লতিফের মন্ত্রীত্ব যদি যায়ও সেটা ইসলাম অবমাননার ও হাসিনা পুত্রকে ছোট করার জন্য নয় বরং ২৫ মিলিয়ন ডলারের কমিশন ভাগ নিয়ে জয় এবং লতিফের দন্ধের কারনে ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৫ অক্টোবর, ২০১৪, ১০:৪৯:৩১ সকাল
সুত্র থেকে জানা গেছে এই ঘটনা ঘটেছে মেক্সিকোয়।
কার্লোস স্লিম হেলু মেক্সিকান টেলিকমুনিকেশন ব্যাবসায়ী হলেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী , লেবানিজ বংশোদ্ভুত ।
মনোপলি ভেঙ্গে দেয়ার জন্য মেক্সিকো সরকার সম্প্রতি এক আইন করেছে যার ফলে বড় বড় কোম্পানীগুলি ভেঙ্গে দিতে হবে অথবা অন্য কোথাও অর্থ লগ্নি করতে হবে।
দু-নম্বরী বেশী আছে এমন একটা দেশে বিনিয়োগ করতে করার জন্য বাংলাদেশের নাম আসে কার্লোাসের কাছে।
তিনি জানতে পারেন শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ই হচ্ছে ওই কাজ দেয়ার যোগ্য ব্যাক্তি।
কার্লোস জয়ের সাথে যোগাযোগ করলে তাতে জয়ের কোন আপত্তি নাই বলে জানিয়েছে তবে এর জন্য তাকে গুনতে হবে কমিশন আর কার্লোস তাতেই রাজী হয়।
ফান্ড ট্রান্সফার এবং গোপন চুক্তি করতে আইসিটি মন্ত্রীকে মেক্সিকোতে যেতে হবে। হাসিনার সফরসঙ্গীর তালিকায় যুক্ত না হয়েও সফরসঙ্গী হয়েছে লতিফ সিদ্দিকি এবং পলক আমেরিকা হয়ে মেক্সিকো যাবে।
সতর্কতার জন্য লতিফের সাথে পলককে দিয়ে দেয় জয় আর ঐ সফরের উছিলা হিসেবে কামের্লাস একটা ভুয়া আইটি পদকের ব্যাবস্থা করে মেক্সিকোতে।
নিউইয়র্কে থেকেই কার্লোসের সাথে যোগাযোগ করে ২৫ মিলিয়ন ডলারের ফান্ড ট্রান্সফার হয়ে যায় লতিফ সিদ্দিকির নিদির্ষ্ট কয়েকটি একাউন্টে।
এরপরই লতিফ সিদ্দিকী মাথা ঠিক করে ফেলেন এবং টাঙ্গাইল সমিতির বৈঠকে কেউ কিছু জিজ্ঞেস না করলেও লতিফ সিদ্দিকী একা একাই কথা বলেন হজ্জের বিরুদ্ধে ইসলামের বিরুদ্ধে এমন কি রাসুল (সঃ)কে অবমাননাকর উক্তি। হাসিনা পুত্র জয়কেও একটউ ছুয়ে দেন। উদ্দেশ্য ২৫ মিলিয়ন ডলারের দাওটা মেরে দেয়া এবং আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেয়ার ক্ষেত্র তৈরী করা। এর আগেও আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েও পাননি তাই এই বারের ঘটনার প্রস্তুতি হিসেবে তার নন্দিনী ও রায়না ফারজিন প্রীতু এবং পুত্র অনীক সিদ্দিকেকে আগেই আগেই পার করে দেন কানাডায়।
অন্যদিকে স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকীকে সাথেই নেন।
অতি বিশ্বস্ত গোযেন্দা মারফত লতিফ সিদ্দীকি আগেই জানতে পেরেছেন নভেম্বরের মধ্যেই হাসিনার খেল খতম হয়ে যাবে তখন অন্যরা পালাতে পারলেও হাসিনা সে সুযোগ নাও পেতে পারে । কাজেই শেষ সময়ে লতিফ সিদ্দিকী ২৫ মিলিয়ন ডলার ছাড়বেন কেন ?
নিউইয়র্কে লতিফ কান্ড ঘটনার পরে হাসিনার কাছ থেকে যে রকম রিআক্যাকশন হওয়ার কথা তেমনটা আসেনি।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরার পরে সংবাদ সম্মেলনে হাসিনা বলে লতিফ সিদ্দিকীকে পদত্যাগ করতে বলব।
পথে লন্ডন থেকে ব্যাক্তিগত সময়ে লতিফের সাথে সমঝোতার চেষ্টা করে ব্যার্থ হন ,,,,,,,,,,আর সে কারনেই হাসিনা লন্ডনে কোন কথা বলেনি।
এর কারন হচ্ছে লতিফ সিদ্দিকি ইতোমধ্যে হাসিনাকে হুমকি দিয়েচে বেশী বাড়াবাড়ী করলে ভিওআইপি খাত থেকে জয় যেভাবে হাজার হাজার কোটি টাকা তুলে নিয়েছে সে দুর্নীতির কথা ফাস করে দিবেন।
আর এটা বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য লতিফ সিদ্দিকী নিউইয়র্কে একটা ঘরোয়া অনুষ্টানে প্রকাশ করেন হাসিনার উপদেষ্টা বাবদ সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রতিমাসে ২ লাখ ডলার বেতন দিতেছেন লতিফ সিদ্দিকী নিজেই।
লতিফ সিদ্দিকী এই ব্যাপারে খুব কঠোর অবস্থানে নিযেছেন যেমন তার উত্তরসুরী রাজুউদ্দিন আহমেদ রাজু নরসিংদির পৌরমেয়র লোকমান হত্যার সাথে জড়িত থাকার পরে তার বিচার করতে পারেনি কারন সে হুমকি দিযেছিল জয়ের ভিওআইপি দুর্নীতির খবর ফাস করে দিবেন এই কথা শুনে হাসিনা কুচকে যান ।
লতিফ সিদ্দিকেকে মন্ত্রী থেকে বাদ দেয়া হবে ,দল থেকে বাদ দেওয়া হবে ,পুরোনো দুর্নীতির জন্য ৫০টি মামলা করবে সরকার ইত্যকার চাপের বিপরীতে জয়ের দুর্নীতির ফবর ফাস করে দিয়ে হাসিনা-জয়ের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধরে টান দিযেছেন লতিফ সিদ্দিকী।
দেন দরবার করে জয় চাচ্ছেন লতিফের কাছ থেকে ২৫ মিলিয়নের ভাগ নিতে আর সিদ্দিকি চাচ্ছে নিজের সবকিছু ঠিক রাখতে।
তাইতো জয় তার মাকে ২০১৪ সালের সরকার গঠনের সময় বলেছিল আইসিটিতে অনেক টাকার খেলা হবে এখানে বিশ্বস্ত লোককে মন্তী দাও তাই হাসিনা চরম দুর্দিনে লতিফ পাশে থাকাতে বিশ্বস্ত ভেবে এই পদটি তাকে দিয়েছেন আর জয়ের বিশ্বস্ত লোক পললকে দিলেন প্রতিমন্ত্র্রীর পদদি।
কিন্তু লতিফ সিদ্দিকি প্রমান করে দিলেন হারামের আরাম নাই -টাকা পয়সার কাছে কোন বিশ্বাসই কাজে লাগে না।
কানাডা নিয়ে যত গল্প থাকুক না কেনো লতিফ সিদ্দিকি ইতোমধ্যেই সস্ত্রীক রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন দাখিল করেছে নিউইর্য়কে।
লতিফের চাকুরী নাও যেতে পারে অজুহাত হিসেবে বলা হতে পারে মৌলবাদীদের ভয়ে সে পলাতক তাই তাকে পদত্যাগের অনুরোধ করা যাচ্ছেনা । যখনই পাওয়া যাবে তাকে পদচ্যুত করা হবে ।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৫১০ বার পঠিত, ১০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
বিদেশী গোয়েন্দাদের পরিবর্তিত ছকেই লতিফ নাটক !! ২৫ মিলিয়নের এক রহস্য এবং আশংকার ঘোড়া
http://www.sheikhnews.com/2014/10/05/bangladeshnow-68/
লতিফ সিদ্দিকি রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার সহজ পথ নিয়েছেন। যেমন অনেকে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে নিজেদের সমকামি দাবি করে!!!
মন্তব্য করতে লগইন করুন