জামায়াত নিষিদ্ধে কার লাভ কার ক্ষতি হবে ? বরং মজলুমের পক্ষেই লাভের পাল্লা যাবে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ এপ্রিল, ২০১৫, ০৯:৫৭:২৬ সকাল
জালিম সরকাররা সবসময় মনে করে যে আমি যেহেতু ক্ষমতায় আছি তাই এমন সব আইন কানুন বানাবো যে আমাকে ক্ষমতা থেকে নামাতে আসবে সেই গুষ্টি এই আইনে ধরা পড়ে শাস্তির সন্মুখিন হবে। ক্ষমতার মোহে জালিমরা তখন ইতিহাস ভুলে যায় । তাই তাদের তৈরী কালাকানুনের ফাকে তারাই আটকা পড়ে নিজেদের অতিত ইহিহাস ঘৃনার অতল গহব্বরে নিক্ষেপ হয়।
মোয়াম্মার গাদ্দাফিতো আর কম সাহসি ছিলেননা , যেমন ছিল তার ধন দৌলত , অস্রের ভান্ডার তেমন ছিল তার আরব দেশের সমর্থন , কিন্তু জনরোষের সামনে তার সেই সাহসিকতা , অস্রের ব্যাবহার এবং আরব সমর্থন কোন কিছুই রক্ষা করতে পারেনি । ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
আজ যারা বাংলার শাষন ভার জোর করে নিয়ে দেশ চালাচ্ছে তারা ভাবতে পারে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করলে বুঝি তাদের জন্য ভাল হবে কিন্তু না তারা ইতিহাস থেকে শিক্ষা না নেওয়ার কারনে ইনশাআল্রাহ তাদের পরিনতি ইতিহাসের বাস্তবতার দিকেই ধাবিত হবে বলে বিশ্বাস করি ।
ইনশাআল্লাহ ।
আগামি সংসদে নাকি অবৈধ সরকারের অবৈধ আইন মন্ত্রী জামায়াতে ইসলামকে নিষিদ্ধের আইন পাশ করাবে।
বিষয়: বিবিধ
১০৮১ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
=
ইসলাম গনতন্ত্র প্রতিষ্টা করেছেন সেই সময় যখন দুনিয়াতে মানুসের অধিকার ছিল না জুলুম নির্যাতন ,লুন্টন হাইজাকারে এবং মানবরুপি ময়তানে ভরে গিয়েছিল সেই সমােজে ইসলাম গনতন্ত্র প্রতিষ্টা করেছিলেন নবী মোহাম্মদ সঃ
একমাত্র জামাযাতে ইসলামই সেই ধারার গনতন্ত্র কাযেম করতে চায়
ধন্যবাদ ভাই
রাসুর যেই খেলাফত কায়েম করেছিলেন সেই খেলাফতই ইসলামী গনতন্ত্র ভাই জান
আপনি আমার দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছেন গণতন্ত্রের ব্যাপারে। আমার মতে গণতন্ত্র হল খৃষ্টান ধর্মের বিকল্প হিসেবে তৈরী করা রাষ্ঠ্র কাঠামো। খৃষ্টান ধর্মপ্রদত্ত বা বাইবেলের আইনের বিপরীতে নতুন আইন ব্যাবস্হা গড়ে তোলার এক প্রক্রিয়া। যেখানে মানুষের উপর স্রষ্টার খবরদারি বন্ধ করা হয়েছে। শিক্ষাব্যাবস্হা, আইন সব কিছু থেকে ধর্মকে আলাদা করা হয়েছে এবং মানুষ তার নিজের নিয়ন্ত্রণ নিজে নিতে চায় তাই সেই সব ক্ষমতার উৎস, স্রষ্টা না। পুঁজিবাদ, সেকুলারিজম, জাতিয়তাবাদ গণতন্ত্রের ভিত্তি যার ৩টিই ইসলামে হারাম। ইসলামে গণতন্ত্র হারাম কারণ: আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহনযোগ্য ব্যাবস্হা বা দ্বীন হল ইসলাম। আর সাহাবী, তাবেয়ী,তাবে-তাবেয়ী,পূর্ববর্তী আলেমরা কোন ইসলামি গণতন্ত্রের কথা বলেননি কাজেই এটিও খেলাফতই ইসলামী গণতন্ত্র এটি মনগড়া কথা যার পেছনে কারো সমর্থন নেই।
হে নবী! আল্লাহকে ভয় করুন এবং কাফির ও মুনাফিকদের আনুগত্য করবেননা। আল্লাহ তো সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময় (সূরা আহযাব:৩৩, আয়াত: ১)
কাজেই কাফিরদের হাতে গড়া গণতন্ত্র আমরা অনুসরণ করতে পারিনা।
আল্লাহ আপনাকে জাজা দিক
আমিন
ঠিক বলেছেন
গাজী ভাই আপনারা ভাই বোন এই ব্লগে আছেন মাশআল্লাহ
ভার্চুয়াল বড় বোন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন