দাউদ হায়দার, তাসলিমা নাসরিন এবং লতিফ সিদ্দিকীদের প্রিয় নিরাপদ স্থান ভারত ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:২৪:৫১ রাত
দাউদ হায়দার ও তাসলিমা নাসরিনের পথ ধরেই হাটছেন ষাড় লতিফ সিদ্দিকী। ইসলাম নিয়ে বিষোদ্বাগার করে প্রথমে প্রথম দুজনের মতোই নিরাপদ স্থান ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন বর্তমানের সবচেয়ে ঘুর্নিত ষাড় লতিফ সিদ্দিকী।
দীঘদিন দাউদ হায়দার এবং তাসলিমা নাসরিন তাদের সঙ্গি খুজছিলেন সেই সঙ্গি ষাড় লতিফ সিদ্দিকীকে পেয়ে গেছেন একেবারে তাদের নানার দেশেই। প্রশ্ন উঠেছে তার পরিনতিও কি ঐ দুই জনের মতো হবে?
ইতোমধ্যেই মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন লতিফ , একটার পর একট মামলা হচ্চে তার বিরুদ্ধে। অনেক মামলায় সমন জারিও হয়েছে বেশ কয়েক জায়গায়। দেশে ফিরতে চাইলে বিমান বন্দর ঘেরাও করবে বলেও ঘোষনা দিয়েছে কয়েকটি ইসলামি সংগঠন।
সরকারের পক্ষ থেকে বা তার দলের পক্ষ থেকেও তার পক্ষে কথা বলতে কাউকে শোনা যাচ্ছে না।
নারায়নগন্জে তার মাথার মুল্যও ঘোষনা করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা । আগের বিতাড়িত ব্যাক্তিদের মতোই বিদেশে থেকে যাচ্ছেন এই বিতর্কিত ষাড় লতিফ তাই আগে ভাগেই তাদের নানার দেশ ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন এই ষাড়।
১৯৭৪ সালে হযরত মোহাম্মদ সঃ কে নিয়ে কটুক্তি করে দাউদ হায়দার দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল তার পর সে আশ্রয় নেন নানার দেশ ভারতের কলকাতায়।
ভারতে তাকে আশ্রয়দাতা অন্নাশঙ্কর রায়ের কাছ থেকে চলে যান জার্মানিতে তারপর কাজ নেয় ডয়েচেভেলেতে। বর্তমানে সে জার্মানিতেই আছেন কোন সরকারই তাকে দেশে আসার সুযোগ দিতে পারেনি।
একই পথের পথিক হলো কুলাংগার তাসলিমা নাসরিন সে পবিত্র কোরআন ও হাদিসের বিরুদ্ধে বিষোধাগার করে বিতর্কে আসেন । সে বুঝতে পারেনি এই কথা যে এত স্পর্শকাতর ঝুকিপুর্ন হবে। তখন তার এই লেখার কারনে সারাদেশ উত্তাল হয়ে উঠে । সিলেটের এক আলেম তার মাথার মুল্য ঘোষনা করেছিলেন । তারপর একটার পর একটা মামলা হতে থাকে তার বিরুদ্ধে। পালিয়ে বেড়াতে থাকেন তাসলিমা কুলাংগার একপর্যায়ে ইউরোপ সহ কয়েকটি দেশের সহযুগিতায় কোট থেকে জামিন নিয়ে রাতের অন্ধকারে দেশ ছাড়তে বাদ্ধ হয়েছিল এই নামুষ নামের শয়তানটি।
তারপর সে চলে গিয়েছিল ইউরোপে তাকে নিয়ে ইউরোপ এবং আমেরিকার মিডিয়া অনেক বাড়াবাড়ি করেছিল।তাকে নিয়ে বিশাল বিশাল সেমিনার করে তাকে প্রধান বক্তা বানিয়ে সহযেই পরিচিত করে তুলেছিল।
এই সুযোগ নিতে ভুল করেনি ভারতের আন্দবাজার পত্রিকা ও বিজেপি দল। তার বির্তকিত বই লজ্জা ভারতের সব ভাষায় অনুবাদ করে পুরা দেশ ছড়িয়ে দিয়েছিল তারা।
তার পরবর্তি বই ;ক; উপন্যাসে ভারতের কয়েকজন খ্যাতনামা সহিত্যিকের চরিত্র উদঘাটনের মাধ্যমে তার বন্ধুদের রোষানলে পড়তে হয়েছিল এই নাস্তিক লেখিকাকে ।
এরপর পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা যখন রাস্তায় নামতে আরম্ভ করেছিল তখন সিপিএমও তৃনমুল কংগের তাকে পরিত্যাগ করলে চলে যায় দিল্লিতে নিজণ এক গৃহে।
এই অবস্থা ষাড় লতিফ সিদ্দিকের বেলায়ও দেখা যাচ্ছে। তার দির্ঘদিনের সহযুগিদের মধ্যে সাজেদা চৌধুরী তাকে মুখফোড়া বলেছে আর সুরন্জিত সেন বলেছেন ন্যাক্কারজনক।
জাতীয় মোনাফেক পার্টির চেয়াম্যান এরশাদ ও ইসলামপত্থী কয়েকটি দল ও জামায়াতে ইসলামী তার ফাসি চায়। তাকে পাথর ছুড়ে মারলে সওয়াব হবে হবলে ফতোয়া দিয়েছেন আন্দলিব রহমান পার্থ।
বিষয়: রাজনীতি
১৮৪৭ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন