হিন্দুদের ধর্মে (জারজ) কে চণ্ডাল বলা হয়।তাহলে দেখা যাক কাকে কাকে চণ্ডাল বলে
লিখেছেন লিখেছেন Lucemon ০৩ নভেম্বর, ২০১৪, ০১:২২:০৫ দুপুর
চণ্ডাল হলো ৩ প্রকার
১ম:অবিবাবিহতা কন্যাতে উৎপন্ন সন্তান।অর্থ যে মেয়ের বিয়ে হবার আগে সন্তান হয় সেই সন্তান কে বলে চণ্ডাল।।
২য় :সগোত্রা পত্নীর গর্ভজাত।
অর্থ যদি শূদ্র পুরুষ কোনো বৈশ,ব্রহ্মন,ক্ষৈত্র এই তিন জাতির মেয়ের গর্ভে যদি সন্তান হয় তবে সেই সন্তান হবে চণ্ডাল।
৩য়:ব্রাহ্মণীতে শূদ্রজনিত।
অর্থ শূদ্র যদি কোনো ব্রহ্মনী মেয়ের সাথে আকাম কুকাম করে তাহলে ও চণ্ডাল হবে [ব্যাসসংহিতা : অধ্যায় : ০১, পৃষ্ঠা- ৩৯০, শ্লোক : ৯-১০]
এই কথা গুলো ব্যাস নিজেই তার "ব্যাস সংহিতায়" বলে গিয়েছেন ব্যাস মুনির সংহিতা মতে, ব্যাসও চণ্ডাল, কেননা তার মা সত্যবতী অবিবাহিত থাকা কালীন পরাশরা মুনির সঙ্গমে ব্যাসের জন্ম দেন।
একই নিয়মে, সূর্য্য পুত্র কর্ণও চণ্ডাল।কেননা, কুন্তির কুমারী অবস্থায় তথা অবিবাহিত কালে সূর্য্যের ঔরসে কর্ণের জন্ম দেন।
মাদ্রীপুত্র ধর্মিক ভিদুর ছিলেন মহামুনি ব্যাস ও আম্বালিকার অবিবাহিত দাসী মাদ্রীর পুত্র।যেহেতু মাদ্রী দাসী ছিলেন সেহেতু, ভিদুর চণ্ডাল হওয়াতে কোন স্মৃতি বা শ্রুতি দ্বারা প্রমাণের অপেক্ষা রাখে না।
এবার দেখেন একজন চণ্ডাল কি কি করতে পারবে না: একজন চণ্ডাল বেদ পড়তে পারবে না,শিক্ষিত হওয়া যাবে না,ব্রহ্মন কে ছোয়া যাবে না,ব্রহ্মন কে উপদেশ দেওয়া যাবে না,ব্রহ্মন এর সাথে কথা বলা যাবে না,ব্রহ্মন কে দেখা দেওয়া যাবে না।
এই গুলো একজন চণ্ডাল করতে পারবে না।
তাহলে আমাদের "ব্যাস দেব" কি করে এতোগুলো পুরান লেখে,বেদ পড়ে বেদ লেখে, উপনিষাদ লিখে
এবার বলেন এই ব্যাস চণ্ডল হয়ে কি করে এই গুলো করে।
আসলে ব্যাস নিজেই প্রমান করে গেছে যে সে ছিলো জারজ।
বিষয়: বিবিধ
২০৮৬ বার পঠিত, ১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন