কষ্টের সময়ও যেই হাসি মুখে আসে
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৬:৪০:৫৮ সন্ধ্যা
অপরের কষ্ট দেখে অট্টহাসি যারা দিতে পারে তারা বিপদে পড়লেও মুখে একরম হাসি থাকে । কারণ চিরাচরিত অভ্যাসতো সহজে বদল করা যায় না তাই এরা কষ্টের সময়ও হাসতে চেষ্টা করে।
কিন্তু তাদের সেই হাসিটা মিষ্টির বদলে তিক্ত হয়। যাদের জীবনে দুঃখ কি জিনিস কল্পনা করেনি সব সময় বাবার অট্টালিকার উপর নিজেকে সোপর্দ লালিতপালিত হয়েছে, তাদের কখনো কিন্তু গরীবদের দুঃখের ব্যাপারে কোন ধারনা থাকে না।
একবার ঈদের দিন খালেক মিয়া বাসাতে বিরিয়ানী পাক করে ছোট ছেলেটাকে বলল বাবা তুমি আজ আমার সাথে চলো বস্তিতে ।
আমরা অন্তত একটা দিন গরীবদের সাথে দেখা করে তাদেরকে কিছু বিরিয়ানী খাওয়াইয়া আসি।
ছেলেটা বাবাকে প্রশ্ন রেখে বলছে বাবা আজকের দিনে কেন বিরিয়ানী খাওয়াতে হবে ?
আজতো ঈদের দিন সবার বাড়ীতে এমনি বিরিয়ানী পাক হবে তাই না বাবা আজ ওদেরকে বিরিয়ানী দিয়ে কি হবে ?
বাবা ছেলেটাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বলছে, এদের ভিতর এমন লোকও হয়তো আছে যে তাদের ঘরে বিরিয়ানী তো দুরের কথা বাবা সাদা ভাতের আয়োজনও করতে পারবেনা।
হলমার্ক কেলেংকারীর পর অর্থমন্ত্রী বললেন ২৬০০ কোটি টাকা তো সামান্য টাকা এই সামান্য টাকা নিয়া বিরোধিদল এমন হৈচৈ করছে কেন ?
কারণ অর্থমন্ত্রী প্রজাতন্ত্রের কোটি কোটি টাকা নাড়াচাড়া করে নিজের মর্জিমত খরচ করে তাই তার কাছে এই ২৬০০ টাকা সামান্য ।
যোগাযোগ মন্ত্রী অট্টহাসি দিচ্ছে জাতীয় মোনাফেক পার্টি ( জাতীয় পার্টির) কোন্দল দেখে । যেটা গতকাল সংসদের কক্ষে হাতাহাতির পর্যায় চলে গেছে। আসলে জাতীয় পার্টির কোন্দল মানে আওয়ামীলিগ এর বারটা ! জাতীয় পার্টিকে নামে মাত্র বিরোধী দলে রেখে সব কিছু চালিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামীলিগের এই দুর্দিনেও কিন্তু তাদের মুখে কষ্টের অট্ট হাসি আছে ।
আমরাও তাদের শেষ পরিণতির হাসি দেখার অপেক্ষায় থাকলাম । ইনশাআল্লাহ অচিরেই সেই হাসিও দেখব ।
চাঁদ সুরুয যদি সত্য হয় দিন রাত ও যদি সত্য হয় তবে এই জালিমদের বিদাইও সত্যি হবে। কারণ তাদের জুলুমের মাত্রা সীমা অতিক্রম করেছে।
বিষয়: রাজনীতি
১৩৮৯ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন