আওয়ামী লীগের ভবিস্যত নেতৃত্বে আসছে ভারতে জন্মগ্রহণকারী বর্ণসঙ্কর প্রজন্ম। কে সজীব ওয়াজেদ জয় ?
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০১ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৭:৪০:২১ সন্ধ্যা
শিরোনাম দেখে চমকে গেলেন নাতো ? আপনার জিজ্ঞাসা থাকতে পারে আওয়ামী লীগের সাথে তার সম্পর্ক কিসের ? উত্তর হলো দিনের সাথে রাতের যে সম্পর্ক, তারার সাথে চাদের যে সম্পর্ক, শিখার সাথে প্রদীপের যে সম্পর্ক , আওয়ামলীগের সাথে ভারতে জন্ম নেয়া একজন বর্ণসঙ্কর নতুন প্রজন্মের সে সম্পর্ক। তার সম্পর্কে জানার আগে তার আগের প্রজন্মের কিছু তথ্য আমরা জেনে নেই।
সজিব ওয়াজেদ জয় , আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পুত্র, বিশেষ করে ১/১১ পরবর্তী সময়ে ইসলাম বিরুধী থিসিস লিখে বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আঘাত করে বেশ সমালোচিত হন। প্রো - আওয়ামী লীগের ধর্মনিরপেক্ষ প্রচারণা করে মিডিয়ার শিরোনামে আসে জয়। তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্য, বক্তৃতা তার মায়ের চেয়ে আরও খারাপ বলে মনে হচ্ছে।
মাতালের ড্রাইভিং, অবৈধ অস্ত্র এবং জয়: শিরোনামে, ১৭,জুন, ২০০৭ সালে প্রোব ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন সকলের নজরে দৃষ্টিগোচর হয়। আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত ও প্রধান কমান্ডার সম্পর্কে ২০০৭ সালে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করে জয়কে সমালোচনায় নিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রোব ম্যাগাজিন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র জয়, একটি অনুষ্ঠানে মাতাল অবস্থায় ড্রাইভিং এর জন্য গ্রেফতার হয় এবং তার সাথে পাওয়া যায় একটি অবৈধ অস্ত্র। তার এইসব বিবরণ জানার আগে আসুন আমরা জেনে নেই জয়ের জন্ম থেকে বেড়ে ওঠার সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী। একজন জয় তার জীবনে কি কি প্রতিকুলতার স্বীকার হয়েছে, কেনইবা তার মত একজন বালক সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেও জীবনের শ্রেষ্ট সময়ে এসে তথ্যবাবা নামে খ্যাত হলেন কিংবা সংবাদ পত্রের শিরোনাম হলেন? কি কারণে মূল্যবোধের এত অবক্ষয় হলো তার? এইসব প্রশ্নের উত্তর খোজে পাবেন ।
।সজীব ওয়াজেদ জয় জন্মগ্রহণ করেন ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে পাকিস্তানি সেনাদের নিরাপত্তা হেফাজতে, যখন দেশে চলছিল স্বাধীনতা সংগ্রাম। গ্রেফতারের নাঠক দেখিয়ে শেখ মুজিব পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেন। প্রকৃতপক্ষে এটা ছিল ভুট্টুর সাথে মুজিবের গোপন সমযোতা। শেখ মুজিবের আত্মসমর্পণের মূল শর্ত ছিল তার নিজের জীবনের নিরাপত্তা এবং মুজিবের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষা।
পাকিস্থানি আর্মি দেশের জনগণের উপর বর্বর হামলা, হত্যা, নির্যাতন চালালেও মুজিব পরিবারের নিরাপত্তা দিতে তারা অবহেলা করেনি। জয়ের মা শেখ হাসিনা জয়কে গর্ভে নিয়ে অন্তসত্তা ছিলেন। হাসিনার সাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে দৈনিন্দন জীবনের নিত্য প্রয়োজনীয় সকল কাজে কিংবা বিনোদনে সঙ্গ দিয়েছে মুজিব পরিবারের জন্য নিয়োজিত পাকিস্তানী আর্মিরা। এমন কি মুজিব পরিবারের জন্য ১৮০০ শত পাকিস্থানী রুপী ভাতা দিত পাকিস্থান সরকার।
তবে এক সময় পাকিস্থানি এক মেজরের সাথে হাসিনার ঘনিষ্ট সম্পর্ক হয়। মেজরের নাম ছিল মেজর কিয়ানি, যার জন্মস্থান পাকিস্থানের রাহুল পিন্ডি। তার তত্ত্বাবধানে শেখ হাসিনা সেই সময় ভালই ছিলেন। তার সাথে শেখ হাসিনা ডাক্তার দেখাতে কিংবা হাসপাতালে যেতেন। সবধরনের বিনোদন এমন কি পার্কে কিংবা লেকের পারে হাসিনাকে নিয়ে যেত মেজর কিয়ানি। ২৭সে জুলাই জয়ের জন্মের পর থেকে কিয়ানির সাথে হাসিনার অতিঘনিষ্টতা দেখে তাঁর স্বামী খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সাথে অন্তর্কলহে জড়িয়ে পরেন।
ঝগড়া বিবাদ ছিল তাদের নিত্য দিনের সঙ্গী। একপর্যায়ে ভেঙ্গে পরেন এম এ ওয়াজেদ মিয়া। তার মন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যায় প্রিয়তমা স্ত্রীর অবাধ চালচলন দেখে। ঝরে পরা গাছের পাতা যেভাবে গাছের সাথে আটকানো যায়না, ঠিক তেমনি ভেঙ্গে যাওয়া মন আর কখনো জুরা লাগেনা। কিন্তু হাটি হাটি করে বেড়ে ওঠা জয় তার পিতা মাতার অন্তর্কলহ দেখতে দেখতে তার মনের অতল গভীরে প্রভাব পরে। জয় তার পিতা মাতার সঠিক আদর-যত্ন ও পরিচর্যা থেকে থাকে বঞ্চিত। তার পর এলো সেই ঐতিহাসিক ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সাল। সময়ের প্রয়োজনে একটি সফল সামরিক অভ্যুতানের মধ্য দিয়ে বাকশালী সরকারের পতন হয়। যে অভ্যুতানে মারা যান শেখ মুজিব সহ শেখ পরিবারের অনেক সদস্য। শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা হওয়ার পর জয় মায়ের সাথে জার্মানী-লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তাঁর শৈশব এবং কৈশর কেটেছে ভারতে।
২৭ জুলাই ১৯৭১,জয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেন জয়। তাঁর বাবা এম এ ওয়াজেদ মিয়া, একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী এবং মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। ১৯৭৫ সালে তাঁর নানা শেখ মুজিবুর রহমান সামরিক অভ্যুতানে মারা যাওয়ার পর জয় মায়ের সাথে জার্মানী-লন্ডন হয়ে ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন। ফলে তাঁর শৈশব এবং কৈশর কেটেছে ভারতে।
ভারতীয় সংস্কারে লালিত হওয়া জয়ের জীবনের শৈশবকাল কেটেছে ভারতে। বাংলাদেশের সঙ্গে তার তেমন একটা সংস্রব ছিলনা। দেশে তার কোনো বন্দু বান্দব ও ছিলনা। তাঁর মা ভারত সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে ভারতে দীর্ঘদিন অবস্থান করেন জয়কে নিয়ে।
তার প্রাথমিক শিক্ষাটাও ছিল ভারতে। সে কোনো ইসলামিক শিক্ষার সুযোগ পায়নি। অবশেষে ১৯৮১ সালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আহ্বানে বাংলাদেশে ফিরে আসেন হাসিনা তার পুত্র জয়কে নিয়ে। কিন্তু স্বাভাবিক পারিবারিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্নতার একটা ধারনা জন্ম নেয় জয়েরঅবচেতন মনে। তাই জয় তার মায়ের রাজনৈতিক ব্যস্ততা এবং বাবার সাথে মতানৈক্য এবং কলহ জয়ের ছোট্ট মনে ভীষন প্রভাব ফেলে। ধীরে ধীরে সে বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাই বাধ্য হয়ে জয়কে বোর্ডিং স্কুলে বর্তী করে দেয়া হয়, যাতে করে তার মা হাসিনা রাজনীতিতে আরো বেশি সময় দিতে পারেন। জয় তার মামা কামালের মত বখাটে ছেলেদের সাথে ঘুরাফেরা করত। অবশেষে ১৯৯০ সালে নারান্গঞ্জের একজন ব্যবসায়ীর পাজারো জীপ চুরি করে গোলশানে বড় ধরনের একটা দুর্ঘটনায় পতিত হয় জয়। এরপরেই জয়কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন হাসিনা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা জয় নিজেকে অবমুক্ত মনে করেন। তাই স্বাধীন জীবনটাকে সময়ের চাহিদা মিটিয়ে উপভোগ করতে বেপরোয়া হয়ে ওঠে জয়। বেপরোয়া ড্রাইভিং, বেপরায়া ক্লাবিং,মদ গাজা সহ সবকিছুতেই জীবনের নতুন স্বাধ উপভোগ করতে নেশাগ্রস্থ হয়ে ওঠেন জয়। যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ তার বেপরোয়া চলাফেরায় বারবার গ্রেফতার করেও ধমন করতে পারেনি। জয় মাতাল ড্রাইভিং, দ্রুত গাড়ী চালানোর, বেপরোয়া ড্রাইভিং, রাডার সনাক্তকরণ ডিভাইস এর বেআইনী ব্যবহার, এবং এমনকি একটি অবৈধ বন্দুক বহনসহ বিভিন্ন অপরাধে তার উপর চার্জ করে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। যুক্তরাষ্টের আদালত জয়কে একাধিক অপরাধে দোষী সাব্যস্থ করে জেলদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করে। জয়ের জেলদন্ড সম্পর্কে আমরা পরে জানব, এর আগে আমরা জেনে নেই কে সেই বর্ণসঙ্কর যে কিনা আওয়ামী লীগের ভবিষ্যত নেতৃত্বে আসতে পারে।
১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় অধিষ্টিত হওয়ার পর জয় তার প্রেমের কথা তখকার প্রধানমন্ত্রী মা হাসিনাকে অবহিত করে। একজন শিখ মেয়ের সাথে জয়ের প্রেম ছিল তার স্কুল জামানা থেকে। হাসিনা সব জেনে জয়কে শিখ মেয়ের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দিতে রাজি হন এবং সে লক্ষ্যে দেশ থেকে বরাতের একটি বিশাল বহর সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এসেছিলেন। সঙ্গে নিয়ে আসেন ঢাকা থেকে বিখ্যাত ফখর উদ্দিন বাবুর্চির নামকরা শেফ। হাসিনার শর্ত ছিল একটাই মেয়েকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হবে। অন্যতায় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশে সমালোচনার ঝর উঠবে। জয়ের প্রেমিকা তখন অন্তসত্তা ছিল। কিন্তু জয়ের ঔরশজাত সন্তান তার পেটে ধারণ করার পর ও শিখ মেয়েটি রাজি হলনা হাসিনার প্রস্তাব মেনে নিয়ে ইসলাম গ্রহণ করতে। এতে শেখ হাসিনা মানসিকভাবে খুবই উত্তেজিত ছিলেন। মেজাজ ছিল খটখটা। এইদিন কারো সাথে দেখা করেন নি তিনি, সকল এপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে দেশে ফিরে যান শেখ হাসিনা। জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো সেই সত্যকেই তুলে ধরেছিল। ইতিহাসও সেই সত্যকেই বহন করবে। তাই জয়ের সাথে তার প্রেমিকার বিচ্ছেদ হয় বাধ্যতামূলক। পরে ঐ শিখ মেয়ের গর্ভেই জন্ম নেই জয়ের ঔরসজাত প্রথম সন্তান। তাকে লালন পালন করার জন্য হাসিনাকে গুণতে হয়েছে বিশাল অংকের টাকা। এদিকে ধীরে ধীরে ওই সন্তান বড় হচ্ছে। এইদিন আর বেশি দুরে নয় যেদিন জয়কে তার অবৈধ সন্তানের মুখাপেক্ষী হতে হবে। জাতি অবাক দৃষ্টিতে থাকিয়ে দেখবে কিভাবে একজন বর্ণসঙ্কর প্রজন্ম দেশে ফিরে চাইবে তার অধিকার। অর্থ সম্পদ কিংবা রাজনীতিতে চাইবে তার ন্যায্য হীসসা। হতে চাইবে আওয়ামী লীগের সভাপতি কিংবা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। (পাঠকদের সুবিদার জন্য ২০০১ সালের আনন্দ বাজারে প্রকাশিত একটি পত্রিকার কাটিং তুলে ধরা হলো।) এই বিয়ের সত্যতা স্বীকার করেছেন শেখ সেলিম। তার স্বীকারুক্তির ভিডিও ফুটেজটি দেখুন নিচের লিঙ্কে। লিঙ্কে ক্লিক করলে ভিডিও দেখা না গেলে কপি পেস্ট করে দেখুন।
https://www.facebook.com/l.php?u=https%3A%2F%2Fwww.youtube.com%2Fwatch%3Fv%3D9WrAHfBCe7o&h=aAQFtlFDG
যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের অপরাধের জীবন।
যুক্তরাষ্ট্রে জয় কি কি অপরাধে সম্পৃক্ত ছিল তার সব তথ্য তুলে ধরা দুস্কর। প্রধানমন্ত্রী পুত্র জয়ের দুর্নীতি তদন্তের দাবি করে ১০ ডিসেম্বর ২০১৩ লন্ডনে সংবাদ সম্মেলন করে। একটি বিচার বিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূর্নীতি ও দুরাচার তদন্তের দাবি জানিয়েছে সময়ের সাক্ষী নামে একটি সংগঠন। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, অষ্ট্রেলিয়া কানাডা এবং কাতার থেকে একযোগে পরিচালিত এই সংগঠনের ইউরোপ ব্রাঞ্চ এর উদ্যোগে লন্ডনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, দেশে বিদেশে অর্থপাচার, অবৈধ অস্ত্র বহন, মাতাল অবস্থায় ড্রাইভিং, নৈতিক স্খলনজনিত অপরাধসহ নানা অভিযোগ রয়েছে জয়ের বিরুদ্ধে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মাতাল অবস্থায় গাড়ী চালানোর দায়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর তার ১২০ দিনের জেল হয়েছে, দিতে হয়েছে অর্থদন্ড।
এছাড়াও, যুক্তরাজ্যে জয়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের ১৩টি ঘটনার সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়। কয়েকটি ঘটনার তথ্যউপাত্ত উপস্থাপন করে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এমন একজন প্রশ্নবিদ্ধ ব্যক্তিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করার আগে তার ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করা এখন সময়ের দাবি। তারা অবিলম্বে জয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করার জন্য দূর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এনার্জি সেক্টরে একটি বিদেশী কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিতে গিয়ে জয়ের ব্যাপারে দুর্নীতির যে অভিযোগের খবর আমার দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো তার তদন্ত প্রয়োজন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকান্ডের নেপথ্যেও ‘এনার্জি এন্ড পাওয়ার’ সেক্টরের অবৈধ লেনদেনের ঘটনা রয়েছে বলে জনমনে ব্যাপক সন্দেহ রয়েছে। ওই দূর্নীতির ঘটনার পেছনে শেখ হাসিনা পরিবারের যোগসাজস থাকতে পারে এ কারণেই খোদ প্রধানমন্ত্রী একটি মামলার প্রত্যক্ষ্ তদারকী করার পরও এখনো সাগর রুনি হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়নি বলেও সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়। পরিবারের কাউকে বাঁচাতে শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু দূর্নীতি তদন্তে গড়িমসি করেছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশে এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নেই। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা আর তার দূর্নীতিবাজ পুত্র পরিজন এবং মহাজোটের চোরদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। তারা আরও অভিযোগ করেন শেখ হাসিনার পুত্র পরিবার সবসময় বিদেশে বসবাস করলেও তিনি ক্ষমতায় এলেই দেশে তার পুত্রকন্যাদের দৌরাত্ম বেড়ে যায়। তারা দেশে ফিরে এসে মেতে উঠে অর্থ পাচার দূর্নীতি আর লুটপাটে।
