বৃদ্ধাশ্রমে আমার মা যাবে না । যদি তোমার সমস্যা হয় তবে তুমি তোমার বাবার বাড়ী যেতে পার
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১০ জুন, ২০১৫, ০৯:৪২:০৩ রাত
রহিম তার মাকে খুব ভাল বাসে। কারন ছোট বেলায় তার বাবা মারা যাওয়ার পরেও মা রহিমের মুখের দিকে চেয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেনি। নীজের জীবন যৌবনকে বিষর্জন দিয়ে সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তা করেছে। ছেলেকে লেখাপড়া শিখানোর জন্য বাবার বাড়ী থেকে নিজের পা্ওনা জমিন টৃুকু বিক্রি করে এনেছেন। রহিমের জীবনে কোন কোন কষ্ট আসতে দেয়নি এমন কি তার বাবার শুন্যতাকে কোন রকম বুঝতে দেয়নি।
তাইতো আর দশটা ছেলের থেকে রহিম একটু ভিন্ন প্রকৃতির লোক। মায়ের প্রতি তার অনেক অনেক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। মা যে তার জন্য কষ্ট করেছে এই সব কথা মনে করে মাকে বলত মা আমি বড় হয়েছি তোমার আদরের সন্তান । কিন্তু মা আমাকে কোন বিবাহ করাইবা না । যদি বড় খারাপ হয় তবে তোমাকে কষ্ট দিতে পারে । মা আমি তোমার কষ্ট হোক এমন কোন কাজ করব না।
সন্তানের মুখে এমন কথা সুনে মায়ের চোখ ভিজে গেল। সন্তানকে জড়িয়ে ধরে বলছে আমার বাবা যদি ভাল থাকে তবে বউ খারাপ হলেও সমস্যা নাইরে বাবা
রহিম উচ্ছ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে এবং একটা এনজিওতে উচ্চ বেতনে চাকুরীও করতেছে।
রহিমের মায়ের চোখেমুখে খুশির আমেজ ।
অনেক আশা রহিমকে একটা ভাল মেয়ের সাথে বিয়ে দিবে যাতে জীবনে যত দুঃখ ছিল ঘরে বউমা আসলে সব কিছু বউকে বলে তার সংসার তার হাতে দিয়ে একটু আরাম করবে।
কিছুদিন পরে মা সন্তানের সম্মিাততে উচ্চ শিক্ষিতা ঘরের এক মেয়েকে বই বানাইয়া বাড়ী আনলো।
রহিমের বউ পরম সুন্দরী তাইতো রহিম বউকে খুব ভাল বাসে ।
একেদুয়ে এখন রহিমের ঘরে ফার্নিচার ভরপুর । আধুনীকতার যত ছোযা সব কিছুই রহিমের ঘরে শোষা পাচ্ছে।
রহিমের মা বেচারী মাঝে মধ্যে পানি ঢালতে টেবিলে পানি পড়ে যায় বা অসতর্কতাবসত ঘরের কোথাও একটু নোংড়া হয়ে যায় যাহা রহিমের বউর একদম পছন্দ না।
এই কারনে মাঝে মধ্যে স্বামীর অগচরে শাশুড়ীকে বকাঝকা করে। বৃদ্ধ মানুষ কখনো বউয়ের বকাঝকার কথা সন্তানকে বলে না কিন্তু নিজে অতিত জীবন সংগ্রামের কথা মনে করে প্রায় সময় কান্নাকাটি করে।
একদিন রহিমের বউ বলতেছে শোন তোমার সব কিছু ভাল লাগে কিন্তু একটা জিনিস একদম পছন্দনা ।
রহিম বউকে জড়িয়ে ধরে বলছে আমার লক্ষী বউ আমার কোন জিনিসটা তোমার কাছে খারাপ লাগে। তুমি আমাকে বল সেটা আমি আজকের দিনের ভিতর পাল্টিয়ে দেব।
রহিমের বউ বলছে তুমি বললেও সেটা পারবে না।
রহিম বলছে পারবো তুমি বলতো তারপর দেখবা আমি পারি কি না।
রহিমের বউ বলছে ঘরের সব কিছু আধুনীক । লোকজন আসলে সবাইর পছন্দ হয় কিন্তু যখনই তোমার মাকে দেখে তখন অনেকে বলে এই বৃদ্ধাকে তোমরা বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসতে পারো এবং সেখানে টাকা পয়সা দিলে্ইতো হলো । এই বয়সে ঐ বৃদ্ধার খাবার ছাড়াতো আর কোন কিছুইর দরকার নাই।
তুমি যদি বলো তবে আমি বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে কথা বলে আসি।
রহিম বলল আমার ডিউটির সময় হয়েগেছে আমি ডিউটি থেকে আসি পর কথা বলব।
রহিম ডিউটিতে গেছে বটে তার মনটা ঘরে মায়ের কাছে। মায়ের অতিত জীবনের কষ্টের কথা মনে করে অঝরে কতক্ষন কানলেন আর আক্ষেপ করতে লাগলেন হায়রে সুন্দরী তোর বুঝি আমার বাড়ীর ভাত বন্ধ হয়ে যাবে আজই।
কিছুক্ষনের মধ্যে বাসায় এসে সিধা মায়ের রুমে গিয়ে মা মা বলে ডাকতে লাগলো। কিন্তু একি আমার মা কাদছে কেন? কোন কারন জানার দরকার নাই এই বাড়ীতে আমার বউ ছাড়া আর কোন লোক নাই যে আমার মাকে কষ্ট দিবে সুতারাং আর দেরী নয়।
বউকে বলল শোন আমার মা যদি তোমার জন্য বোঝা হয়ে থাকে তবে আমার জন্য কোন বোঝা নয় । তাই তোমাকে কষ্ট মায়ের জন্য বৃদ্ধাশ্রম দেখার দরকার নাই তুমি চলে যাও তোমার বাবার বাড়ী। আমার মা আমার কাছেই থাকবে
বিষয়: বিবিধ
২৫২৮ বার পঠিত, ২১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আইন তো বউ দেরকেই ক্ষমতা দিয়ে দিয়েছে। মন্ত্রিরা পর্যন্ত স্বিকার করেছেন যে নারি নির্যাতন ও যেীতুক এর আইনটা সবচেয়ে অপব্যবহৃত আইন।
কিন্তু সব কিছুর উর্ধেতো কেউ না কেউ থাকে
আর মন্ত্রীদেরই তো কাজ .......তাইতো চোরকে বলে চুরি করো আবার বাড়ী আলাকে বলে সজাগ থাক
আলহামদুল্লিলাহ। ভাল লাগলো।
এমন ছেলে ঘরে ঘরে নাই কিন্তু কিছু না কিছুতো আছেই
আমরা দোয়া করি আল্লাহ যেন এই রহিমের মতন আরও ভাাইকে মন্জুর করেন
সমস্যা হল গ্রগতিশীলতা প্রদর্শন করতে গিয়ে আমাদের দেশের যুবকরাই গ্রগতিবাদী বনে যাচ্ছে । সে চিন্তা করেনা আগামী দিনে আমার বংশ ধররাওতো আমার মতন হতে পারে তখন আমার কি হবে?
যৌথ পরিবারের মজাটাই আলাদা। প্রগতিবাদীরা কখনোই সেটা উপলব্ধি করতে পারবে না একসময় নিজেরাই সেই ভুক্তভুগিদের সাথে থাকতে বাদ্ধ হয়
অনেক অনেক শুকরিয়া। জাযাকাল্লাহ খাইর
আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের সমাজকে যেন ধর্মীয় চিন্তা-চেতনার ভিতর চলতে তওফিক দেন তাইলে অবশ্ব্যই ১০ লাখের চিন্তাভাবনা দুর হবে এবং পারিবারিক বন্ধনে থাকতে পারবে এবং সুখি হবে
ধন্যবাদ।
আপা আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ।
জাজাকাল্লাহ
welcome
দারুণ! এমন সাহসী ছেলে দরকার সব ঘরে। সুতরাং বৃদ্ধাশ্রম আর নয়। আর 'আশ্রম' শব্দটা আগে খুব একটা ছিল না, এখন এত প্রচারণা কেন? সচেতনতামূলক এই পোস্টটি যাদের চোখে পড়ে তারা যেন এ ঘৃণ্য কাজটি না করেন। অনেক ধন্যবাদ লেখককে..
আমরা সবাই যদি সচেতন ভাবে আমাদের পড়শিদের প্রতি খেয়াল রাখি এবং নিজেরা সচেতন হই তবে এমন ভয়ানক বৃদ্ধাশ্রম নামক শব্দটি আমাদের মাঝে তাকবে না ইনশাআল্লাহ
মন্তব্য করতে লগইন করুন