৭৫-এ জাসদ জানতো না, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে’
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১০ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:৩৮:৪৯ দুপুর
আমি হিসাব করে দেখেছি বঙ্গবন্ধুর ডেড বডি অনাদরে-অবহেলায় ৩২ ঘণ্টা পড়েছিল ৩২ নম্বর রোডে। সেখানে কোন বীরউত্তম যাননি। একজন পাকিস্তান প্রত্যাগত সেনা কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন আহম্মদ যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যাওয়ার পথে তাকে হত্যা করা হয়। আর বীরউত্তমরা তখন সব রেডিও স্টেশনে। জিয়া প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। জিয়া রীতিমতো লবিং করেছেন ফারুক-রশিদের কাছে টু মেক হিম প্রেসিডেন্ট। তাহের জিয়ার হয়ে লবিং করেছেন জিয়াকে প্রেসিডেন্ট বানানোর জন্য। এখন আমরা যদি ফারুক-রশিদের ওই ইন্টারভিউকে ক্রেডিবল ইনফরমেশন মনে করি যে জিয়ার সাথে তারা দেখা করে বলেছিল স্যার কিছু একটা করেন। এই ইনফরমেশন যদি ক্রেডিবল হয়, তাহলে তাহের যে ফারুক-রশিদের কাছে গিয়ে বললো জিয়াকে প্রেসিডেন্ট বানান- সে ইনফরমেশন আমরা ক্রেডিবল মনে করবো না কেন? সোর্স তো একটাই। স্যাটারডে পোস্ট-এ ফারুক-রশিদ ইন্টারভিউ দেন। কর্নেল হামিদের বই থেকে আমি কোট করেছি।আমি হিসাব করে দেখেছি বঙ্গবন্ধুর ডেড বডি অনাদরে-অবহেলায় ৩২ ঘণ্টা পড়েছিল ৩২ নম্বর রোডে। সেখানে কোন বীরউত্তম যাননি। একজন পাকিস্তান প্রত্যাগত সেনা কর্মকর্তা জামিল উদ্দিন আহম্মদ যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যাওয়ার পথে তাকে হত্যা করা হয়। আর বীরউত্তমরা তখন সব রেডিও স্টেশনে। জিয়া প্রেসিডেন্ট হতে চেয়েছিলেন। জিয়া রীতিমতো লবিং করেছেন ফারুক-রশিদের কাছে টু মেক হিম প্রেসিডেন্ট। তাহের জিয়ার হয়ে লবিং করেছেন জিয়াকে প্রেসিডেন্ট বানানোর জন্য। এখন আমরা যদি ফারুক-রশিদের ওই ইন্টারভিউকে ক্রেডিবল ইনফরমেশন মনে করি যে জিয়ার সাথে তারা দেখা করে বলেছিল স্যার কিছু একটা করেন। এই ইনফরমেশন যদি ক্রেডিবল হয়, তাহলে তাহের যে ফারুক-রশিদের কাছে গিয়ে বললো জিয়াকে প্রেসিডেন্ট বানান- সে ইনফরমেশন আমরা ক্রেডিবল মনে করবো না কেন? সোর্স তো একটাই। স্যাটারডে পোস্ট-এ ফারুক-রশিদ ইন্টারভিউ দেন। কর্নেল হামিদের বই থেকে আমি কোট করেছি।আপনি একটা জায়গায় ঘটনা ঘটলো সেখানে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তথ্য নেবেন। যেখানে লিখিত ডকুমেন্ট থাকে না সেখানে গবেষকরা তা-ই করেন। তারপর তিনি যেটা বলেছেন, যিনি বলছেন, তার ক্রেডিবিলিটি কতুটুকু। যিনি বলছেন তার অবস্থানটা কি? তার বয়স কেমন? অন্যান্য কার্যক্রম কি? নঈম জাহাঙ্গীর তাহেরের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। তাই কর্নেল তাহেরের সঙ্গে তার কথা হতেই পারে। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। তার রাজনৈতিক অবস্থান ছিল। যে কারণে মহিউদ্দিন আহমদ তাকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছেন। এ পর্যায়ে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মাঈনউদ্দিন খান বাদলের কাছে আমার একটি বিষয় জানার আছে। বইতে যেটা আছে ১৫ই আগস্ট ভোরবেলা কর্নেল তাহেরকে নিয়ে যাওয়া হয় রেডিও স্টেশনে। তিনি রেডিও স্টেশনে যান। তার মানে তিনি এই হত্যাকা-কে অনুমোদন করেন। রেডিও স্টেশনে শুধু যান তাই নয় তিনি ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তার মধ্যে ছিল এখনই মার্শাল ল’ জারি করতে হবে। তিনি খোন্দকার মোশতাকের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বঙ্গভবনে যান। যদিও তার আগেই শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যায়। সেখানে তিনি ফারুক-রশিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি জিয়াউর রহমানকে ডেকে নেন। এ সব ঘটনা প্রমাণ করে ১৫ই আগস্ট যা ঘটেছে কর্নেল তাহের তা এপ্রুভ করেন। এর মধ্যে কিন্তু জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তাহেরের কোন সংঘাত আমি দেখি না। কিন্তু বাদল ভাই পরে কি ঘটনা ঘটলো হঠাৎ করে এখন আমরা যেটা বলি, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু যেটা বলেছেন যে জিয়াউর রহমান খলনায়ক কর্নেল তাহের নায়ক? কি এমন ঘটনা ঘটলো? আমরা তো এ পর্যন্ত বান্ধবই দেখছি। নায়ক-খলনায়কের দ্বন্দ্বটা আসলে আমি এ বই পড়েও বুঝতে পারিনি। মাঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, একটা জিনিস বলি আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এ ব্যাখ্যাকে আমি উড়িয়ে দেবো না। এখানে যেটা মনে রাখতে বলবো যে জাসদের সঙ্গে কর্নেল তাহেরের সম্পৃক্ততা। জাসদ একটা পার্টি যে দলে দু’জন সেক্টর কমান্ডার যুক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। মেজর জলিল এবং কর্নেল তাহের। এদের আবার আর্মিতে একটা লং এসোসিয়েশন আছে। যেটা ভুলে যাওয়ার দরকার নেই। ২০ বছরের এসোসিয়েশন আছে। উইথ জিয়া অ্যান্ড আদারস। সুতরাং প্রশ্ন হলো উনি ১৫ই আগস্ট কি করেছেন তা যদি বলেন তাহলে উনি যা যা করেছেন তা আমার পার্টির যে হাইকমান্ড পার্টির যে প্রক্রিয়া সে প্রক্রিয়াতে অনুধাবনযোগ্য নয় এবং অনুসরণযোগ্যও নয়। এটা আমরা কোন সিদ্ধান্ত নিইনি। কর্নেল তাহেরকে পার্টি কোন নির্দেশ দেয়নি, আপনি ওখানে যান আপনি এটা করেন সেটা করেন। হ্যাঁ, পার্টি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে কাজ করেছে। এখন আপনি যদি বলেন, আইনের দৃষ্টিতে সেটা অন্যায় তা আপনি বলতেই পারেন। সামিয়া রহমান বলেন, খুনি মুজিব খুন হয়েছেন বলে একটি লিফলেট বিলি করা। মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, এ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে পার্টি থেকে। জাসদ তো ফ্রম ৭২ শেখ মুজিবের উৎখাত চাইছিল। তাতে আমি অবাক হওয়ার মতো কিছু দেখি না। ৭৫ সালে যারা লিফলেট দিয়েছিল তারা তো আর জানতো না আওয়ামী লীগ ৯৬ সালে আবার ক্ষমতায় আসবে। তাহলে তো আর লিফলেট দিতো না।
বিষয়: বিবিধ
১০৬০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন