লজিং বাড়ীতে জীবনে প্রথম বিরানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেই জানতে পারলো এই বিরানিতে বিড়ালে মুখ দিয়েছে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০১ অক্টোবর, ২০১৪, ১২:৪৫:৩৭ রাত
অনাথ ছেলে আবুল কাশেম। মা বাবা মারা গেছে বলে কি হয়েছে লেখাপড়ায় খুব ভাল ছেলে তাই অপরের ক্ষেতে মাসে দুই একবার কামলা দিয়ে টাকা কামাই করে তার পড়ালেখার খরচ চালায়।
এতিম মানুষ কখনো কেউ যদি কোন সাহায্য করে তাহা সাদরে গ্রহন করে। ক্লাশের ফাস্ট বয় হিসাবে শিক্ষকরা সবাই কাশেমকে আদর করে।
একবার প্রধান শিক্ষক কাশেমকে বলল কাশেম তুমি অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করো রান্নাবান্না সহ সব কিছুই তোমাকে করতে হয় তাই আমরা মনে মনে একটা সিদ্ধান্ত নিলাম তোমাকে যদি শিল্পপতি জসিমের বাড়ীতে লজিং করে দেই তবে তোমার অনন্তত রান্নাবান্না করা থেকে বাচতে পারবে আর জসিম সাহেব অনেক বড় লোক টাকা পয়সার কোন কমতি নাই আমরা বলে কয়ে ওনার থেকে তোমার লেখাপড়ার জন্য একটা ব্যাবস্থা করব । তুমি কি বলো এই ব্যাপারে !
আবুল কাশেম বলল স্যার আমার অভিভাবক বলতে তো আপনারা ছাড়া আর কেহ নাই তাই আপনারা যদি কোন সিদ্ধান্ত নেন তবে আমি সেখানে দ্বিমত করতে পারিনা ।
স্যারদের প্রস্তাবে জসিম সাহেব ও রাজি হলো কাশেমও রাজি হয়ে লজিং বাড়ী চলে গেল। কিন্তু বাধ সাধলো জসিম সাহেবের বউ বড় কৃপন মহিলা । অনেক টাকার মালিক হলেও বাড়ীর কাজের লোকদেরকে কখনো ভাল কোন খাবার দেয় না ।
নিজেদের জন্য একরকম খাবার বানায় আর বাড়ীর কাজের লোক সহ লজিং মাস্টারের জন্য আর এক রকম খাবার বানায়।
এতে আবুল কাশেমের কোন আক্ষেপ নাই সে মনে মনে ভাবে আমাকে যে খাবার দিতেছে তাহাই আমার জন্য অনেক বড় কিছু , তাই ভাল মন্দর ব্যাপারে তার কোন কষ্ট নাই।
একদিন হটাত কাজের মেয়ে এক প্লেট বিরিয়ানি এনে মাস্টারকে দিয়ে বলছে স্যার খেয়ে নেন।
আবুল কাশেম তাকিয়ে দেখে মাসাআল্লাহ আজকে বাড়ী আলারা আমাকে বিরিয়ানি দিল !
তৃপ্তি সহকারে বিরিয়ানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে এমন সময় কাজের মেয়ে থালাবাসন নিতে আসলে পর আবুল কাশেম মেয়েটিকে বললো লতিফা আজকে বাড়ী আলা আমাকে প্রথম বারের মতো যে বিরানি খেতে দিল ব্যাপার কি ! বাড়ীতে কি কোন বড় আয়োজন আছে নাকি ?
লতিফা বলছে স্যার ওরা বড় লোক ! তাদের বাড়িতে প্রতিদিন আয়োজন থাকে । ওরা আমাদেরকে কখনো ভাল কিছু খেতে দেয় না । আজকে আপনাকে যেই বিরিয়ানি দিয়েছে তাতে বিড়ালে মুখ দিয়েছিল , বাড়ী আলী বলল শোন লতিফা এতগুলি বিরিয়ানিতে বিড়াল মুখ দিল এই গুলি ফেলে দিস না। কাশেম মাস্টারকে দিস সে খেয়ে নিবে।
কাশেম মাস্টার এই কথা শুনে ওয়াক ওয়াক করে বোমি করে দিল আর বলল কিরে লতিফা তুই আমাকে আগে বললি না কেন ? ওরাতো বড় লোক কিন্তু তুই তো আমাদের মতোই একজন তাই না ?
লতিফা বলছে স্যার তা বুঝলাম কিন্তু আমি তো বাড়ীআলার চাকুরী করি যদি আগে বলতাম তবে আপনি খানা খেতেন না , আমি আপনাকে কোথা থেকে খানা দিতাম ? আর বাড়ী আলী জানলে আমার চাকুরী চলে যেত যে !
মাননীয় ভোটারবিহীন নির্বাচনের প্রধান মন্ত্রী আজকে আপনি যদি আমাদেরকে আবুল কাশেমের মতো মনে করেন তবে আমার মনে হয় আপনি ভুল করবেন। বাংলাদেশের সব লোক আবুল কাশেমের মতো এতিম না ।
সরাসরি লতিফ সিদ্দিকি মন্তব্য করাতে আপনি তাকে বহিস্কার করে আপনার আচরনকে কোন প্রকারে বৈধতা নিতে পারবে না । আপনি সহ আপনার পুরা গ্রুপকে সরে দাড়িয়ে আমাদেরকে মুক্তি দিন নইলে কিন্তু আপনার কথা আল্লাহ জানে আমরা কোন মন্তব্য করবনা ।
বিষয়: বিবিধ
১২৯৮ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক এখন ঐ কাজের মেয়ে লতিফার চেয়েও অধম!! চাকরী হারানোর ভয়ে এরা করতে পারেনা- এমন কাজ নেই!!
পুলিশ, সেনা, প্রশাসন.... সবাই..
আবুল কাশেম তাকিয়ে দেখে মাসাআল্লাহ আজকে বাড়ী আলারা আমাকে বিরিয়ানি দিল !
তৃপ্তি সহকারে বিরিয়ানি খেয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছে এমন সময় কাজের মেয়ে থালাবাসন নিতে আসলে পর আবুল কাশেম মেয়েটিকে বললো লতিফা আজকে বাড়ী আলা আমাকে প্রথম বারের মতো যে বিরানি খেতে দিল ব্যাপার কি ! বাড়ীতে কি কোন বড় আয়োজন আছে নাকি ?
লতিফা বলছে স্যার ওরা বড় লোক ! তাদের বাড়িতে প্রতিদিন আয়োজন থাকে । ওরা আমাদেরকে কখনো ভাল কিছু খেতে দেয় না । আজকে আপনাকে যেই বিরিয়ানি দিয়েছে তাতে বিড়ালে মুখ দিয়েছিল , বাড়ী আলী বলল শোন লতিফা এতগুলি বিরিয়ানিতে বিড়াল মুখ দিল এই গুলি ফেলে দিস না। কাশেম মাস্টারকে দিস সে খেয়ে নিবে।
সুন্দর ঘটনা, আপনার ঘটনা নাকি অন্য কারো বুঝা গেলনা।
আমিও হোষ্টেলের রান্না-বান্নার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে কিছুদিন লজিং ছিলাম! তবে আমার সবগুলো লজিংএ আমি রাজার হালতে ছিলাম। বস্তুত ওরা সকলেই খুব ভাল মনের মানুষ ছিল।
না হলে এই কথার পরও এই সরকার থাকে কেমনে??
প্রধান মন্ত্রী মহাদয় এটা কিন্তু
ঠিক নয়।
মন্তব্য করতে লগইন করুন