতামতের ব্যাপারে আপনি আমাকে কোন অনুরোধ করবে না।

চাচা বুঝতে পেরে বলল বাবা তোকে আমি কোন মতেই বিতাড়িত করতে পারবো না চাই তুই যতই শিবির করিস না কিন্তু তুই বাড়ী থাকবি না ।

শহরে চলে যা সেখানে তুই নিরাপদ থাকবি , আমি মাসে মাসে তোর সাথে দেখা করে খরচের টাকা দিয়ে আসব।

তুই বাড়ী থাকলে আমাকে বারবার প্রশ্নের সন্মুখীন হতে হবে।

এখন লতিফ শহরে থাকে .........................

বিষয়: রাজনীতি

১২৫৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

325946
১৫ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:২১
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু! বাস্তবতা উঠে এসেছে আপনার লেখায়! কঠিন সময় চলছে......।
১৫ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:৩০
268173
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : ওয়ালাইকুমসালাম ওয়ারাহমাতুল্লাহহে ওয়াবারাকাতুহু
জাজাকাল্লাহ
আপনি ঠিক বলেছেন কঠিন সময়
Good Luck
325969
১৫ জুন ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৫৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : জনাব, মতিন মুন্সী ভাই, আরেকটু টেনে নিয়ে গেলে ভাল লাগত বেশি..চলমান বাংলাদেশের সামগ্রিক প্রেক্ষাপট উঠে আসছে আপনার লেখায়। দারুণ ব্যাপার, ধন্যবাদ..
১৫ জুন ২০১৫ রাত ০৮:১১
268194
মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি লিখেছেন : জাজাকাল্লাহ মিনহাজুল ইসলাম ভাই
Good Luck Good Luck

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File