খালেদা জিয়া মুখোশ উম্মোচন করলেন , বিএনপি পন্থি নাস্তিকদের এবং দালাল পন্থি মিডিয়াগুলোর
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৪ জুন, ২০১৫, ১১:২১:০৫ রাত
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই আজকে মুখোশ উম্মোচন করলেন , বিএনপি পন্থি নাস্তিকদের এবং দালাল পন্থি মিডিয়াগুলোর। ব্যাঙ যেমন বর্ষাকালে নতুন পানি দেখলেই সমস্মরে ঘ্যাংর ঘ্যাংর শুরু করে তেমনি ভাবে বিএনপি পন্থি নাস্তিকরা আওয়ামিলীগের সুরে সুর মিলিয়ে বলতে থাকে বিএনপি যেই কোন মুহুর্তে জামায়াতকে লালকার্ড দিবে ।
আর সাথে সাথে কিছু দালাল মিডিয়া আছে যাদের কাজ হলো আকামের দোকানদারী করা এরা ঐ কথাগুলোকে বিএনপির কথা বলে প্রচারনা চালায় যাতে করে সাধারন লোকগুলো ২০ দলিয় জোটের ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করে।
আজকে বেগম জিয়া পরিস্কার করে বলেছেন ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার বৈঠক বাতিল করতে হয়েছিল, কারণ আমি হত্যার হুমকি পেয়েছিলাম। যদি আমার কিছু হতো (বৈঠকে যাওয়ার পথে), তবে আমাদের বিরোধীরা তার জন্য জামায়াতকে দায়ী করার পরিকল্পনা করেছিল।’
বাপের বেটি শত বছর আপনার আয়ু হোক।
কখনো যদি বিএনপি জামাযাতের ঐক্য নাও থাকে তবে আপনার এই সত্য কথাটাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরন করব।
দালাল মিডিয়ারা এবার বল জামায়াতের ব্যাপারে খালেদা জিয়ার মনোভাব কেমন।
শুধু মনোভাবই নয় আন্তরিকতাও বটে !
দালাল মিডিয়ারা কাদের মোল্লাকে ১ ঘন্টা আগে ফাসি দিয়েছিল এবং কামারুজ্জামানানের ফাসি কার্যকরী হওয়ার পরও প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
সারাদেশে লক্ষ লক্ষ লোকের গায়েবি জানাজা তোদের নজরে পড়ে না দেশ বিদেশের গায়েবি জানাজা দেথতেও তোদের চোখে ছানী পড়ে অথচ সাহাবাগে গুটি কয়েক বেজন্মা কুলাংগার ঘেউ ঘেউ করে আল্লাহকে নবীকে গালী দেয় সেটাকে লৈাইভ কভারেজ করিস । ছি লজ্জা থাকা চাই
বিষয়: রাজনীতি
১৩৪৩ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
কারন বিএনপি যদি জামায়াত থেকে কোন প্রকােরে আলাদা করতে পারে তবে আওয়ামিলীগের পোয়াবারো হবে এবং লাইফটাইম ক্ষমতায় থাকার ব্যাবস্থা হবে
জামায়াতকে ছাড়লে বিএনপির লাভ হবে আর আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নেবার ফলে বিএনপিকে যে পঁচান দিত স্বাধীনতা বিরোধী বলে সেটা খসে যাবে । রাহু মুক্ত হয়ে বিএনপির তখন সুদিন ফিরে আসবে ।
বিএনপি ছাড়লে আওয়ামী লীগ ও চেতনাবাজরা জামায়াতকে ছিঁড়ে কুঁড়ে খেয়ে ফেলবে ।
জামায়াতের ভয় এখানেই।
বিগত ৭টা বছর একা ময়দান দখলে রেখে আওয়ামিলীগকে আতংকের মধ্যে যেমন রেখেছিল এরা তেমনি বিএনপিকে চাংগা রেখেছিল রাজনিতির মাঠে।
তাইতো বলতে হয় চোখতো তাদেরই নাই যারা এই সকল দেখেও জামায়াতের শুকরিয়া আদায় করেনা
জিয়াউর রহমানই বহুদলীয় গনতন্ত্রের প্রচলন ঘটিয়ে এদেশে পাকিস্তানপন্থী জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন । ফলশ্রুতিতে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে জামায়াত আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে মাঠে থেকেছে ।
যে বিএনপি জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল , ১৯৯১ এ একসাথে জোট করেছিল সেই বিএনপিকেই নামাতে ১৯৯৪-৯৫ এ ঘোর শত্রু আওয়ামীকে তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা দিয়ে তাদের সাথে বিএনপির পতনের জন্য মাঠে নেমেছিল । তার পরেও বেইমান জামায়াতকে ২০০১ এ জোটে নিয়েছিল বিএনপি , মন্ত্রীত্বও দিয়েছিল ।
এর ফলে বিএনপিকে অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে । তারপরও বিএনপি জামায়াতকে ছাড়ে নি ।
জামায়াত শিবিরের প্রতিটা কর্মীর সারা শরীরের রক্ত দিয়েও তো তারা বিএনপির ঋণ শোধ করতে পারবে না ।
এখন যে আপনারা বলছেন যে শিবিরের পোলাপানরা বিএনপির জন্য মার খাচ্ছে - এটা তো সারা শরীর পুড়ে যাওয়ার বিপরীতে সামান্য একটা ছোট কাল পিঁপড়ার কামড়ের সমান!
যে বিএনপি জামায়াতকে স্টাবলিশ করালো
শেখ হাসিনাকেও জিয়াউর রহমান বহু দলিয় গনতন্ত্রের প্রতিষ্টালগ্নে দেশে এনেছিল
কিন্তু হাসিনাকে কোন দিন ও কেউ খোটা দেয়না যে তোমাকে বাংলাদেশের রাজনিতিতে আমরা প্রতিষ্টিত করেছি বলা হয় শুধু মাত্র জামায়াতের ক্ষেত্রে। কারন জামায়াত বেইনসাফী দল না তাদের রাজনিতিক অধিকার প্রতিষ্টার কারনে বিএনপিকে ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় বসায়েছে
আওয়ামিলীগ জিয়ার দলকে কি উপকার করেছে
কিন্তু জামায়াত তো সেরকম না বাংলাদেশের রাজনীতিতে । দুই দলই জামায়াতকে নিয়েছে তাদের সাথে । দেখতে হবে কে সাথে নিয়ে ক্ষমতার ভাগ দিয়েছে আর কে আম চুষে ছুড়ে মেরেছে ।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াত যে সব সুবিধা পেয়েছে তা বিএনপির বদান্যতার জন্যই পেয়েছে । আর জামায়াতকে সদা বিপদে রেখেছে আওয়ামী লীগ । অথচ তত্ত্বাবধায়কের ফর্মুলা জামায়াত আওয়ামী লীগের হাতেই তুলে দিয়েছে । আওয়ামী লীগের রাজনীতি জামায়াতের জন্য বিএনপির চেয়ে বেশী ফেভারেবল ছিল না ।
জামায়াত ৭১ এ ভুল করেছিল এবং আবারও ভুল করেছে ১৯৯৪-৯৫ এ সরকারের শরিক হয়েও বিরোধী দলের সাথে যোগ দিয়ে ।
জামায়াতের এখনকার পরিনতির জন্য তারা নিজেরাই দায়ী শত ভাগ । এর সাথে বিএনপিকেও তারা সাফার করাচ্ছে যাদেরকে দিয়ে তারা এই ক্রান্তিকাল পার হয়ে আসতে পারতো।
আমীরকে গ্রেফতারের প্রতিবাদেই কি জামায়াত ঘাদানিকেরই অংশ আওয়ামী লীগের সাথে এক হল আন্দোলনে ? সে সময়ে কোর্টের রায়ে গোলাম আযমকে বাংলাদেশের নাগরিকই বলা হয়েছিল , যেটা বিএনপির কারণেই রেটিফাই হয়ে এসেছিল।
এতেও কি বোঝা যায় না যে কি রকম চরম বোকা এই দলটি !
কথা না বললে তাদের ভাল লাগে না
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ
জাজাকাল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন