ইসরে গরিবের পোলা ! বাপটা কত কষ্ট করে পড়ার খরচ জোগাড় করে আর ছেলেটা এত খারাপ হলো কি করে ? কোন কিছু বুঝে আসে না দ্বিতীয় পর্ব
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:০২:৫৬ দুপুর
আব্দুল্লাহ এখন থানা হাজতে বন্দি আছে । পুরা গ্রামের মুখে মুখে আলোচনা চলছে আব্দুল্লাহকে নিয়ে । চাযের দোকান ,মুদি দোকান এমন কি পথেঘাটে লোকজনের মুখে মুখে। কেউ আফসুস করছে আর কেউ হতাশা ব্যাক্ত করছে।
নেহায়েত হত দরিদ্রের ছেলে আব্দুল্লাহ রাতারাত্রি এতবড় হিরো বনে গেলেন মুখে মুখে আলোচনা তো হবেই । তাছাড়া একেবারে কাছের যেই সমস্ত লোকের সাথে আব্দুল্লার চলাফিরা হতো তারাও কখনো জানতো না যে আব্দুল্লাহ এত বড় সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য। এই সকল কারনে আলোচনার মাত্রা অতিরিক্ত বাড়তি হচ্ছে।
সবাই দেখতো আব্দুল্লাহ ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে , মুরুব্বিদেরকে শ্রদ্ধা করে ,ছোটদেরকে স্নেহ করে , সকালে বাড়িতে বসে কোরন তেলাওয়াত করে কখনো কারোর সাথে খারাপ আচরন করেনা । এমন একটা লোক তাহা হলে কি করে সন্ত্রাসি সংগঠনের সদস্য হতে পারে ? গ্রামের সবাইর এই প্রশ্ন ? কিন্তু কে দিবে উত্তর !
করিম বক্স লোকজানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে আর কান্নাকাটি করছে কি ভাবে ছেলেকে থানা হাজত থেকে মুক্ত করতে পারবে। তার এতভাল ছেলে কি করে জিহাদি গ্রুপের সদস্য হতে পারে? তারকাছে কি এমন জিহাদি বই ছিল যে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে বাদ্ধ হলো ?
যদি কাছে টাকা থাকতো তবে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে হলেও ছেলেটাকে বের করে আনতো ।
করিম বক্স নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফিরে এসে আব্দুল্লাহর এক ক্লাশ মিটের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন বাবা তুমি তো সব সময় আমার আব্দুল্লাহর সাথে চলাফিরা করো , তার কাছে এমন কি জিহাদি বই ছিল তুমি কি বলতে পার? সরকারের সব মিডিয়া আজ আব্দুল্লাহকে সন্ত্রাসি বলে যেই বাবে প্রচার করছে তাতে আমি বাবা হিসেবে নিজেকে ঠিক রাখতে পাছিনা।
আব্দুল্লাহর ক্লাসমেইট রশিদ বলছে চাচা আমি নিকট থেকে তাকে যতটুকু চিনি এবং তার ব্যাপারে আমার কাছে যতটুকু তথ্থ আছে সে কোন সন্ত্রাসি সংগঠনের সদস্য না চাচা ! আর তার কাছে দুইটা বই ছিল বলে আমার জানা এবং দেখা । একটা বই মাছলা মাছায়েল শিক্ষার আসান ফিকাহ নাম আর একটা কোরানের তাফসির ।
গ্রামে রিতিমত তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে আব্দুল্লাহকে নিয়ে
৩য় বার বাকিটা লিখব ইনশআল্লাহ
বিষয়: বিবিধ
১৫৬০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ
মন্তব্য করতে লগইন করুন