আয়োজকরা জানান, দেশে-বিদেশে সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্রে জয়ের নামে বেনামে ১৭টিব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং ৮টি বাড়ী রয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় দৈনিক আমার দেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের দূর্নীতির রিপোট প্রকাশ করার জের ধরে পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এখনও কারাবন্দী। জয়ের দূর্নীতি ও বেপরোয়া জীবনাচারের একটি রিপোর্টে পহেলা ডিসেম্বর সময়ের সাক্ষী.কম ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হওয়ার মাত্র ১৪ ঘন্টার মধ্যেই ওয়েব সাইটটি বাংলাদেশে দেখা বন্ধ করে দেয় সরকার।
সংবাদ সম্মেলনে ব্ক্তারা বলেন, জয় আহলে কিতাব কিংবা শিখ ধর্মাবলম্বী যাকেই বিয়ে করেন সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয় হলেও রাজনীতি করতে চাইলে এইসব বিষয়গুলো সম্পর্কে জনমনে নানা প্রশ্ন থাকা স্বাভাবিক। কারন, প্রতিপক্ষের রাজনৈতিক নেতা ও দল সম্পর্কে অশোভন বক্তব্য মন্তব্য, প্রকাশ্য রাজপথে শত শত আলেম ওলামাকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা, দাড়িটুপিওয়ালা মানুষকে অপমান, সামরিক বাহিনীতে জঙ্গীবাদ রয়েছে বলে অপপ্রচার এবং মাদ্রাসা শিক্ষা উঠিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র এইসব হীন কর্মকান্ডের পেছনে জয়ের ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও বেপরোয়া জীবনাচারনের কু প্রভাব রয়েছে কীনা সেটি ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়ে বলা হয়, বিদেশে বেড়ে ওঠা, বিদেশী সংস্কৃতি লালন করা, বিদেশি মেয়েকে বিয়ে করা, বিদেশে ব্যবসা বাণিজ্য প্রতিষ্ঠা করা, যার সবকিছুই বিদেশে তিনি হঠাৎ করেই মায়ের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশের জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন কীনা এটি জরুরীভিত্তিতে খতিয়ে দেখা দরকার।
প্রিয় পাঠক আমাদেরকে ইতিহাস থেকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে। কিন্তু ইতিহাসের গতিকে কোনদিন ক্ষমতা লিপ্সার বাধ দিয়া ঠেকাইয়া রাখা যায় না। আজকের এই ঐতিহাসিক ক্রান্তিকালে আমাদের দায়িত্ব অনেক। বাংলাদেশ এক মহা ক্রান্তিলগ্ন অতিক্রম করছে। জনগণের প্রতি অর্পিত ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনে আমাদের সকলকে আজ ঐক্যবদ্ধভাবে আগাইয়া আসতে হইবে। এই দেশটাকে বাজিকরদের হাথ থেকে উদ্ধার করতে আজ জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।
বিষয়: বিবিধ
১৪০৫ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
জানতে পারবেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন