থাক ভিক্ষা তোর কুকুর সামাল ।
লিখেছেন লিখেছেন মোহাম্মদ আব্দুল মতিন মুন্সি ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ১২:৩২:৪৯ দুপুর
মনে করলে অনেক কথাই মনে হয় । কিন্তু লিখতে বসলে সেটাকে আর সঠিক ভাবে লিখতে পারিনা। হয়তো অনেকদিন না লিখার কারনে এমনটা হতে পারে বলে নিজের মনকে বুঝ দেই।
তবে আশার কথা হলো বিডি ব্লগের ভাইরা আমাকে উতসাহ যোগাচ্ছেন আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি আপন ভুবনে না পৌছলেও ভুবনের ধারেকাছে যেতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
ছাত্র জীবনে বীজগনিত এবং ইংরেজি গ্রামারে অনেক কাচা ছিলাম তারপরেও সংসারের অসচ্ছলতার করনে প্রাইভেট পড়ার সুভাগ্য হতোনা । নিজের খাওয়াদাওয়াই চলতো অন্যের ছেলেমেয়েদেরকে পড়ানোর বিনিময়ে প্রাইভেট পড়ারতো প্রশ্নই উঠে না ।
মেট্রিক পক্ষিার আগে মাকে বললাম অনন্ত মাস দুই হলেও বীজগনিত এবং ইংরেজি গ্রামার বিষয়ে প্রাইভেট পড়তে হবে একটু চেষ্টা করে হলেও কিছু টাকা ম্যানেজ করে দেন । মা বাশ বিক্রি করে সম্ভবত ৪শত বা ৪৫০ টাকা দিয়েছিলেন আর বললেন বাবা মানুষের মা বাবারা হাজার হাজার টাকা খরচ করে কিন্তু আমাদের তওফিক নাই তাই তোমাকে যেই টাকা দিলাম সেই টাকাকে মনে করবা হাজার হাজার টাকা । মন ছোট করোনা আল্লাহ তোমাকে কামিয়াব করবে।
তারপর তিনবন্ধ মিলে যুক্তি করলাম মাদ্রাসার পাশে একজন এমএসসি পাশ লোক আছে উনি খুব ভাল পড়াইতে পারে ওনার কাছে পড়বো। ওনার কাছে পড়ার ব্যাপারে কিছু নেগেটিভ দিক ছিল , তাহা হলো লোকে ওনাকে হাফম্যাড বলে ডাকে ।
তার কারন উনি সবসময় রাস্থায় রাস্থায় ঘুরে বেড়ায় মাঝে মাঝে নিজের মুখ নিজে খামছি মারে , শরিরের চামড়াতে খামছি মারে।
আমরা ৩ বন্ধু বললাম তাতে কি সেতো কোন লোকের উপর আক্রমন করেনা তারকাছে পড়তে কোন সমস্যা নাই এমন সিদ্ধান্তের আলোকে একদিন ওনাকে প্রস্তাব দিলে উনি বলল কোন সমস্যা নাই আমি সবসময় বাড়িতে আছি তোমাদের যখন মনে চায় আসতে পারো।
পড়া শুরু করলে বেশ অনেকদিন পর একবার আমরা পড়ছি হটাত ওনার পাগলামি উঠলো । আমরা দেখছি স্যার নিজের হাত দিয়ে নিজের চেহারার গোস্তকে জোরে জোরে টানছে কখনো নিজের মুখে নিজেই মৃদুস্বরে চড় মারছে । অনেক মোটা লোক ছিলেনতো তাই এমন করতে করতে হাফিয়ে গেছেন শরির দিয়ে ঘাম টপকাচ্ছে।
আমরা ৩ বন্ধু তো রিতিমন ভয় পেয়ে গেলাম। স্যার ঠিক দরজার পাশে বসা যার কারনে কয়েকবার চলে আসতে চেয়েও আসতে পারিনাই । চুপচাপ বসে থেকে ত জনই চিন্তা করছি আজকে এই খান থেকে কি ভাবে বের হবো ?
হটাত একজন বলল স্যার আমার খুব পেশাব ধরেছে একটু দরজা খোলেন। এই কথা শুনে যেইনা দরজা খুলেছে ৩ জনই হুড় হুড় করে ঘর থেকে বের হয়ে দে দৌড় ।
স্যার বলছে শোন শোন তোমরা কেন দৌড়াচ্ছো তোমাদের কোন ভয় নাই। আমরা বললাম স্যার আমরা ভয়ে দৌড়াচ্ছিনা আমাদের ৩ জনেরই পেশাবে ধরেছে। আর তিনজনই বলাবলি করছি প্রাইভেট পড়ার আর দরকার নাই -থাক ভিক্ষা তোর কুকুর সামাল এর অবস্থা হয়েছিল সেই সময়।
বর্তমানের এই অবৈধ সরকার ৫ই জানুষারীর একতরফা নির্বাচনের পর সকল নাস্তিক মুরতাদদেরকে নিয়ে যেই মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেছে তাতের বেশির ভাগ মন্ত্রি পাগলা স্যারের মতন । তারউপর দুনিয়া ব্যাপি সরকারের কঠোর সমালোচনায় প্রায় পর্যদুস্ত হয়ে পড়েছে যার কারনে ব্যান্চে পুরো নিয়োন্ত্রনের বাইরে চলে গেছে । দলিয় কোন্দল, টেন্ডারবাজী ,হাজইজাক, লুট খুনখারাবি যেখানেই যাহা হচ্ছে সব এই অবৈধ সরকারের কর্মি সমর্থকরাই করছে যার করনে সরকারের ভিতর এখন তোলপাড় চলছে এই সকল কিছু থেকে বের হওয়ার কি রাস্থা আছে।
একমাত্র পুলিশ আর্মি বিডিআর এবং র্যাব বর্তমানে সরকারের ভরসা । যেই কোন মুহুর্তে এদের উপরও সরকারের কন্ট্রোল হারাইতে পারে।
তাই সরকার ভাবছে -থাক ভিক্ষা তোর কুকুর সামাল -ছেড়ে দে মা কেন্দে বাচি এই অবস্থা ।
আব্দুল মতিন সৌদিআরব রিয়াদ থেকে
বিষয়: রাজনীতি
১২৩৩ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
চমতকার লিখেছেন।
বরং সারখার মরন পর্যন্ত ক্ষমতা আকড়ে ধরে রাখার চেষ্টা করছে। দরজা খুলে বের হবার কোন চিন্তাই তাদের নাই। তারা ভয়ও পায় না। কারণ চেহারা খামচাচ্ছে জনগণ, তারা নয়।
সেই সময়টা দুরে নয় যখন তারা জনরোষ থেকে বাচতে চেহারা খামছাতে খামছাতে পালানোর রাস্তা খুজবে ।
দুনিয়ার কোন জুলুমবাজ স্থায়ী নাই সুতারাং এরাও থাকবে না । আমাদের আরো রক্ত দিতে হবে এই আর কি ? কিছুই করার নাই।
মন্তব্য করতে লগইন করুন