রাস্তার মন্ত্রী তাইতো কথা বেশী বলা লাগে।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১০:২৬:০৭ রাত
জীবনের ২৩টি বছর প্রবাস থাকি । কখনো বছরে কখনো আবার ৬ মাসে বাড়ী যাই । কিন্তু তারপরেও সব সময় পরিবার নিয়ে উগ্বিগ্ন থাকি মা বাবাতো আছেই ওনাদের কথা মনে পড়ে কিন্তু বেশি মনে পড়ে বাড়ীআলীর কথা । অনেক সময় বেশি চিন্বতা লাগলে ন্ধুদের সাথে বসে গণ্পগুজব করে মনকে শান্ত করতে চেষ্টা করি। আমাদের এক পরিচিত বন্ধু ছিল সে অনেক বেশি কথা বলতো । তার একপেশি গণ্পের দাপটে আমরা কথাই বলতে পারতাম না । অনেকসময় বাদ্ধহয়ে হয়তোবা উঠে পড়তাম নতুবা ওর কথাই শুনতে হতো ।
আমাদের মোস্তাফার কথা আজও মনে পড়ে ভদ্রলোক এখন আর বিদেশ করেনা ।উনি আমাকে মাস্টার বলে ডাকতো বলতো শুনেন আপনারা তো লেখাপড়া শিখেছেন কিন্তু আপনাদের আউট জ্ঞান একটু কম । আমি প্রশ্ন করলাম সেটা কেমন ?
উনি জবাব দিলেন যারা বেশি কথা বলতে অভ্রস্ত এরা বেশি মিথ্যা কথা বলা লাগে । যদি মিথ্যার সংমিশ্রন তার কথাতে না থাকে সেখানে তার কথাতে রস পাবেন না অর্থাত মজা পাবেন না । সত্য কাহিনিতে সবসময় রস থাকে না। পরবর্তিতে আমি ওনার কথার সত্যায়িত পেয়েছি।
আমাদের মাননীয় রাস্তার মন্ত্রী সাহেব প্রতিদিন রাস্তায় বের হন আর নতুন নতুন প্রশ্নের সন্মুখিন হন সাংবাদিকদের দ্বারা । সব আজগুবি কথা বলে মিডিয়াকে গরম করেন ওনার চিরা চরিত অভ্যাস । পদ্মা ব্রিজ বিগত ৫ বছরেরই কয়েকবার তারিখ ঠিক করেছিলেন অমুক দিন অমুক মাসে কাজ শুরু করবে ।কিন্তু বাস্তবে তারধারে কাছেও নাই।
রাস্তা ভিজিট করে বলেন ১০ দিনের মধ্যে এই রাস্তার কাজ পুরাপুরি শেষ করে লোকজনের ভোগান্তি দুর করব কিন্তু কিছুই না । এমন হাজার হাজার উদাহরন আছে যাহা ওনার বলার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই।
বরং প্রজাতন্ত্রের কোটি কোটি টাকা লামছাম কাজ করে নিজ দলিয় লোকদেরকে ইনকাম করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন।
ওনার কথায় একটা সত্য জিনিস ওনার দলিয় লোকেরা পেয়েছেন সেটা হলো মিনিমাম সময় মেক্সিমাম ইনকাম করার সুযোগ পেয়েছেন ।
বিষয়: বিবিধ
১০৮৬ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
এই জন্যইতো উনারা রাজনীতি করে ...
তবে কাজ করে দেখানোর বেলায় কথাবাজি দিয়ে চিরে ভেজানো যায় না ।
উনি বঙ্গভবনের অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ করার কথা একসময় বলেছিলেন
মন্তব্য করতে লগইন করুন